ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত চলা চলের রাস্তায় বেড়া নির্মাণ, একসপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ বৃদ্ধ কাজল মিয়ার পরিবার রূপম ধরের তুলিতে তিতাস পাড়ের গল্প: তরী বাংলাদেশের নদী সম্মেলন সংবাদ সম্মেলনের মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদ: বেদে প্রেমিক যুগলের বিষপান, হাসপাতালে ভর্তি একটি পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ আ.লীগ নেতা ও এস.আই’র বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনেসথেসিয়া সোসাইটির কমিটি গঠন, নেতৃত্বে ডা. মকবুল-ডা. আরিফ ৫০ কেজি গাঁজা ১টি পিকআপ ভ্যানসহ ১ জন গ্রেফতার জনগণের ভালবাসা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে-খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে জনতার খবর এর ঈদ আনন্দ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২ ২২২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই নতুন কাপড় পরে নামাজ পরা। বড়দের কাছ থেকে সালামি আদায় করা, মায়ের তৈরি সেমাই-পায়েস খাওয়া, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া সে এক বিশাল আনন্দ। পবিত্র মাহে রমজানের শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচাইতে বড় খুশির উৎসব ঈদুল ফিতর। কিন্তু সমাজের অতিদরিদ্র শিশুরা বঞ্চিত হয় ঈদের নতুন পোশাক ও বিশেষ খাবার থেকে। বাবা-মায়ের সামর্থ্য না থাকায় হাসি ফোটে না তাদের মুখে। এসব শিশুরাও জানে ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, থাকার কোনো জায়গা নেই, ফুটপাতই যাদের একমাত্র ঠিকানা। তাদের কিনা আবার ঈদ আনন্দ। তাদের বেলায় ঈদ হয়তো আসে আবার যায়, কিন্তু সেই ঈদ কখনই উৎসবে আনন্দময় হয়ে আসে না। ঈদ আনন্দ হয় মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের শ্রেণীতে যেমন- ঈদের দিন তারা নতুন জামা পরবে, হাতে মেহেদি লাগাবে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে নতুন টাকার সেলামি নেবে, বাসায় ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা থাকবে। তবেই না সেটা আনন্দে উৎসবে পরিণত হবে। পথশিশুরা এই উৎসবের আনন্দের অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ তাদের না আছে নতুন জামা, না আছে হাতে মেহেদি লাগানো না আছে নতুন টাকার সেলামি পাওয়া। আর ভালো খাবারের ব্যবস্থা তো স্বপ্নের ব্যাপার। তাদের কাছে ঈদের দিন অন্যান্য দিনগুলোর মতই সাদামাটা। এটাতো আর ঈদ আনন্দ হতে পারে না। আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় জাকাতের টাকায় শিশুদের বাবা-মায়ের জন্য শাড়ি, লুঙ্গির ব্যবস্থা থাকলেও শিশুদের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এখানেও শিশুরা চরম বৈষম্যের শিকার। ঈদের আনন্দটা যে শিশুদের ঘিরেই এই ব্যাপারটা মনে হয় মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ঈদের আনন্দ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল পথশিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেয় ‘জনতার খবর’। চিন্তা করতে থাকে কিভাবে ঈদের আনন্দ ছিন্নমূল পথ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয় ঈদের দিনটা ছিন্নমূল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ‘ঈদ আনন্দে’ আনন্দিত করতে। ঈদের দিন দুপুর ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড় পৌর কমিনিটি সেন্টার সামনে ‘স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামক একটি সংগঠনের সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করে ‘জনতার খবর’। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘জনতার খবর’ এর নির্বাহী সম্পাদক, মজিদ নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ, এম জাকারিয়া জাকির। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সাপ্তাহিক নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির সভাপতি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ খোকন। সামাজিক ও মানবিক সংগঠন পিসভিশন বাংলাদেশের সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর আলম। পিসভিশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন। স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংগঠনের কর্ণধার নারী সংগঠক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া। জনতার খবর এর বার্তা সম্পাদক ‘আদিত্ব্য কামাল’ প্রমূখ। এরকম অসংখ্য শিশুর ঈদ পথেই কেটে যায়, কোন সময়ই ইদের কোন আনন্দ তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। ঈদের আনন্দ যে শিশুদেরই ঘিরে, সেটা শুধু স্বচ্ছল- বিত্তবানদের মাঝেই দেখা যায়। তবে অন্য সব শিশুর মত ছিন্নমূল পথ শিশুরাও ঈদের অনন্দ-উৎসব উপভোগ করবে, আর ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন-এমন প্রত্যাশ সবার। আমরা সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও খেতে পারি কিন্তু পথশিশুদের কোনো খাবারের ব‍্যবস্থা নেই, আমরা বিত্তশালী যারা আছি তাদের সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ আপনাদের সাহায্য সহযোগিতায় পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটানো সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে জনতার খবর এর ঈদ আনন্দ

আপডেট সময় : ১০:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই নতুন কাপড় পরে নামাজ পরা। বড়দের কাছ থেকে সালামি আদায় করা, মায়ের তৈরি সেমাই-পায়েস খাওয়া, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া সে এক বিশাল আনন্দ। পবিত্র মাহে রমজানের শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সবচাইতে বড় খুশির উৎসব ঈদুল ফিতর। কিন্তু সমাজের অতিদরিদ্র শিশুরা বঞ্চিত হয় ঈদের নতুন পোশাক ও বিশেষ খাবার থেকে। বাবা-মায়ের সামর্থ্য না থাকায় হাসি ফোটে না তাদের মুখে। এসব শিশুরাও জানে ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। কিন্তু যাদের ঘর নেই, বাড়ি নেই, থাকার কোনো জায়গা নেই, ফুটপাতই যাদের একমাত্র ঠিকানা। তাদের কিনা আবার ঈদ আনন্দ। তাদের বেলায় ঈদ হয়তো আসে আবার যায়, কিন্তু সেই ঈদ কখনই উৎসবে আনন্দময় হয়ে আসে না। ঈদ আনন্দ হয় মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের শ্রেণীতে যেমন- ঈদের দিন তারা নতুন জামা পরবে, হাতে মেহেদি লাগাবে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে নতুন টাকার সেলামি নেবে, বাসায় ভালো খাবার-দাবারের ব্যবস্থা থাকবে। তবেই না সেটা আনন্দে উৎসবে পরিণত হবে। পথশিশুরা এই উৎসবের আনন্দের অন্তর্ভুক্ত নয় কারণ তাদের না আছে নতুন জামা, না আছে হাতে মেহেদি লাগানো না আছে নতুন টাকার সেলামি পাওয়া। আর ভালো খাবারের ব্যবস্থা তো স্বপ্নের ব্যাপার। তাদের কাছে ঈদের দিন অন্যান্য দিনগুলোর মতই সাদামাটা। এটাতো আর ঈদ আনন্দ হতে পারে না। আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় জাকাতের টাকায় শিশুদের বাবা-মায়ের জন্য শাড়ি, লুঙ্গির ব্যবস্থা থাকলেও শিশুদের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এখানেও শিশুরা চরম বৈষম্যের শিকার। ঈদের আনন্দটা যে শিশুদের ঘিরেই এই ব্যাপারটা মনে হয় মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ঈদের আনন্দ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল পথশিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেয় ‘জনতার খবর’। চিন্তা করতে থাকে কিভাবে ঈদের আনন্দ ছিন্নমূল পথ শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয় ঈদের দিনটা ছিন্নমূল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ‘ঈদ আনন্দে’ আনন্দিত করতে। ঈদের দিন দুপুর ২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেংকের পাড় পৌর কমিনিটি সেন্টার সামনে ‘স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামক একটি সংগঠনের সুবিধা বঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করে ‘জনতার খবর’। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘জনতার খবর’ এর নির্বাহী সম্পাদক, মজিদ নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ, এম জাকারিয়া জাকির। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সাপ্তাহিক নতুন মাত্রা’র সম্পাদক আল-আমিন শাহীন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির সভাপতি, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ খোকন। সামাজিক ও মানবিক সংগঠন পিসভিশন বাংলাদেশের সভাপতি এড. শেখ জাহাঙ্গীর আলম। পিসভিশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ খাঁন। স্বপ্নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংগঠনের কর্ণধার নারী সংগঠক কোহিনূর আক্তার প্রিয়া। জনতার খবর এর বার্তা সম্পাদক ‘আদিত্ব্য কামাল’ প্রমূখ। এরকম অসংখ্য শিশুর ঈদ পথেই কেটে যায়, কোন সময়ই ইদের কোন আনন্দ তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। ঈদের আনন্দ যে শিশুদেরই ঘিরে, সেটা শুধু স্বচ্ছল- বিত্তবানদের মাঝেই দেখা যায়। তবে অন্য সব শিশুর মত ছিন্নমূল পথ শিশুরাও ঈদের অনন্দ-উৎসব উপভোগ করবে, আর ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন-এমন প্রত্যাশ সবার। আমরা সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও খেতে পারি কিন্তু পথশিশুদের কোনো খাবারের ব‍্যবস্থা নেই, আমরা বিত্তশালী যারা আছি তাদের সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ আপনাদের সাহায্য সহযোগিতায় পথশিশুদের মুখে হাসি ফুটানো সম্ভব।