সাহিত্য একাডেমির ৩ মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় শহরের গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুল মিলনায়তনে প্রশিক্ষণার্থীদের আবৃত্তি কর্মশালা উদ্বোধন করেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। উদ্বোধনী পর্বে প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারার কর্মকর্তা রিফাত আমিন। প্রশিক্ষণার্থীদের কলকাকলীতে ভরে উঠে মিলনায়তন কক্ষ।
আবৃত্তি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক কবি জয়দুল হোসেন বলেন, সাহিত্য একাডেমি ১৯৮৩ সনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সাংগঠনিকভাবে আবৃত্তি চর্চা করে আসছে। তবে ১৯৯২ সন থেকে তিন মাসব্যাপী আবৃত্তি কর্মশালা পরিচালনা করে আসছে। সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সদ্য শেষ হওয়া আবৃত্তি কর্মশালার সমাপ্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘প্রমিত বাংলা শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা এখনো সাংগঠনিক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্যে সাংগঠনিক চর্চার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চা ছড়িয়ে দিতে হব। ‘ব্যক্তি ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা পারস্পরিক ভাব বিনিময়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শুদ্ধ উচ্চারণের চর্চা ছড়িয়ে দিতে আবৃত্তি সংগঠনগুলো যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তার পাশাপাশি এর বাইরেও নানামুখী উদ্যোগ প্রয়োজন। যদিও সাহিত্য একাডেমি শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবৃত্তি চর্চা বেগবান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উদ্বোধনী প্রশিক্ষক রিফাত আমিন বলেন, ‘বর্তমানে আবৃত্তির সঙ্গে অসংখ্য তরুণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটি আমাদের জন্যে খুব আশার বিষয়। কারণ সাংগঠনিকভাবে সৃজনশীলতার চর্চা মানুষের চিন্তার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং সুন্দর ও সৃজনশীল চিন্তায় সহায়ক হয়।’
এসময় সাহিত্য একাডেমি পরিচালিত শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ক নূরুল আমিন, নাসিরনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক সিফাত নাসরিন নিতু, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, ইব্রাহিম খান সাদাত, রিপন দেবনাথ, নুসরাত জাহান বুশরা প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কর্মশালার সমন্বয়কারী সোহেল আহাদ। উদ্বোধনী ক্লাসের পরে শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।