Dhaka 8:27 am, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

সরাইল মুক্তদিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩ ক্ষোভ!

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:19:13 pm, Friday, 8 December 2023
  • 62 Time View

সরাইল মুক্তদিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩ ক্ষোভ!

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
আজ ৮ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরাইল পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরাইল থানা চত্বরে উত্তোলন করা হয় লাল-সবুজের পতাকা। দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা সভা হয়েছে। সকাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। উল্লেখিত কর্মসূচি গুলোতে সরাইলের রাজনৈতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ করার কথা রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিন ক্ষোভ বুকে ধারণ করে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। আজ এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইমত আলী বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর বিটঘর বধ্যভূমির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে ইতিহাস গড়েছেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। কিন’ রাজনৈতিক কারণে ওই বধ্যভূটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি আদৌ। একই কারণে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটিও ৩ বছরের অধিক সময় ধরে পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ভবনটিতে যেতে না পারলেও প্রধান ফটকের সামনে নিয়মিত পসরা সাজিয়ে বসছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ি। ভবনটির চারিদিকে লোকজন মলমূত্র ত্যাগ করছে নিয়মিত। সেখানে গেলেই দূর্গন্ধে নাক চেপে ধরতে হয়। ভবনের ভেতরের কম্পিউটারসহ মূল্য সকল ফার্ণিশার্স বিকল হয়ে যাচ্ছে। যে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা এখনো জীবিত আছেন তারা মনে হয় ওই ভবনে বসে মরতে পারবেন না। আর ৫৩ বছর পরও সরাইলের তিনটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়নি। গড়ে ওঠেনি কোন স্মৃতিসৌধ। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি অন্তত শাহবাজপুর, ধর্মতীর্থ ও কুচ্‌নির শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় চারটি স্মৃতিস্থম্ভ নির্মাণ করা হোক। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, উল্লেখিত তিনটি বধ্যভূমির সৌন্দর্য বর্ধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রূতই হয়ে যাবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আর রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। নির্বাচনের পরই কমপ্লেক্স ভবনটির উদ্বোধন হয়ে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইল মুক্তদিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩ ক্ষোভ!

Update Time : 06:19:13 pm, Friday, 8 December 2023

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
আজ ৮ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরাইল পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে সরাইল থানা চত্বরে উত্তোলন করা হয় লাল-সবুজের পতাকা। দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা সভা হয়েছে। সকাল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। উল্লেখিত কর্মসূচি গুলোতে সরাইলের রাজনৈতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ করার কথা রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে তিন ক্ষোভ বুকে ধারণ করে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। আজ এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইমত আলী বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর বিটঘর বধ্যভূমির সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে ইতিহাস গড়েছেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। কিন’ রাজনৈতিক কারণে ওই বধ্যভূটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি আদৌ। একই কারণে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটিও ৩ বছরের অধিক সময় ধরে পড়ে আছে অযত্নে অবহেলায়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ভবনটিতে যেতে না পারলেও প্রধান ফটকের সামনে নিয়মিত পসরা সাজিয়ে বসছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ি। ভবনটির চারিদিকে লোকজন মলমূত্র ত্যাগ করছে নিয়মিত। সেখানে গেলেই দূর্গন্ধে নাক চেপে ধরতে হয়। ভবনের ভেতরের কম্পিউটারসহ মূল্য সকল ফার্ণিশার্স বিকল হয়ে যাচ্ছে। যে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা এখনো জীবিত আছেন তারা মনে হয় ওই ভবনে বসে মরতে পারবেন না। আর ৫৩ বছর পরও সরাইলের তিনটি বধ্যভূমি সংরক্ষণ করা হয়নি। গড়ে ওঠেনি কোন স্মৃতিসৌধ। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি অন্তত শাহবাজপুর, ধর্মতীর্থ ও কুচ্‌নির শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় চারটি স্মৃতিস্থম্ভ নির্মাণ করা হোক। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, উল্লেখিত তিনটি বধ্যভূমির সৌন্দর্য বর্ধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রূতই হয়ে যাবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আর রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। নির্বাচনের পরই কমপ্লেক্স ভবনটির উদ্বোধন হয়ে যাবে।