সরাইল পিডিবি’র প্রকৌশলীর অনিয়ম দূর্নীতির বিরূদ্ধে লিখিত অভিযোগ!

- আপডেট সময় : ০৭:০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পিডিবি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুল্লাহর অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিরূদ্ধে ফুঁসে ওঠেছেন ওই দপ্তরের কর্মচারীরা। প্রতিকার আর বদলি দাবী করে ২৫ স্থায়ী ও ১৫ অস্থায়ীসহ মোট ৪০ জন কর্মচারী গত ২৯ অক্টোবর সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। প্রথমে একটু সিরিয়াস হলেও পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে থেমে যান এক্সেন। এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের বিষয়ে কোন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তিনি। এতে ক্রমেই ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন ওই দপ্তরে কর্মরত কর্মচারীরা।
যেকোন সময় ফেঁটে যেতে পারে ক্ষুদ্ধ কর্মচারীদের বোমা। আতিকুল্লাহর আচার আচরণ ও খারাপ ব্যবহারের বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। লিখিত অভিযোগ ও একাধিক কর্মচারী সূত্র জানায়, যোগদানের পর থেকেই গ্রাহকদের সাথে দূর্ব্যবহার যেন তাঁর নিয়মে পরিণত হয়েছে। পরবর্তীতে নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মিটার পরিবর্তন গ্রাহকদের অধিকার। আর এ কাজে তাদের সহায়তা করা অফিসের সকলের দায়িত্ব। তিনি ৫০০ টাকা ঘুষ না দিলে পোষ্টপ্রেইড মিটার পরিবর্তনের কাজ করেন না। গ্রাহকরা উনার কাছ থেকে মিটার না নিয়ে বাজার থেকে ক্রয় করলে তিনি ওই মিটার প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি কর্মকর্তা হয়েও লাভের লক্ষে নতুন সংযোগের ফাইল করেন।
আর টাকার বিনিময়ে মিটার পরিবর্তন তাঁর আরেকটি ব্যবসা। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও তিনি মিটার বাণিজ্য করেন। যাহা ওই দফতরের নিয়মের পরিপনি’। বর্তমানে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ডিজিটাল মিটার পরিবর্তন বন্ধ থাকলেও আতিকুল্লাহ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিটার পরিবর্তনের কাজ করছেন। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের কাজে তিনি নানা কারিশমা দেখান। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আনার পর তিনি গ্রাহকদের সাথে চুক্তি করেন। ঘুষের টাকা পেলে জরিমানা কমিয়ে করেন।
নতুবা মনগড়া মতে বিল করেন। দুপুরের খাবার খেতে বাসায় গেলে আতিকুল্লাহ অফিসে আসেন বিকাল ৪টায়। বিলম্বের বিষয়ে কেউ কিছু বললে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের চাকরী করেন না। তাই জবাব দিহীতা করতে তিনি রাজি না। আপনারা পারলে উনাকে (এক্সেন) বলেন। তিনি অফিসের স্থায়ী অস্থায়ী কর্মচারীদের সাথে সর্বসময় দূর্ব্যাবহার করে আসছেন। দূর্নীতির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ক্রমেই ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন ওই দফতরের ২৫ স’ায়ী কর্মচারী ও ১৫ অস্থায়ী কর্মচারী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মচারী বলেন, প্রকৌশলী আতিকুল্লাহ ঘুষ ছাড়া কিছুই বুঝেন না। আমরা উনার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। স্থানীয় গ্রাহকদের জিম্মি করে তিনি বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে উনার বদলির দাবীতে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযোগ পেয়ে প্রথমে খুবই গরম হয়েছিলেন এক্সেন স্যার। কয়েক দিন পরই অজানা কারণে তিনি নিরব হয়ে গেছেন। এক মাস পেরিয়ে যাচ্ছে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা এখন হতাশ। এ বিষয়ে জানতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল্লাহর মুঠোফোনে (০১৭৮৭-৫৬২৩৯৩) একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) আব্দুর রউফ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ওদের স্বার্থে যখন ব্যাঘাত ঘটে তখনই এরা এমনটি করে। তাদের সব কাজে সায় দিলে ভাল। সায় না দিলেই ভাল না। তাদের সকল পরামর্শই তো আর ভাল না। অভিযোগ পেয়ে আমি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করেছি। আমাকে তো সবকিছু যাচাই করে করা লাগে।