মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
সরাইল উপজেলা চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের গাছ মৃত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গায় প্রতিরক্ষা দেওয়াল সংলগ্ন স্থানেই গাছটির অবস্থান। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৪০-৪৫ ফুট হবে। যে কোন সময় গাছটি ভেঙ্গে পড়ে ঘটতে পারে প্রাণহানির মত ঘটনা। গাছটি অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার বিষয়ে কোন তৎপরতা নেই। সরজমিনে স্থানীয় ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত লোকজন সূত্র জানায়, নির্বাহী কর্মকর্তা সহ উপজেলা প্রশাসনের গুরূত্বপূর্ণ অফিস গুলোতে যাওয়ার প্রধান সড়কই এটি। এ ছাড়া এই সড়ক দিয়ে উপজেলা চত্বরের মসজিদে যান মুসল্লিরা। নিজসরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ত্রিতাল সংগীত নিকেতন, শিল্পকলা একাডেমি ও সরাইল একাডেমির শিশু শিক্ষার্থীরাও এই সড়কেই যাওয়া আসা করেন। এই সড়কে চলাচল করেন বিভিন্ন দফতরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারি, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ সকল গুরূত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। গত দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে মৃত এই কাঠের গাছটি সড়কের উপর কিছুটা হেলে দাঁড়িয়ে আছে। পাতা ও ডালপালা শুকিয়ে চৌঁচির। নীচ থেকে দেখতে লাকড়ির মত মনে হয়। মাঝে মধ্যে কিছু পথচারিকে উপরের দিকে চেয়েই দৌঁড় দিতে দেখা যায়। গাছটি যে কোন সময় ভেঙ্গে সড়কের উপর পড়তে পারে। ফলে মূহুর্তের মধ্যেই ঘটে যেতে পারে গুরূতর আহত ও প্রাণহানির মত ঘটনা। পথচারি বিপ্লব মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক রূহুল আমীন রূবেল ও সাবেক ইউপি সদস্য বিধান সরকার বলেন, আমরা এখন উপজেলা চত্বরে কোন কাজে গেলে ওই জায়গাটি একটু দেখে পাড় হয়। কারণ কখন গাছটি ভেঙ্গে পড়বে কেউ জানে না। গাছটি দ্রূত অপসারণ করা খুবই জরূরী। সরাইল সদর ইউনিয়ন উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গাছটি অনেক আগেই মরে গেছে। আসলে বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণই। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়লে বড় ধরণের দূর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। তবে কাটার বিষয়টি একটু জটিল। তাই বিলম্ব হচ্ছে। আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করব।