Dhaka 9:21 am, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

সরাইলে ১৩’শ টাকায় শিশু ধর্ষণ ধামাচাপার চেষ্টা অবশেষ মামলা।

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:05:25 pm, Friday, 13 May 2022
  • 225 Time View

দরিদ্র পরিবারের ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী পরিবারের যুবক তোফায়েল মিয়ার (২০) বিরূদ্ধে। গত ১ মে দুপুরে উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে ওই শিশুর বসত ঘরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তোফায়েল ওই গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে। ধর্ষিতার পরিবারকে ১৩’শ টাকা দিয়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কালক্ষেপণ করেছেন গ্রাম্য কতিপয় সর্দার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতার অবস্থা ভাল না। অবশেষে শিশুর মা বাদী হয়ে সরাইল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলা ও ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিবেশী হিসেবে তোফায়েল প্রায়ই শিশুটির ঘরে আসা যাওয়া করত। কোন কোন সময় ঘুমিয়ে যেত। অন্যান্য দিনের মত গত ১লা মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তোফায়েল তাদের ঘরে আসে। ঘুমোতে চায়। শিশুর মা তোফায়েলকে বলেন আমি ঘরে থাকব না । কাজে বাহিরে যাব। তুই তোদের ঘরে গিয়ে ঘুমাইয়া থাক। এই বলার পরও য়ায়নি। শিশুদের ঘরের উত্তর পাশের কক্ষের চৌকিতে ঘুমিয়ে পড়ে তোফায়েল। শিশুকে দুপুরের খাবার খাইয়ে মা চলে যায় মাঠের ধানের হলায়। মা চলে যাওয়ায় সুযোগ পায় লম্পট তোফায়েল। শিশুটিকে ডেকে ঘরের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় তোফায়েল। পরে শিশুটিকে কাপড় খুলে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। শিশুটি তখন চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তোফায়েল মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর ভাই বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘটনাটি দেখে ডাক দিলে তোফায়েল দ্রূত দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওঠে বসে শিশুটি তার ভাইয়ের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। ভাইয়ের ডাকাডাকিতে আশপাশের মহিলা পুরূষরা দৌঁড়ে আসেন। বিষয়টি তোফায়েলের মা বাবাকে জানালে উল্টো মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। শিশুর পরিবারকে গালমন্দ করে ধমকাতে থাকেন। পরক্ষণে সর্দার মো. আলী মিয়া (৬৫), মো. মধু মিয়া (৪৫), মো. হোসেন মিয়া () ও কাছন মিয়া শিশুর পরিবারকে এ ঘটনায় মামলা করতে নিষেধ করেন। তারা যথাযথ ভাবে বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। ওদিকে ধর্ষণের শিকার শিশুটি ক্রমেই অসুস্থ্য হতে থাকলে সর্দার আলী মিয়া শিশুর মাকে ১৩’শত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। পরে শিশুর মা গত ৯ মে শিশুটিকে ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবশেষে গ্রাম্য সর্দারদের বাঁধা ডিঙ্গিয়ে গত বুধবার রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে সরাইল থানায় মামলা করেছে ধর্ষিতার মা। মেডিকেল ও আদালতের কাজ শেষে শিশুটি এখন মায়ের জিম্মায় রয়েছে। মামলা বাদী ধর্ষিতার মা ও বৃদ্ধ বাবা বলেন, এখন আমাদের শিশুটির কি উপায় হবে? আমরা ভূমিহীন। অন্যের জায়গায় থাকি। আমরা খুবই অসহায়। ধান চাষ করেছিলাম। ঝড় শিলাবৃষ্টি শেষ করে দিয়েছে। ঘরে খাবার নেই। সুযোগ নিতে চেয়েছিল সর্দাররা। টাকাও নাকি বন্টন হয়েছে। বিচার করার কথা বলে ঘটনাটি ধামাচামা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা আইনের কাছে গেলাম। আল্লাহ ছাড়া আমাদের কেউ নেই। আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। সরাইল থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) ধর্ষিতার মেডিকেল সম্পন্ন করেছি। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর (২য় আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশুটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইলে ১৩’শ টাকায় শিশু ধর্ষণ ধামাচাপার চেষ্টা অবশেষ মামলা।

Update Time : 01:05:25 pm, Friday, 13 May 2022

দরিদ্র পরিবারের ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী পরিবারের যুবক তোফায়েল মিয়ার (২০) বিরূদ্ধে। গত ১ মে দুপুরে উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে ওই শিশুর বসত ঘরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তোফায়েল ওই গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে। ধর্ষিতার পরিবারকে ১৩’শ টাকা দিয়ে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কালক্ষেপণ করেছেন গ্রাম্য কতিপয় সর্দার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতার অবস্থা ভাল না। অবশেষে শিশুর মা বাদী হয়ে সরাইল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলা ও ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিবেশী হিসেবে তোফায়েল প্রায়ই শিশুটির ঘরে আসা যাওয়া করত। কোন কোন সময় ঘুমিয়ে যেত। অন্যান্য দিনের মত গত ১লা মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তোফায়েল তাদের ঘরে আসে। ঘুমোতে চায়। শিশুর মা তোফায়েলকে বলেন আমি ঘরে থাকব না । কাজে বাহিরে যাব। তুই তোদের ঘরে গিয়ে ঘুমাইয়া থাক। এই বলার পরও য়ায়নি। শিশুদের ঘরের উত্তর পাশের কক্ষের চৌকিতে ঘুমিয়ে পড়ে তোফায়েল। শিশুকে দুপুরের খাবার খাইয়ে মা চলে যায় মাঠের ধানের হলায়। মা চলে যাওয়ায় সুযোগ পায় লম্পট তোফায়েল। শিশুটিকে ডেকে ঘরের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় তোফায়েল। পরে শিশুটিকে কাপড় খুলে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। শিশুটি তখন চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তোফায়েল মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুর ভাই বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঘটনাটি দেখে ডাক দিলে তোফায়েল দ্রূত দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওঠে বসে শিশুটি তার ভাইয়ের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। ভাইয়ের ডাকাডাকিতে আশপাশের মহিলা পুরূষরা দৌঁড়ে আসেন। বিষয়টি তোফায়েলের মা বাবাকে জানালে উল্টো মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। শিশুর পরিবারকে গালমন্দ করে ধমকাতে থাকেন। পরক্ষণে সর্দার মো. আলী মিয়া (৬৫), মো. মধু মিয়া (৪৫), মো. হোসেন মিয়া () ও কাছন মিয়া শিশুর পরিবারকে এ ঘটনায় মামলা করতে নিষেধ করেন। তারা যথাযথ ভাবে বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। ওদিকে ধর্ষণের শিকার শিশুটি ক্রমেই অসুস্থ্য হতে থাকলে সর্দার আলী মিয়া শিশুর মাকে ১৩’শত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। পরে শিশুর মা গত ৯ মে শিশুটিকে ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবশেষে গ্রাম্য সর্দারদের বাঁধা ডিঙ্গিয়ে গত বুধবার রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে সরাইল থানায় মামলা করেছে ধর্ষিতার মা। মেডিকেল ও আদালতের কাজ শেষে শিশুটি এখন মায়ের জিম্মায় রয়েছে। মামলা বাদী ধর্ষিতার মা ও বৃদ্ধ বাবা বলেন, এখন আমাদের শিশুটির কি উপায় হবে? আমরা ভূমিহীন। অন্যের জায়গায় থাকি। আমরা খুবই অসহায়। ধান চাষ করেছিলাম। ঝড় শিলাবৃষ্টি শেষ করে দিয়েছে। ঘরে খাবার নেই। সুযোগ নিতে চেয়েছিল সর্দাররা। টাকাও নাকি বন্টন হয়েছে। বিচার করার কথা বলে ঘটনাটি ধামাচামা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা আইনের কাছে গেলাম। আল্লাহ ছাড়া আমাদের কেউ নেই। আমরা দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। সরাইল থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) ধর্ষিতার মেডিকেল সম্পন্ন করেছি। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর (২য় আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সামনে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশুটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

মাহবুব খান বাবুল