ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় পথচারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেফতার “আবেশ” এর উদ্যোগে দিনব্যাপী “গেট টুগেদার এন্ড পিকনিক ২০২৫অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছেলের হাতে মা খুন অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমিন এসোসিয়েশনের জরুরি সভায় সার্ভেয়ার এমরানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আশুগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন সদর হাসপাতালে রোগীদের কম্বল দিলেন ওসি মোজাফ্ফর

সরাইলে ১০ সহস্রাধিক হেক্টর বোরো জমি চাষ অনিশ্চিত কৃষকের চোখে জল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ২৬৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেচ সংকটে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সরাইলে ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ। চাষের ভরা মৌসম চলে যাচ্ছে এখনো খালে আসেনি সবুজ প্রকল্পের পানি। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক উন্নয়নের কাজের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত খালটি। সড়কের পাশে পানির ড্রেন করার কথা থাকলেও শুরূতে এ বিষয়ে চিন্তাই করেননি ঠিকাদার। প্রয়োজনে কখনো খালের মাঝখানে দেয়া হচ্ছে বাঁধ। সবুজের পানি আসছে আসবে বলে শুধু কালক্ষেপণ করছে কর্তৃপক্ষ। সরাইলের জাফর খালে চড়ছে গরূ ছাগল। বোরো চাষ না করতে পারার কষ্টে কাঁদছেন কৃষকরা। সরজমিন ঘুরে বিএডিসি, ইউএনও’র কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি’র সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে সরাইল এলাকার ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে ভাল ধান উৎপাদন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের ফলে ওই প্রবাহের খালটি ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জমি চাষের মাস খানেক পরই খালে পানির প্রবাহ একেবারে কমে গিয়েছিল। তখন চাষকৃত জমি গুলি পানির অভাবে ফেঁটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। পানির দাবীতে আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে কৃষকরা। শেষ রক্ষা হয়নি। আশানুরূপ ফলন হয়নি। ধান চাষে ক্ষতির ঘানি টেনেছেন কৃষকরা। আর এ বছর অবস্থা আরো খারাপ। নির্ধারিত মৌসমের এক মাস পরও সবুজের পানি ছাড়তে পারছেন না বিএডিসি। কারণ পানি প্রবাহের খালটি বন্ধ। এক্সেবেটর দিয়ে মাটি কেটে পানি আনার চেষ্টা করছেন বিএডিসি।

পানির জন্য অপেক্ষা করছেন সরাইলের কৃষকরা। বীজতলা লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তো আসছে না। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বরিং করে গভীর নলকূপ বসিয়েছেন। ডিজেল দিয়ে পানি সেচ করে কিছু জমি চাষ হচ্ছে। তবে খরচ বেশী হওয়ায় বোরো চাষে নিরূৎসাহিত হচ্ছে অধিকাংশ কৃষক। অনেকে পানি না পাওয়ায় দু:খ করে চোখের জল ছেড়ে দিচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত মহাসড়কের ৫০ কিলোমিটার জুড়ে চার লেন উন্নয়নের কাজ চলছে। মোট ব্যয় বরাদ্ধ হচ্ছে ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ কাজের জন্য আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের পাশের খালটি ভরাট হয়ে গেছে। কাজ শুরূর আগে ৩৫-৪০ ফুট প্রস্থের খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। বর্তমানে অনেক ওই খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কষ্টকর। অগণিত জায়গায় প্রবাহের দিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খালের গভীরতাও পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তাই এখন পর্যন্ত প্রকল্পের পানি ছাড়ছেন না বিএডিসি। এসব কারণে আশুগঞ্জ অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের (সবুজ প্রকল্প) আওতায় সরাইল উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষ অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সবুজের পানি মহাসড়কের পাশের খাল দিয়ে প্রথমে জাফর খালে প্রবাহিত হতো। জাফর খাল থেকে বোয়ালিয়া, লাহুর, নাইজুর, বুড্ডা ও উত্তর এলাকার খাল হয়ে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কালিকচ্ছ, পানিশ্বর, নোয়াগাঁও, চুন্টা, শাহবাজপুর এলাকার ১০ সহস্রাধিক হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হতো। এ সময় খাল গুলি পানিতে টুইটুম্বুর থাকত। আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে ২০-২২ হাজার কৃষক এ চাষাবাদ করে আসছেন গত ৪০-৪২ বছর ধরে। সাধারণত বছরের প্রথম দিকেই এ প্রকল্পের পানি প্রবাহ শুরূ হয়। কিন’ এ বছর জানুয়ারি মাস চলে গেছে। এখনো সবুজ প্রকল্পের পানি ছাড়তে পারেনি বিএডিসি। জাফর খালের তলদেশ শুকিয়ে আছে। একাধিক জায়গায় অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে উচুঁ বাধ দিয়েছেন। যে সময়ে বোরো ধানের সবুজ পাতা বাতাসে দোলত। কৃষক জমিতে বসে আগাছা পরিস্কার করত। হুইটার দিত। সেই সময়ে সরাইলের জমি গুলোতে ধূঁলো উড়ছে। খাঁ খাঁ করছে জমির মাটি। কৃষকরা জমির আইল দিয়ে হাঁটছে আর আফসোস করছে। ইসলামাবাদ গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া (৬২), শাহবাজপুর দীঘিরপাড়ের কৃষক ওমেদ আলী (৬৫) ও ইউনুছ মিয়া (৪২) আক্ষেপ করে বলেন, সময় চলে যাচ্ছে। পানি নেই। এক মাস ধরে শুধু পানি আসবে শুনছি। লাখ লাখ কানি জমি চাষ হচ্ছে না। এখন চাষ করলেও ফলন ভাল হবে না। এখানকার কৃষকরা শেষ। কেউ এ বিষয়ে কথা বলছেন না। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় বলেন, দেড় মাস চলে গেছে। সরাইলের বোরো উৎপাদন শেষ। বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে গেছে স্থানীয় কৃষকদের। আজ জেলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আগামী বৃহস্পতিবার একটি স্বারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রূবায়েত ফয়সাল আল-মাছুম এখন পর্যন্ত পানি না দিতে পারার কথা স্বীকার করে বলেন, ফোর লেনের কাজ করতে সবুজ প্রকল্পের পানি প্রবাহের খালটি একেবারে বন্ধই করে দিয়েছেন ঠিকাদার। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় ১১.৬০ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য ৫ মিটার জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এক্সেবেটর দিয়ে খালের মাটি তুলছি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পানি পাবে কৃষকরা। তবে গতি কম থাকবে। আগামী বছর সড়কের পাশে ৪.৫ মিটার প্রস্থ ও ২.৫ মিটার হাইটে আরসিসি ক্যানেল করা হবে। আবার সাব-ক্যানেলও হবে।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে ১০ সহস্রাধিক হেক্টর বোরো জমি চাষ অনিশ্চিত কৃষকের চোখে জল!

আপডেট সময় : ১০:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সেচ সংকটে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে সরাইলে ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ। চাষের ভরা মৌসম চলে যাচ্ছে এখনো খালে আসেনি সবুজ প্রকল্পের পানি। আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়ক উন্নয়নের কাজের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত খালটি। সড়কের পাশে পানির ড্রেন করার কথা থাকলেও শুরূতে এ বিষয়ে চিন্তাই করেননি ঠিকাদার। প্রয়োজনে কখনো খালের মাঝখানে দেয়া হচ্ছে বাঁধ। সবুজের পানি আসছে আসবে বলে শুধু কালক্ষেপণ করছে কর্তৃপক্ষ। সরাইলের জাফর খালে চড়ছে গরূ ছাগল। বোরো চাষ না করতে পারার কষ্টে কাঁদছেন কৃষকরা। সরজমিন ঘুরে বিএডিসি, ইউএনও’র কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি’র সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে সরাইল এলাকার ১০ সহস্রাধিক বোরো জমি চাষ হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। স্বল্প খরচ ও পরিশ্রমে ভাল ধান উৎপাদন হয়ে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মহাসড়কের উন্নয়ন কাজের ফলে ওই প্রবাহের খালটি ভরাট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে জমি চাষের মাস খানেক পরই খালে পানির প্রবাহ একেবারে কমে গিয়েছিল। তখন চাষকৃত জমি গুলি পানির অভাবে ফেঁটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। পানির দাবীতে আন্দোলন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে কৃষকরা। শেষ রক্ষা হয়নি। আশানুরূপ ফলন হয়নি। ধান চাষে ক্ষতির ঘানি টেনেছেন কৃষকরা। আর এ বছর অবস্থা আরো খারাপ। নির্ধারিত মৌসমের এক মাস পরও সবুজের পানি ছাড়তে পারছেন না বিএডিসি। কারণ পানি প্রবাহের খালটি বন্ধ। এক্সেবেটর দিয়ে মাটি কেটে পানি আনার চেষ্টা করছেন বিএডিসি।

পানির জন্য অপেক্ষা করছেন সরাইলের কৃষকরা। বীজতলা লাল হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তো আসছে না। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বরিং করে গভীর নলকূপ বসিয়েছেন। ডিজেল দিয়ে পানি সেচ করে কিছু জমি চাষ হচ্ছে। তবে খরচ বেশী হওয়ায় বোরো চাষে নিরূৎসাহিত হচ্ছে অধিকাংশ কৃষক। অনেকে পানি না পাওয়ায় দু:খ করে চোখের জল ছেড়ে দিচ্ছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার লক্ষ্যে আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত মহাসড়কের ৫০ কিলোমিটার জুড়ে চার লেন উন্নয়নের কাজ চলছে। মোট ব্যয় বরাদ্ধ হচ্ছে ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ কাজের জন্য আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের পাশের খালটি ভরাট হয়ে গেছে। কাজ শুরূর আগে ৩৫-৪০ ফুট প্রস্থের খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো। বর্তমানে অনেক ওই খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কষ্টকর। অগণিত জায়গায় প্রবাহের দিক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খালের গভীরতাও পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। তাই এখন পর্যন্ত প্রকল্পের পানি ছাড়ছেন না বিএডিসি। এসব কারণে আশুগঞ্জ অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের (সবুজ প্রকল্প) আওতায় সরাইল উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষ অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সবুজের পানি মহাসড়কের পাশের খাল দিয়ে প্রথমে জাফর খালে প্রবাহিত হতো। জাফর খাল থেকে বোয়ালিয়া, লাহুর, নাইজুর, বুড্ডা ও উত্তর এলাকার খাল হয়ে সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কালিকচ্ছ, পানিশ্বর, নোয়াগাঁও, চুন্টা, শাহবাজপুর এলাকার ১০ সহস্রাধিক হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হতো। এ সময় খাল গুলি পানিতে টুইটুম্বুর থাকত। আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের পানি দিয়ে ২০-২২ হাজার কৃষক এ চাষাবাদ করে আসছেন গত ৪০-৪২ বছর ধরে। সাধারণত বছরের প্রথম দিকেই এ প্রকল্পের পানি প্রবাহ শুরূ হয়। কিন’ এ বছর জানুয়ারি মাস চলে গেছে। এখনো সবুজ প্রকল্পের পানি ছাড়তে পারেনি বিএডিসি। জাফর খালের তলদেশ শুকিয়ে আছে। একাধিক জায়গায় অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে উচুঁ বাধ দিয়েছেন। যে সময়ে বোরো ধানের সবুজ পাতা বাতাসে দোলত। কৃষক জমিতে বসে আগাছা পরিস্কার করত। হুইটার দিত। সেই সময়ে সরাইলের জমি গুলোতে ধূঁলো উড়ছে। খাঁ খাঁ করছে জমির মাটি। কৃষকরা জমির আইল দিয়ে হাঁটছে আর আফসোস করছে। ইসলামাবাদ গ্রামের কৃষক ফরিদ মিয়া (৬২), শাহবাজপুর দীঘিরপাড়ের কৃষক ওমেদ আলী (৬৫) ও ইউনুছ মিয়া (৪২) আক্ষেপ করে বলেন, সময় চলে যাচ্ছে। পানি নেই। এক মাস ধরে শুধু পানি আসবে শুনছি। লাখ লাখ কানি জমি চাষ হচ্ছে না। এখন চাষ করলেও ফলন ভাল হবে না। এখানকার কৃষকরা শেষ। কেউ এ বিষয়ে কথা বলছেন না। বাংলাদেশ কৃষক সমিতি সরাইল শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় বলেন, দেড় মাস চলে গেছে। সরাইলের বোরো উৎপাদন শেষ। বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে গেছে স্থানীয় কৃষকদের। আজ জেলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আগামী বৃহস্পতিবার একটি স্বারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা আশুগঞ্জ থেকে সরাইল পর্যন্ত সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি। বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রূবায়েত ফয়সাল আল-মাছুম এখন পর্যন্ত পানি না দিতে পারার কথা স্বীকার করে বলেন, ফোর লেনের কাজ করতে সবুজ প্রকল্পের পানি প্রবাহের খালটি একেবারে বন্ধই করে দিয়েছেন ঠিকাদার। আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভায় ১১.৬০ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য ৫ মিটার জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এক্সেবেটর দিয়ে খালের মাটি তুলছি। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পানি পাবে কৃষকরা। তবে গতি কম থাকবে। আগামী বছর সড়কের পাশে ৪.৫ মিটার প্রস্থ ও ২.৫ মিটার হাইটে আরসিসি ক্যানেল করা হবে। আবার সাব-ক্যানেলও হবে।

মাহবুব খান বাবুল