সরাইলে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ি নাজির আহমেদ সাফু (৪১) নিহতের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করছেন পরিবার। ঘটনার ৩৯ দিন পর সাফু হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে আজ সোমবার সকালে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুরূতে শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করতে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়েন তারা। সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সুহিলপুর হারূন আল-রশিদ কলেজের প্রভাষক মো. হানিফ মুন্সি, সাফুর বড় ভাই জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, উদীচী সরাইল শাখার সভাপতি মো. মুজিবুর পাঠান, জাপা নেতা মো. বিল্লাল হোসেন, আবেদুর-অর-শাহিন, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মো. আবুল কাশেম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, আমাদের কর্মসূচিটি শহিদ মিনারে কেন বাঁধাগ্রস্ত হলো বুঝলাম না। আমরা সাফু হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রূত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবী জানিয়েছেন। মামলার আসামী ইউপি সদস্য মোশাহেদ উল্লার বাড়ি ভাংচুর ও দখলের অভিযোগকে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিহিত করে মোশাহেদের বিরূদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন। প্রশাসনের উদ্যেশ্যে বক্তারা বলেন, সাফুর ৩টি এতিম শিশু সন্তানের দিকে তাকিয়ে ন্যায় বিচারটি করূন। যে জায়গার জন্য সাফুকে জীবন দিতে হলো। বিধি অনুসারে সাফুর স্ত্রী সন্তানকে সেই জায়গা বুঝিয়ে দেন। কাগজেপত্রে পাওনা না হলে তাও জানিয়ে দেন। প্রসঙ্গত: গত ২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে জুম্মান সাফুর বসত ঘরে ঢুকে ভাংচুর করে। সাফুর সাথে জুম্মানের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ এসে জুম্মান ও সাফুকে থানায় নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে দ্রূত হাসপাতালের নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাফু মৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। একটি তার স্ত্রী বাদী হয়ে আদালতে অপরটি বড় ভাই বাদী হয়ে সরাইল থানায়।
মাহবুব খান বাবুল