ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অপূর্ব দাস (১৮) নামের এক দোকান কর্মচারির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার অরূয়াইল বাজারে আক্কেল আলী মার্কেটের দ্বিতীয়তলার একটি টেইলার্সের দোকান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। অপূর্ব দাস কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ছৌদন্ত গ্রামের পরিতোষ দাসের দ্বিতীয় ছেলে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে চলছে না কানাঘষা। তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, চার মাস আগে অপূর্ব অরূয়াইল বাজোরের সঞ্জীত রায়ের টেইলার্সের দোকানে কর্মচারি হিসেবে যোগদান করে। রাতে ওই দোকানেই একা থাকত অপূর্ব। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে দোকানে সঞ্জীত রায়ের ছেলে সম্পদ রায়। তখনও দোকান খুলেনি অপূর্ব। দরজা খুলতে বাহির অনেক ডাকাডাকি ও ধাক্কা দিলেও দোকানে কোন সাড়া শব্দ মিলেনি। জোরে ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। ভেতরে প্রবেশ করে সম্পদ রায় দেখে বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগানো অবস’ায় ঝুলছে অপূর্বের নিথর দেহ। সম্পদ দ্রূত তার বাবাকে খবর দেয়। দোকানে লাশের খবরে শতশত মানুষ ভির জমায়। সকাল ১১টার দিকে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস’লে পৌঁছে অপূর্বের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত অপূর্বের চাচা রামপ্রসাদ দাস বলেন, অপূর্ব ছিল ওই দোকানে কর্মচারি। টেইলার্সের কাজের ফাঁকে নিয়মিত বাড়িতে যাওয়া আসা করত। কয়েকদিন আগেও বাড়িতে ঘুরে আসছে। এই মৃত্যুর কারণ বুঝতেছি না। অরূয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূ্ইয়া বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখে মনে হল ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। অরূয়াইল বিটের উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়না তদন্তের পর।
মাহবুব খান বাবুল