ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় পথচারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৩ জন গ্রেফতার “আবেশ” এর উদ্যোগে দিনব্যাপী “গেট টুগেদার এন্ড পিকনিক ২০২৫অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছেলের হাতে মা খুন অবৈধভাবে শটগানের কার্তুজসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার তারুণ্যের উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমিন এসোসিয়েশনের জরুরি সভায় সার্ভেয়ার এমরানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আশুগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন সদর হাসপাতালে রোগীদের কম্বল দিলেন ওসি মোজাফ্ফর

সরাইলে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় পিডিবি’র প্রকৌশলী সুমনের অপসারণের দাবী; মানববন্ধনের ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

সরাইলে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

সরাইল পিডিবি’র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন হোসেন সর্দারের দ্রূত অপসারণের দাবী ওঠেছে উপজেলার সর্বোচ্চ ফোরাম মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায়। আজ মঙ্গলবার ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় গত ৭ বছর ধরে লাগামহীন অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে সরাইলের গ্রাহকদের শোষণের অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সুমনের অপসারণের জোর দাবী জানিয়েছেন। এই বিষয়টি রেজুলেশনে অন্তর্ভূক্ত করার আহবান করেছেন। সেই রেজুলেশন পিডিবি’র চেয়ারম্যান থেকে উর্ধ্বতন সকল দফতরে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও অধিকাংশ সদস্য এই বিষয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই দাবী আদায় না হলে তারা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় থেকে সবকিছু জেনে বুঝে গেছেন। গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট। তাই প্রকৌশলী সুমন যা মন চায় তাই করছেন। গ্রাহকদের চামড়া চিলে কোটি কোটি লুটে নিয়েছেন। উনাকে দ্রূত সরাইল থেকে সরানোর ব্যবস্থা করূন। সরাইলবাসীকে তার কাল থাবা থেকে বাঁচান। সরাইল পিডিবি সদস্য হয়েও এই সভায় কোন সময়ই আসেন না। এর কারণ কী? আমরা তা জানতে চাই। তারা কি সরাইল উপজেলা থেকে আলাদা? এই বিভাগটি কার অধীনে? ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল নাকি সুমন সাহেবের নির্দেশে এইটি চলে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সভার প্রধান অতিথি রফিক উদ্দিন ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন, এক প্রকৌশলী সুমনে সরাইল শেষ। খুঁটি ক্যাবল বিক্রির সাথে নতুন করে অন্য কৌশল যুক্ত হয়েছে। তিনি একটি দল নিয়ে রাতের বেলা অভিযানে নামেন। যার মিটার নেই তার লাইনও কেটে আনেন। যার আছে তারটাও আনেন। অফিসে আসার কথা বলে আসেন। অফিসে আসলে ২০ টা কেটে আনলে ১৪-১৫ টির মালিকের সাথে চুক্তি করে মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। বাকি গুলোর সাথে আরেকটি চুক্তি করে লোক দেখানো জরিমানা করেন। এভাবেই চলছে সুমনের মারিং কাটিং প্রকল্প। চোখ কপালে ওঠছে অসহায় গ্রাহকদের। বিষয় গুলো একাধিকবার জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ওঠেছে। আমি সুমনের সকল অপকর্ম দূর্নীতি গ্রাহক হয়রানি কুমিল্লার প্রধান প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তিনিও বলেছেন ৭ বছর হয়ে গেছে তো! পরে দ্রূত পরের দিনই সুমনকে বদলির ফ্যাক্স পাঠিয়ে আমাকে জানিয়েছেন। খুবই খুশি হয়েছিল সরাইলবাসী। কিন্তু আশ্চর্য্যজনক বিষয় গুলো সুমন সাহেবের বদলি ঠেকাতে মাঠে নেমে পড়েন বর্তমান এক্সেন। একজন জনপ্রতিনিধিকে বড় অংকের টাকা দিয়ে চাঁদপুরে যোগদানের তারিখে বদলি ষ্টে করিয়েছেন। তিনি আবার এখন নিশ্চিন্তে আগের অপকর্ম গুলো শুরূ করেছেন। আজকের সভার রেজুলেশনে সুমনের অপসারণের দাবীর বিষয়টি যুক্ত করে পিডিবি’র চেয়ারম্যান থেকে শুরূ করে সকল দফতরে প্রেরণ করবেন। পরে ১৫ দিন সময়। এর মধ্যে সুমনকে সরাইল থেকে অপনারণ না করলে সকলে মিলে মানববন্ধন কর্মর্সচিসহ নানা কর্মসূচি দিব। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন হোসেন সর্দার বলেন, ৭ বছর নয়। ৫ বছর হতে কিছু সময় বাকি। খুঁটি ক্যাবলের দায়িত্ব আমার না। বদলি ষ্টে টাকায় নয়। আমার অফিসের কর্মকর্তারা আমাকে রেখেছেন। আইন-শৃঙ্খলা সভায় আমার অপসারণ দাবীর বিষয়টি জানা নেই। চাইলে আমি কি আর করতে পারব। তবে উনাদের কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে অফিসে এসে কথা বললেই সব জানতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় পিডিবি’র প্রকৌশলী সুমনের অপসারণের দাবী; মানববন্ধনের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ

সরাইল পিডিবি’র উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সুমন হোসেন সর্দারের দ্রূত অপসারণের দাবী ওঠেছে উপজেলার সর্বোচ্চ ফোরাম মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায়। আজ মঙ্গলবার ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় গত ৭ বছর ধরে লাগামহীন অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে সরাইলের গ্রাহকদের শোষণের অভিযোগ এনে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সুমনের অপসারণের জোর দাবী জানিয়েছেন। এই বিষয়টি রেজুলেশনে অন্তর্ভূক্ত করার আহবান করেছেন। সেই রেজুলেশন পিডিবি’র চেয়ারম্যান থেকে উর্ধ্বতন সকল দফতরে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সভায় উপস্থিত সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও অধিকাংশ সদস্য এই বিষয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই দাবী আদায় না হলে তারা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম বলেন, দীর্ঘদিন এক জায়গায় থেকে সবকিছু জেনে বুঝে গেছেন। গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট। তাই প্রকৌশলী সুমন যা মন চায় তাই করছেন। গ্রাহকদের চামড়া চিলে কোটি কোটি লুটে নিয়েছেন। উনাকে দ্রূত সরাইল থেকে সরানোর ব্যবস্থা করূন। সরাইলবাসীকে তার কাল থাবা থেকে বাঁচান। সরাইল পিডিবি সদস্য হয়েও এই সভায় কোন সময়ই আসেন না। এর কারণ কী? আমরা তা জানতে চাই। তারা কি সরাইল উপজেলা থেকে আলাদা? এই বিভাগটি কার অধীনে? ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল নাকি সুমন সাহেবের নির্দেশে এইটি চলে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সভার প্রধান অতিথি রফিক উদ্দিন ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন, এক প্রকৌশলী সুমনে সরাইল শেষ। খুঁটি ক্যাবল বিক্রির সাথে নতুন করে অন্য কৌশল যুক্ত হয়েছে। তিনি একটি দল নিয়ে রাতের বেলা অভিযানে নামেন। যার মিটার নেই তার লাইনও কেটে আনেন। যার আছে তারটাও আনেন। অফিসে আসার কথা বলে আসেন। অফিসে আসলে ২০ টা কেটে আনলে ১৪-১৫ টির মালিকের সাথে চুক্তি করে মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। বাকি গুলোর সাথে আরেকটি চুক্তি করে লোক দেখানো জরিমানা করেন। এভাবেই চলছে সুমনের মারিং কাটিং প্রকল্প। চোখ কপালে ওঠছে অসহায় গ্রাহকদের। বিষয় গুলো একাধিকবার জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় ওঠেছে। আমি সুমনের সকল অপকর্ম দূর্নীতি গ্রাহক হয়রানি কুমিল্লার প্রধান প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তিনিও বলেছেন ৭ বছর হয়ে গেছে তো! পরে দ্রূত পরের দিনই সুমনকে বদলির ফ্যাক্স পাঠিয়ে আমাকে জানিয়েছেন। খুবই খুশি হয়েছিল সরাইলবাসী। কিন্তু আশ্চর্য্যজনক বিষয় গুলো সুমন সাহেবের বদলি ঠেকাতে মাঠে নেমে পড়েন বর্তমান এক্সেন। একজন জনপ্রতিনিধিকে বড় অংকের টাকা দিয়ে চাঁদপুরে যোগদানের তারিখে বদলি ষ্টে করিয়েছেন। তিনি আবার এখন নিশ্চিন্তে আগের অপকর্ম গুলো শুরূ করেছেন। আজকের সভার রেজুলেশনে সুমনের অপসারণের দাবীর বিষয়টি যুক্ত করে পিডিবি’র চেয়ারম্যান থেকে শুরূ করে সকল দফতরে প্রেরণ করবেন। পরে ১৫ দিন সময়। এর মধ্যে সুমনকে সরাইল থেকে অপনারণ না করলে সকলে মিলে মানববন্ধন কর্মর্সচিসহ নানা কর্মসূচি দিব। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন হোসেন সর্দার বলেন, ৭ বছর নয়। ৫ বছর হতে কিছু সময় বাকি। খুঁটি ক্যাবলের দায়িত্ব আমার না। বদলি ষ্টে টাকায় নয়। আমার অফিসের কর্মকর্তারা আমাকে রেখেছেন। আইন-শৃঙ্খলা সভায় আমার অপসারণ দাবীর বিষয়টি জানা নেই। চাইলে আমি কি আর করতে পারব। তবে উনাদের কোন অভিযোগ বা কিছু জানার থাকলে অফিসে এসে কথা বললেই সব জানতে পারেন।