মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জিয়াউল আমিন নামের এক ব্যবসায়ির বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠেছে। গত রোববার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের তীর একই গ্রামের বাসিন্দা মাহিনুরের দিকে। এ ঘটনায় জিয়াউল আমিনের ছেলে রিফাত বিন জিয়া বাদী হয়ে গতকাল সরাইল থানায় একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। পুলিশ এ ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। মামলা ও স’ানীয় সূত্র জানায়, জিয়াউল আমিন, মাহিনুর ও আইয়ুব খান একই গ্রামের বাসিন্দা। জিয়াউল আমিনের গোত্রের আপন দুই ভাই আক্তার হোসেন ও ফরিদ হোসেনের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিনের। ওই বিরোধে সর্দার ছিলেন আইয়ুব খান। এ বিষয়ে মতানৈক্য হওয়ায় জিয়াউল আমিন ও আইয়ুব খানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত রোববার বিকেলে মাহিনুরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক জিয়াউল আমিনের বাড়িতে ডাকাতির উদ্যেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। এ সময় ওই বাড়িতে কোন পুরূষ লোক ছিল না। প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বসত ঘরের দরজা জানালা ভাংচুর করে। পরে একে একে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার সহ ২০-২৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। বাড়িতে থাকা জিয়াউল আমিনের স্ত্রী ও তাঁর পুত্র বধূ হামলাকারীদের অনেককেই চিনতে পারেন। তাদের বিরূদ্ধে এর আগেও সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাহিনুর (৪২), মহিউদ্দিন (৫২), জুলকার নাইন (২৫), আপন খান (৪০), পারভেজ খান (৩৮), জিয়াউদ্দিন (৩৫) ও রকি খান (২৩)। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের স্বজনরা বলেন, অভিযোগপত্রে উল্লেখিত বিষয় গুলি সঠিক নয়। ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। মারামারি হয়েছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, সেখানে দুইটি দলের মধ্যে বিরোধ অনেক আগের। শুনেছি এর জের ধরেই হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেয়েছি। ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিব।