মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বসতবাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে প্রবাসী মো. হামিদ মিয়াকে (৫৮) হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন পরিবার। আজ সকালে হামিদের বাড়ির উত্তর পাশের খালি জায়গা থেকে লাশটি উদ্ধার করেছেন সরাইল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা লোকদের আসামী করে সরাইল মামলা করেছেন স্ত্রী রিনা বেগম (৪৮)।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে হামিদ দ্বিতীয়। চার সন্তানের জনক হামিদ মিয়া। চারতলা ভবনের নীচতলায় একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে থাকেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে মুঠোফোনে কে বা কারা ফোন দিয়ে যেতে বলে। হামিদ তখন বেরিয়ে যায়। এভাবে মাঝে মধ্যে হামিদ বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু ওই রাতে হামিদ আর বাড়ি ফিরেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের খালি জমিতে খেলতে যায় দুটি শিশু। এরমধ্যে একজন হামিদের ভাতিজা। তারা দূর থেকে একটি মানুষ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে ভয় পায়। আবার আস্তে আস্তে পা ফেলে মানুষটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক সময় হামিদের ভাতিজা তার চাচাকে চিনে ফেলে। ডাক দিলে কোন কথা বলেন না চাচা। দৌঁড়ে বাড়িতে এসে ওই শিশুটি তার বাবাসহ সকলকে জানায়। তারা গিয়ে দেখেন রাতের পড়া জামা কাপড় এলোমেলা হয়ে শরীরে জড়ানো অবস্থায় হামিদের লাশ পড়ে আছে। পাশে তার পায়ের প্লাস্টিকের জুতাজুড়া। খবর পেয়ে পুলিশ এসে হামিদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। হামিদের ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী ও স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, কে বা কাহারা মুঠোফোনে ফোন করে রাতের বেলা হামিদকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। পরে রাতের কোন সময় হামিদকে হত্যা করে লাশটি বাড়িরের কাছে পেলে গেছে। আমরা খুনিদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাচ্ছি। হামিদের কয়েকজন স্বজন জানায়, সম্প্রতি কতিপয় মাদকাসক্ত যুবক প্রায়ই হামিদকে ডেকে কাছে আসতে দেখেছি। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, হামিদের স্ত্রী মামলা করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত চলছে। আশা করছি দ্রূততম সময়ের মধ্যে মূল হোতারা ধরা পড়বে।