সরাইলে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার ধর্ষক শ্রীঘরে
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
সরাইলের পল্লীতে জনৈক প্রবাসীর বাকপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী (১৬) কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক এক সন্তানের জনক আদু মিয়া (৩৬) এখন শ্রীঘরে। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। রাত ১২টার পর সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধর্ষক আদুকে গ্রেপ্তার করেছে। আদু একই পাড়ার আবু মিয়ার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নরসিংহপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে আদু মিয়া। সৌদীতে ছিল দীর্ঘদিন। বছর দিন আগে একেবারে দেশে এসছে আদু। আদু বিবাহিত। একটি সন্তান হয়ে মারা গেছে। পাশের বাড়ির বাকপ্রতিবন্ধী (মুখে কথা আটকে যায়) এক কিশোরীর উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে আদু’র। আদু’র স্ত্রী বেড়াতে যায় বাবার বাড়িতে। বাড়ি একবারে ফাঁকা। সুযোগ কাজে লাগাতে ঘুরতে থাকে আদু। গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে ওই কিশোরী পাশেই তার নানার বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেয়। পূর্ব থেকে ওৎ পেতে বসেছিল আদু। পথ থেকে কিশোরীকে ধরে নিয়ে যায় নিজ বাস ভবনের ছাদের উপর। কিশোরীর ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করে আদু। কিশোরী জোরে চিৎকার করলেও পাশেই এক বাড়িতে মাহফিলের মাইকের শব্দে কেউ শুনেনি। রাত ৯টার পর আদুর কবল থেকে মুক্তি পায় ওই কিশোরী। ধর্ষণের কারণে মারাত্বক আহত হওয়ায় খুব কষ্টে কোন রকমে নানার বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা জানিয়ে দেয় কিশোরী। কিশোরীর স্বজনরা আদুকে তার বাসভবনে আটক করে। বিষয়টি পুলিশকে জানায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা/ ১২টার দিকে ধর্ষক আদুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষিতাকেও উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষক আদুকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতার স্বজন কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন, আদু আদালতে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষিতার অবস্থা গুরূতর। চিকিৎসকরা বলেছেন কিশোরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে হতে পারে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মুখলেছুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আদু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে এটি সত্য। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়েই রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছি। মেডিকেল রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাহবুব খান বাবুল