সরাইলে বল প্রয়োগ করে জায়গা দখলের চেষ্টা পুলিশের বাধাঁ, আহত-৪

- আপডেট সময় : ০৫:২৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২ ২৫৩ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:
জায়গার উপর আদালতে মামলা চলমান। তারপরও ২০-৩০ জন লোক বল প্রয়োগ প্রয়োগ করে ওই জায়গায় ঘর ওঠানোর চেষ্টা করে। প্রতিপক্ষের বাধাঁয় শুরূ হয় ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি। অবস্থা বেগতিক দেখে ৯৯৯-এ ফোন। দ্রূততম সময়ের মধ্যে হাজির সরাইল থানা পুলিশ। ততক্ষণে ৩ নারীসহ আহত হয়েছেন ৪ জন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ এলাকার নমসুদ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ওই জায়গায় যেতে নিষেধ করেছেন পুলিশ। স্থানীয় লোকজন ও দলিলপত্র সূত্র জানায়, কালীকচ্ছ মৌজার সিএস-এ মালিক (বিএস নং-৩০৬৯) মনিরাম নমশুভ্র গংরা ২২ শতাংশ জায়গা বিক্রি করেন শিশু ভূষণ ভৌমিক গংদের কাছে। শিশু ভূষণ গংরা সেই জায়গাটি (২২ শতাংশ) বিক্রি করেন মো. শফিকুল ইসলামের কাছে। ক্রয়ের ২২ বছর গত ২০০০ খ্রিষ্টব্দে শফিকুল ওই ২২ শতাংশ জায়গা বিক্রির প্রস্তাব দেন। সিএস-এর লোকজনের উত্তরাধিকারী জায়গাটির একেবারে সন্নিকটের বাসিন্দা রঞ্জিত দাস (৭৫), রবি দাস (৮৬), কৃষ্ণ কমল সরকার (৬০) ও অমরিত সরকার (৭০) জায়গাটি ক্রয় করেন। ওই দলিলের চৌহদ্দির চারিদিকে কোথাও শফিকুলের কোন জায়গার উল্লেখ নেই। নিচু জায়গাটিতে তারা ৪-৫ লাখ টাকার মাটি ফেলে ভরাট করেন। শফিকুল এই বছরের ২৩ মার্চ ৩০৬৯ নং বিএস দেখিয়ে রঞ্জিত দাসদের প্রতিবেশী ছানুধরের (৫০) কাছে নতুন করে ৮ শতাংশ জায়গা বিক্রয় করেন। কিন’ সরজমিনে এসে জায়গা কখনো দেখিয়ে দেননি। ছানুধর বল প্রয়োগ করে রঞ্জিতদের জায়গায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। গাছ কাটেন। জায়গাটির জামেলা নিস্পত্তির জন্য আদালতে মামলা হয়। মামলাটি চলমান আছে। এমতা অবস্থায় ছানুধর ৮ শতক জায়গার দখল নিতে মরিয়া হয়ে লড়ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২০-৩০ জনের একদল লোক নিয়ে ওই জায়গায় ঘর ওঠানোর চেষ্টা করেন। চিৎকার চেচাঁমেচি করে বাধাঁ দেন রঞ্জিত দাস গংরা। শুরূ হয় বাকবিতন্ডা ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি। দখলদারদের তান্ডব বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে কে যেন ৯৯৯-এ ফোন দেন। দ্রূত ঘটনাস্থলে হাজির হন এস আই মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। পুলিশের বাধাঁয় পিছু হটে দখলদার বাহিনী। ততক্ষণে আহত হন স্বপ্না রানী (২৫), ভাষণা সরকার (৫৫), অর্পণা বিশ্বাস (২৮) ও উল্লাসকর দাস (৩০)। মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে ওই জায়গায় যেতে নিষেধ করেছেন। ছানুধর জায়গার দখল না বুঝে শফিকুল ইসলামের ভিএস মূলে মালিকানা দেখে ৮ শতক জায়গা ক্রয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস’লে আমি যায়নি। অনেক দিন ধরে ঘুরছি। এরা সমাজ দশ মানে না। সরাইল থানার এস আই মো. মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের মামলা নিস্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত কেউ সেখানে যেতে পারবে না। এর ব্যতিক্রম হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।