Dhaka 12:37 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

সরাইলে পুরূষ সদস্য পদে লড়ছেন ৫ প্রার্থী ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে ভোটের মূল্য

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:52:36 pm, Wednesday, 12 October 2022
  • 162 Time View

22

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ড সরাইলে ১ পদের জন্য লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। ভোটের বাকি আর মাত্র ৬ দিন। দিনে রাতে প্রার্থীরা দৌঁড়ছেন ভোটারদের কাছে। মাঝে মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বসে করছেন সভা। হাটে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে চায়ের আড্ডায় এখন শুধু একই আলোচনা। তবে ভালবাসা আর সম্পর্কে নয়। ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ভোটের মূল্য এমন মন্তব্য জনৈক ভোটারের। কেউ কেউ এক লাখও হাকাচ্ছেন। নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এখন আছেন জামাই আদরে। সরজমিনে ঘুরে ভোটার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনী মাঠে এখন সক্রিয় হয়ে ওঠেছে প্রার্থীরা। ৯ ইউনিয়নের সমন্বয়ে গড়া সরাইলে (২ নম্বর ওয়ার্ড) একজন সদস্য হবেন। আর এই পদের জন্য মাঠে লড়ছেন ৫ জন। বিরতিহীন ভাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। ভোটের জন্য তারা অজপাড়া গায়ে ঘুরছেন দিনে রাতে। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানেও সরব সকল প্রার্থীই। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কদর বেড়েই চলছে। প্রত্যেকেই যার যার মত করে মাঠ দাবরিয়ে বেড়াচ্ছেন। যার যার কৌশলে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা ভোটার। সরাইলে ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটার সংখ্যা ১১৭ জন। আর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ভোটার ১২০ জন। উপজেলার এই ১২০ জনপ্রতিনিধির ভোটেই নির্ধারিত হবে সরাইল থেকে কে হবেন জেলা পরিষদের সদস্য? তবে বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী সকল প্রার্থীই। ভোটাররা চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করছেন প্রার্থীদের সততা স্বচ্ছতা যোগ্যতা ও কর্মকান্ড নিয়ে। কাকে দিয়ে হবে এলাকার উন্নয়ন। উৎকোচ ছাড়া কে দিবেন প্রকল্প? এমন সব আলোচনা এখন সরাইলের সর্বত্রই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ইউপি সদস্য বলেন, আশ্চর্য হলাম। এক প্রার্থী প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে ভোটের জন্য আমাকে এক লাখ দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। আরেকজন ভোটার বলেন, ২০/৩০/৫০ হাজার টাকায় ভোট ক্রয়ের একটি আলামত চলছে। তবে ভোট বিক্রি মোটেও ভাল কাজ নয়। ভোট কেন্দ্র হওয়ার কথা রয়েছে সরাইল উপজেলা চত্বরের ‘সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়াম।’ সরাইলের প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা। তিনি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়াও তিনি নানামূখী সামাজিক কাজের সাথে জড়িত। একই ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামের আব্দুল মালেক সামাজিক ব্যক্তিত্ব বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী একজন গর্বিত শিল্পপতি। জেলা শহরে গ্রান্ড এ মালেক, মালেক কনভেনশন সেন্টার ও দি ঝুমুর হোটেলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, রোটারি ক্লাব ও এপেক্স ক্লাব সহ কয়েকটি ব্যবসায়ি সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে আছেন তিনি। সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মালেক সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করছেন নিয়মিত। সহায়তা করছেন মসজিদ মাদরাসায় ও এতিমখানায়। অবদান রেখে চলেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরে। তিনি বলেন, আমি দিতে চাই, নিতে নয়। কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার দৌলতপাড়া এলাকার মো. জাকির হোসেন। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি জাকির মানুষ ও সমাজের জন্য কাজ করছেন। সময়ে সময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় দরিদ্র বঞ্চিত মানুষদের। শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানবসেবা তার মূল লক্ষ। নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে উনারা গড়ে তুলেছেন ‘উত্তর কালীকচ্ছ স্কুল এন্ড কলেজ।’ সদস্য হয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করাই তার লক্ষ্য। কালীকচ্ছ দক্ষিণ কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ি উত্তম কর্মকার। সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষদের সেবা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ২ নং ওয়ার্ড বাসীর রাস্তা ঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। শাহবাজপুর গ্রামের মো. শাহেদ মিয়া বাবুল। শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ মিয়া বাবুলও একজন ভাল সমাজসেবক। জেলা শহরে রয়েছে তার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইলে পুরূষ সদস্য পদে লড়ছেন ৫ প্রার্থী ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে ভোটের মূল্য

Update Time : 09:52:36 pm, Wednesday, 12 October 2022

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য পদে ২ নম্বর ওয়ার্ড সরাইলে ১ পদের জন্য লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। ভোটের বাকি আর মাত্র ৬ দিন। দিনে রাতে প্রার্থীরা দৌঁড়ছেন ভোটারদের কাছে। মাঝে মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের বসে করছেন সভা। হাটে মাঠে ঘাটে পথে প্রান্তরে চায়ের আড্ডায় এখন শুধু একই আলোচনা। তবে ভালবাসা আর সম্পর্কে নয়। ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ভোটের মূল্য এমন মন্তব্য জনৈক ভোটারের। কেউ কেউ এক লাখও হাকাচ্ছেন। নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা এখন আছেন জামাই আদরে। সরজমিনে ঘুরে ভোটার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনী মাঠে এখন সক্রিয় হয়ে ওঠেছে প্রার্থীরা। ৯ ইউনিয়নের সমন্বয়ে গড়া সরাইলে (২ নম্বর ওয়ার্ড) একজন সদস্য হবেন। আর এই পদের জন্য মাঠে লড়ছেন ৫ জন। বিরতিহীন ভাবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। ভোটের জন্য তারা অজপাড়া গায়ে ঘুরছেন দিনে রাতে। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানেও সরব সকল প্রার্থীই। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কদর বেড়েই চলছে। প্রত্যেকেই যার যার মত করে মাঠ দাবরিয়ে বেড়াচ্ছেন। যার যার কৌশলে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা ভোটার। সরাইলে ইউনিয়ন পরিষদের মোট ভোটার সংখ্যা ১১৭ জন। আর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ভোটার ১২০ জন। উপজেলার এই ১২০ জনপ্রতিনিধির ভোটেই নির্ধারিত হবে সরাইল থেকে কে হবেন জেলা পরিষদের সদস্য? তবে বিজয়ী হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী সকল প্রার্থীই। ভোটাররা চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করছেন প্রার্থীদের সততা স্বচ্ছতা যোগ্যতা ও কর্মকান্ড নিয়ে। কাকে দিয়ে হবে এলাকার উন্নয়ন। উৎকোচ ছাড়া কে দিবেন প্রকল্প? এমন সব আলোচনা এখন সরাইলের সর্বত্রই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক ইউপি সদস্য বলেন, আশ্চর্য হলাম। এক প্রার্থী প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে ভোটের জন্য আমাকে এক লাখ দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমি ফিরিয়ে দিয়েছি। আরেকজন ভোটার বলেন, ২০/৩০/৫০ হাজার টাকায় ভোট ক্রয়ের একটি আলামত চলছে। তবে ভোট বিক্রি মোটেও ভাল কাজ নয়। ভোট কেন্দ্র হওয়ার কথা রয়েছে সরাইল উপজেলা চত্বরের ‘সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়াম।’ সরাইলের প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা। তিনি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়াও তিনি নানামূখী সামাজিক কাজের সাথে জড়িত। একই ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামের আব্দুল মালেক সামাজিক ব্যক্তিত্ব বহুবিধ প্রতিভার অধিকারী একজন গর্বিত শিল্পপতি। জেলা শহরে গ্রান্ড এ মালেক, মালেক কনভেনশন সেন্টার ও দি ঝুমুর হোটেলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, রোটারি ক্লাব ও এপেক্স ক্লাব সহ কয়েকটি ব্যবসায়ি সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে আছেন তিনি। সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মালেক সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করছেন নিয়মিত। সহায়তা করছেন মসজিদ মাদরাসায় ও এতিমখানায়। অবদান রেখে চলেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরে। তিনি বলেন, আমি দিতে চাই, নিতে নয়। কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার দৌলতপাড়া এলাকার মো. জাকির হোসেন। বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শিল্পপতি জাকির মানুষ ও সমাজের জন্য কাজ করছেন। সময়ে সময়ে পাশে দাঁড়াচ্ছেন অসহায় দরিদ্র বঞ্চিত মানুষদের। শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানবসেবা তার মূল লক্ষ। নিজ এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াতে উনারা গড়ে তুলেছেন ‘উত্তর কালীকচ্ছ স্কুল এন্ড কলেজ।’ সদস্য হয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করাই তার লক্ষ্য। কালীকচ্ছ দক্ষিণ কর্মকার পাড়ার বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ি উত্তম কর্মকার। সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষদের সেবা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ২ নং ওয়ার্ড বাসীর রাস্তা ঘাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নই আমার লক্ষ্য। শাহবাজপুর গ্রামের মো. শাহেদ মিয়া বাবুল। শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ মিয়া বাবুলও একজন ভাল সমাজসেবক। জেলা শহরে রয়েছে তার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল।