ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

সরাইলে গভীররাতে দুই ইউনিয়নে অগ্নিসংযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরাইলে গভীর রাতে একই সময়ে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৈশান বাড়ি এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে দুই ইউনিয়নের একটি বসতঘরসহ ২০টি খড়ের স্তুপে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার। এতে আতঙ্কগ্রস’ হয়ে পড়েছে গোটা গ্রামবাসী। কেন? কারা? কি উদ্যেশ্যে? এভাবে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা এখন চারিদিকে। আজ বুধবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, মনিরবাগ এলাকায় সড়কের পাশে বসতঘরের নিকটে বড় বড় খড়ের স’প জ্বলে গেছে। তখনও জ্বলছে আগুন। উড়ছে ধোঁয়া। মনিরবাগ ও মৈশানবাড়ি এলাকায় প্রায় ২০ টি স’প জ্বালিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। জ্বলেপুঁড়ে ছারখার হয়ে গেছে কালীকচ্ছ গ্রামের রইছ মিয়ার বসত ঘরটি। বাহিরে খোলা আকাশের নীচে বসে আছে পরিবারের লোকজন। স্থানীয় নারী পুরূষরা এগিয়ে আসেন। তারা জানান, রাত প্রায় ৩টা। হঠাৎ করে ঘুমের মধ্যেই নাকে আগুনে পোঁড়ার গন্ধ লাগে। মাঘ মাসের শীতের রাত প্রথমে ওঠতে একটু গড়িমসি করলেও পরে ঘরের ভেতর থেকে আগুনের লেলিখান শিখা দেখে আর বসে থাকেননি। বেরিয়ে দেখেন আগুনে চোখের সামনে পুঁড়ছে তাদের বসতঘর ও খড়ের স্তুপ গুলো। লোকজনের আর্তচিৎকারে আশপাশের বাসিন্ধারাও ছুটে আসেন। পুকুর, খাল ও নলকূপের পানি ছিটিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। আগুন নিভেছে ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে জ্বলেপুঁড়ে সব শেষ। তবে রাইছ আলীর ঘরের আগুন কোন ভাবেই নিভাতে পারছিলেন না লোকজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে বসতঘরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানকার অধিকাংশ লোকজনের গরূর খাবার এই খড়ের স্তুপ। তারা বলেন, এখন টাকা দিয়েও আর এমন খেড় ক্রয় করতে পারব না। আমাদের গরূ গুলো এখন কি খেয়ে বাঁচবে। মনিরবাগ দক্ষিণ পাড়ার আবুল কাশেম ((৭০), পূর্ব পাড়ার হালিম মিয়া (৫০) ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৈশান বাড়ির আবদুল আওয়াল মৈশান (৬৫) বলেন, জীবনেও এমন কান্ড দেখিনি। কি কারণে? কারা? এক সাথে খেড়ে আগুন দিল বুঝলাম না। দুই দুই-আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে দূর্বৃত্তরা। এর পেছনের রহস্য ও কারণ বের করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। আজ দুপুরের দিকে দপ্তরে গেলে কালীকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন বলেন, আমি ১০ মিনিট আগে বিষয়টি জেনেছি। সরজমিনে গিয়ে খুঁজ খবর নিব। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমি এইমাত্র বিষয়টি জানলাম। আমি ওসি সাহেবের সহযোগিতায় তদন্ত করে নাশকতা কারীদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে গভীররাতে দুই ইউনিয়নে অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় : ০৮:২৪:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সরাইলে গভীর রাতে একই সময়ে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের মনিরবাগ ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৈশান বাড়ি এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে দুই ইউনিয়নের একটি বসতঘরসহ ২০টি খড়ের স্তুপে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার। এতে আতঙ্কগ্রস’ হয়ে পড়েছে গোটা গ্রামবাসী। কেন? কারা? কি উদ্যেশ্যে? এভাবে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনা এখন চারিদিকে। আজ বুধবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, মনিরবাগ এলাকায় সড়কের পাশে বসতঘরের নিকটে বড় বড় খড়ের স’প জ্বলে গেছে। তখনও জ্বলছে আগুন। উড়ছে ধোঁয়া। মনিরবাগ ও মৈশানবাড়ি এলাকায় প্রায় ২০ টি স’প জ্বালিয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। জ্বলেপুঁড়ে ছারখার হয়ে গেছে কালীকচ্ছ গ্রামের রইছ মিয়ার বসত ঘরটি। বাহিরে খোলা আকাশের নীচে বসে আছে পরিবারের লোকজন। স্থানীয় নারী পুরূষরা এগিয়ে আসেন। তারা জানান, রাত প্রায় ৩টা। হঠাৎ করে ঘুমের মধ্যেই নাকে আগুনে পোঁড়ার গন্ধ লাগে। মাঘ মাসের শীতের রাত প্রথমে ওঠতে একটু গড়িমসি করলেও পরে ঘরের ভেতর থেকে আগুনের লেলিখান শিখা দেখে আর বসে থাকেননি। বেরিয়ে দেখেন আগুনে চোখের সামনে পুঁড়ছে তাদের বসতঘর ও খড়ের স্তুপ গুলো। লোকজনের আর্তচিৎকারে আশপাশের বাসিন্ধারাও ছুটে আসেন। পুকুর, খাল ও নলকূপের পানি ছিটিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। আগুন নিভেছে ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে জ্বলেপুঁড়ে সব শেষ। তবে রাইছ আলীর ঘরের আগুন কোন ভাবেই নিভাতে পারছিলেন না লোকজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে বসতঘরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেখানকার অধিকাংশ লোকজনের গরূর খাবার এই খড়ের স্তুপ। তারা বলেন, এখন টাকা দিয়েও আর এমন খেড় ক্রয় করতে পারব না। আমাদের গরূ গুলো এখন কি খেয়ে বাঁচবে। মনিরবাগ দক্ষিণ পাড়ার আবুল কাশেম ((৭০), পূর্ব পাড়ার হালিম মিয়া (৫০) ও নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৈশান বাড়ির আবদুল আওয়াল মৈশান (৬৫) বলেন, জীবনেও এমন কান্ড দেখিনি। কি কারণে? কারা? এক সাথে খেড়ে আগুন দিল বুঝলাম না। দুই দুই-আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে দূর্বৃত্তরা। এর পেছনের রহস্য ও কারণ বের করতে প্রশাসনকে অনুরোধ করছি। আজ দুপুরের দিকে দপ্তরে গেলে কালীকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছায়েদ হোসেন বলেন, আমি ১০ মিনিট আগে বিষয়টি জেনেছি। সরজমিনে গিয়ে খুঁজ খবর নিব। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, আমি এইমাত্র বিষয়টি জানলাম। আমি ওসি সাহেবের সহযোগিতায় তদন্ত করে নাশকতা কারীদের বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

মাহবুব খান বাবুল