মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জোনাকী বেগম (১৪) এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। জোনাকী কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামের আশিক মিয়ার মেয়ে। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ নাহিদুল মিয়া (১৮) ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়েছে। আর নাহিদুলের পরিবারের দাবী জোনাকী আত্মহত্যা করেছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার বিশুতারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, ইটভাটার শ্রমিক আশিক মিয়ার মেয়ে জোনাকী। আর খোকন মিয়ার ছেলে নাহিদুল মিয়া। তারা একে অপরের প্রতিবেশী। জোনাকী বিশুতারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। আজ সকালের দিকে জোনাকীর মামা জমির মিয়ার বসত ঘরের লোকজন কাজে বাহিরে গিয়েছিল। দুপুর বেলা বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা লাগানো। ২ জন মহিলা মিলে উপরের দিকে দরজা খুলেন। ভেতরে প্রবেশ করে তারা দেখতে পান চকির উপর উপোর হয়ে জোনাকীর লাশ পড়ে আছে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। তারা বিষয়টি সরাইল থানার পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করেন। নিহত কিশোরীর মা হাদিসা বেগম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যা পড়ার সময় থেকে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে বখাটে নাহিদুল। পড়া ছেড়ে দেওয়ার পরও মেয়ের পিছ ছাড়েনি। নিয়মিত বিরক্ত করতো। নাহিদুলের যন্ত্রণায় জোনাকীকে ঢাকায় এক স্বজনের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে গত কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসেছে। আবার পিছু নিয়েছে নাহিদুল। আজ দুপুরে নলকূপ থেকে পানি আনতে যায় জোনাকী। সুযোগ বুঝে জোনাকীকে জোর পূর্বক জমিরের ঘরে নিয়ে যায়। ওই ঘরের নির্জন কক্ষে জোনাকীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছে নাহিদুল। ওদিকে নাহিদুলের পরিবার ও স্বজনরা বলছেন, ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। জোনাকী আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার অনেক আগেই নাহিদুল গাড়ি চালাতে চলে গেছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন কিশোরীর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জোনাকী আত্মহত্যা করছে বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।