ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অপসংবাদিকতা রোধে ও অপসংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান বিজয়নগরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন অপসাংবাদিকতা রোধে সকলকে সোচ্চার থাকার আহবান জানিয়েছে বিটিজেএ এআরডি’র উদ্যেগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রয়াত সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন জামির ২য় মৃত্যু বার্ষিকী ডায়াবেটিস সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যম কর্মীরার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঢেউ সংগঠনের আয়োজনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা

সরাইলে ইউপি সদস্যের বিরূদ্ধে ইজারার আগেই সরকারী জলাশয় দখলের অভিযোগ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ইজারার আগেই সরকারী জলাশয় দখলের অভিযোগ

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে ইজারা পক্রিয়াধীন রেখেই সরকারী জলাশয় (ডুবা) দখলে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ইউপি সদস্য সাবাছ আলীর বিরূদ্ধে। গত ১০-১২ দিন আগেই গাছের ডালপালা ফেলে বাঁশের খুটি বসিয়ে এলাকায় ইজারা পাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। দখলের কাজে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছেন তার স্বজন কর্মহীন মন্তাজ মিয়া ও আপন ছোট ভাই আতাব উল্লাহকে। ওই জলাশয় দিয়ে ময়লাযুক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ার অযুহাতে অনেককে দেখে নেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন তারা। অথচ গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলছেন, পানি ভাল আছে। এখনো কোন সমস্যা হয়নি। আমরা নিয়মিতই গোসল করছি। সরজমিনে গেলে গ্রামবাসী সূত্র জানায়, পাকশিমুল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে তিতাসের শাখা খ্যাত খাল। খালের সাথেই যুক্ত ৪২৫ নং দাগের ১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ৬ একর ১০ শতাংশ ডুবাটি। সাবাছ আলী ইউপি সদস্য হওয়ার পর থেকেই নানা কৌশলে নিজের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ডুবাটি দখলে রেখেছেন। অন্যান্য সময়ের মত এবারও ইজারা না নিয়েই ডুবাটি দখলে নিয়েছেন। বিষয়টি জেনে সাবাছ আলীকে ডেকে এনে ডুবার দখল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও। গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৪৯) বলেন, শুনেছি আতাব উল্লাহ, মন্তাজসহ অনেকেই নাকি ডেকে এনেছেন। গাছের ডাল বাঁশের খুঁটি তারাই দিয়েছে। এখানে তো ব্যক্তি মালিকানা জায়গাই অর্ধেকের বেশী। সাবাছ আলী বলেন, ইজারা হয়নি। গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরাই ডুবা চাষ করি। ৪ মসজিদকে টাকা দেয়। এবারও আমরাই করব। হুমকি ধমকি দিয়ে কি হবে? মার্ডার করছি কিছুই তো করতে পারেনি। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, ডুবাটি এখনো ইজারা দেয়া হয়নি। ইজারার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়ে সাবাছ আলীকে ডেকে বলে দিয়েছি ইজারা সম্পন্ন হওয়ার আগে ডুবাটি দখল করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়ম মাফিক যিনি ইজারা পাবেন তিনিই ডুবাতে যাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে ইউপি সদস্যের বিরূদ্ধে ইজারার আগেই সরকারী জলাশয় দখলের অভিযোগ!

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামে ইজারা পক্রিয়াধীন রেখেই সরকারী জলাশয় (ডুবা) দখলে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে ইউপি সদস্য সাবাছ আলীর বিরূদ্ধে। গত ১০-১২ দিন আগেই গাছের ডালপালা ফেলে বাঁশের খুটি বসিয়ে এলাকায় ইজারা পাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। দখলের কাজে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছেন তার স্বজন কর্মহীন মন্তাজ মিয়া ও আপন ছোট ভাই আতাব উল্লাহকে। ওই জলাশয় দিয়ে ময়লাযুক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ার অযুহাতে অনেককে দেখে নেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন তারা। অথচ গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলছেন, পানি ভাল আছে। এখনো কোন সমস্যা হয়নি। আমরা নিয়মিতই গোসল করছি। সরজমিনে গেলে গ্রামবাসী সূত্র জানায়, পাকশিমুল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে তিতাসের শাখা খ্যাত খাল। খালের সাথেই যুক্ত ৪২৫ নং দাগের ১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ৬ একর ১০ শতাংশ ডুবাটি। সাবাছ আলী ইউপি সদস্য হওয়ার পর থেকেই নানা কৌশলে নিজের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ডুবাটি দখলে রেখেছেন। অন্যান্য সময়ের মত এবারও ইজারা না নিয়েই ডুবাটি দখলে নিয়েছেন। বিষয়টি জেনে সাবাছ আলীকে ডেকে এনে ডুবার দখল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও। গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৪৯) বলেন, শুনেছি আতাব উল্লাহ, মন্তাজসহ অনেকেই নাকি ডেকে এনেছেন। গাছের ডাল বাঁশের খুঁটি তারাই দিয়েছে। এখানে তো ব্যক্তি মালিকানা জায়গাই অর্ধেকের বেশী। সাবাছ আলী বলেন, ইজারা হয়নি। গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরাই ডুবা চাষ করি। ৪ মসজিদকে টাকা দেয়। এবারও আমরাই করব। হুমকি ধমকি দিয়ে কি হবে? মার্ডার করছি কিছুই তো করতে পারেনি। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, ডুবাটি এখনো ইজারা দেয়া হয়নি। ইজারার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ পেয়ে সাবাছ আলীকে ডেকে বলে দিয়েছি ইজারা সম্পন্ন হওয়ার আগে ডুবাটি দখল করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়ম মাফিক যিনি ইজারা পাবেন তিনিই ডুবাতে যাবেন।