‘সংগ্রাম ও অর্জনে গৌরবময় পথচলার ৭৩ বছর’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সরাইলে আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। তবে এই অনুষ্ঠানে দেখা মিলেনি সরাইল আ’লীগের আহবায়ক কমিটির দায়িত্বশীল কারো। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ সকালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে সাবেক কমান্ডার ইসমত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন মোছন, আ’লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জব্বার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ আলী, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক হাফিজুল আসাদ সিজার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান রনি ও বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শরিফ উদ্দিন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, সরাইলে আ‘লীগের আহবায়ক কমিটি অবৈধ। তাদের মেয়াদ ছিল ৩ মাস। ৮ বছর পার করেছে। কিছুই করতে পারেনি। অবৈধ পন’ায় বিএনপি জাপাসহ অন্যদলের হাইব্রীডদের দিয়ে তড়িগড়ি করে ওয়ার্ড কমিটি করছেন। দলীয় কোন কর্মসূচিতে তাদের দেখা মিলে না। দায়িত্বশীল পদের লোকজন সরাইলের বাহিরে বসবাস করেন। তাই দলের প্রতি তাদের কোন আন্তরিকতা নেই। আজকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারা সরাইলে নেই। আমরা ছাত্রলীগ যুবলীগ করে আজ আ‘লীগে এসেছি। হঠাৎ করে নেতা হয়নি। এই মঞ্চে যারা আছেন তারাই সত্যিকারের আ‘লীগ। এদেরকে ছাড়া সরাইলে আওয়ামীলীগ হতে পারে না। হতে দেওয়া হবে না। দলে কোন্দল লাগিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে কতিপয় নেতা। বাংলাদেশ আ’লীগের গঠনতন্ত্রসহ কোথায় এ কথা লেখা আছে ‘মামলার আসামী কমিটিতে থাকতে পারবেন না।’ সরাইল সহ অনেক জায়গায় মামলার আসামী দলে ও কমিটিতে আছেন। এটা একটা ভাওতাবাজি। সরাইল আ’লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এসব ভাওতাবাজি মানে না। মানবেও না। ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। দলে বিভাজন তৈরী করে এমপি হওয়ার স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ দলকে ও শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের পর হারানো এই আসনটি পূর্ণ উদ্ধারের চেষ্টা করি। আমরা আওয়ামীলীগে ছিলাম আছি এবং থাকব। আমাদেরকে ছাড়া সরাইলে কখনো আ‘লীগ হবে না। হতে দেওয়া হবে না। সবশেষে তারা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে কেইক কেটে সবার মাঝে বিতরণ করেন।
মাহবুব খান বাবুল