সরাইলে আইন-শৃঙ্খলা সভায় ৪ বিষয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা!
- আপডেট সময় : ০৫:৫২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১১ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আইন-শৃঙ্খলা সভায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালন, ফেইক আইডি বিরম্বনা, বিল হামড়ার দখল, ফসলি জমির মাটিকাটা বিষয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বক্তারা। আজ মঙ্গলবার সকালে ইউএনও’র দফতরে উনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। বক্তব্য রাখেন-অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান, সরাইল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জুলকার নাঈন, ইউপি চেয়ারম্যান খায়রূল হুতা চৌধুরী, মোছা. আছমা বেগম, মো. মনসুর আহমেদ, মো. ছায়েদ হোসেন, মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কাউছার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও সুকের পরিচালক মমিন হোসেন। বক্তারা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সরাইল সদরসহ সকল ইউনিয়নে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স) পালনের পক্রিয়াকে কেন্দ্র করে দুটি গ্রূপে বিভক্ত হয়েছে।
ফলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের শঙ্কা রয়েছে। শাহজাদাপুর ইউনিয়নে ফেইক আইডি’র মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে এক শ্রেণির লোকজন জনপ্রতিনিধি ও সম্মানিত লোকজনের মানহানি ঘটাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি পুলিশের সহায়তায় একজন ধরাও পড়েছিল। আ’লীগ দলীয় নেতা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তদবিরে ছাড়া পেয়ে যায়। বিষয়টি মেনে নেননি স্থানীয়রা। ফেইক আইডি’র ঘটনায় এখন ভেরিফাইড আইডি থেকে একে অপরকে ঘায়েল করতে লিখে চলেছে। কিছুটা উত্তজনাও বিরাজ করছে সেখানে। উত্তেজনা বিরাজের কথা স্বীকার করে সভায় ফেইক আইডি’র পরিচালককে ধামাচামা দিয়ে রক্ষা করার কথা স্বীকারও করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বিল হামড়ার ইজারার পত্র পেয়েছে একটি সংগঠন।
নিয়ম না থাকলেও একাধিকবার সাব-লীজ দিচ্ছেন ইজারাদাররা। ওই বিলের দখল পেতে দুইটি দলে বিভক্ত হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। বিলে গেলে একে অপরকে দেখে নেয়ার হুমকিও দিচ্ছেন। সেখানে বিলের দখলকে ঘিরে উত্তেজনা ও শঙ্কা বিরাজ করছে। সম্প্রতি গোটা সরাইলে আইন অমান্য করেই ড্রেজারে ফসলি জমি কাটার হিড়িক পড়েছে। হুমকি বাড়ছে পরিবেশের ও ফসল উৎপাদনের। অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্টদের নাকি সিস্টেমের মাধ্যমে ম্যানেজ করে ফেলেন। মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন সভায় জানতে চান, ওই সিস্টেমটা কী? সভায় পিডিবি’র মিটার করিশমায় গ্রাহক হয়রানির বিষয়টিও আলোচনা হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সকল প্রকার উদ্বগ ও শঙ্কা দূরীকরণে কাজ করবেন। প্রয়োজনে আমিও তাদেরকে সহযোগিতা করতে। কাউকে কোন ভাবেই আইন হাতে তুলে নেয়ার সুযোগ দেয়া যাবে না।