মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ধর্মীয় সম্প্রীতি এই দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য। আর এই ঐতিহ্যকে নষ্ট করে সরকার দেশ ও জাতীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে কাজ করছে একটি চক্র। এই দেশে রাজাকারের প্রেতাত্বারা এখনো আছে। এরা আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম নষ্ট করতে সবসময় সক্রিয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় তা হতে দেওয়া যাবে না। সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ লক্ষে প্রত্যেকের মাঝে সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক সম্প্রীতির অভাব আমাদেরকে দ্বিখন্ডিত করতে পারে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব যেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পালন করতে সেই দিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানান বক্তারা। তারা বলেন, ধর্মীয় উস্কানি প্রতিরোধে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা বাধ্য। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় সকল শ্রেণি পেশার লোকজনকে কাজ করতে হবে। আপনাদের ঈদে তো তারা হামলা ভাংচুর করতে আসেন না। তবে আপনারা কেন তাদের উৎসবে ভাংচুর করতে যাবেন? ফেসবুক ব্যবহারকারীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, মনে রাখবেন এটি শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটিতে ধর্মীয় বা রাষ্ট্র বিরোধী কোন উস্কানি মূলক কিছু লিখলে আপনি যেই হউন না কেন ছাড় পাবেন না। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে উপরোল্লেখিত কথা বলেছেন বক্তারা। প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের (৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মো. শাহিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. আনিসুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, মো. আবু হানিফ, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, অরূয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, মো. ছায়েদ হোসেন, উপজেলা পুঁজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, আ’লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, মাওলানা জয়নাল উদ্দিন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, সরাইলে সম্পূর্ণ নিস্ককন্ঠক ভাবে দূর্গোৎসব পালন নিশ্চিত করতেই আজকে উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার লোকজনকে জড়ো করা হয়েছে। এই লক্ষ বাস্তবায়নে সকলকে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন সকল অতিথি। তবে অনেকে দু:খ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দূর্গোৎসব করতে সম্প্রীতি সভা করার জন্যই কি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা?