Dhaka 2:51 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

সরাইলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত খাল পুকুর ভরাটে বন্ধ পানি নিস্কাশন

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:58:38 pm, Saturday, 18 June 2022
  • 310 Time View

গত ৪-৫ দিনের বিরামহীন ভারীবর্ষণ। উজান থেকে নেমে আসছে পানি। ফলে সরাইল এলাকায় মেঘনা ও তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সরাইলের নিস্নাঞ্চল। উপজেলার চার ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের বাসিন্ধাদের ভরসা এখন নৌকা। সম্প্রতি সরাইলে উল্লেখযোগ্য হারে সরকারি খাল অবৈধভাবে দখলের পর ভরাট ও ব্যক্তি মালিকানা অগণিত পুকুর ভরাটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। এখন অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা, উঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা। রোগী শিশু শিক্ষার্থী ও মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতে হিমশিম খাচ্ছেন। সরজমিনে স্থানীয়দের কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনের অবিরাম ভারীবর্ষণ ও উজানের পানির কারণে সরাইলের চারিদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪-৫ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষ হয়ে পড়েছেন ঘর বন্দি। এ ছাড়া অরূয়াইল, পাকশিমুল, চুন্টা, পানিশ্বর, শাহজাদাপুর, নোয়াগাঁও ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ নীচু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়ন গুলোর অনেক গ্রামের পায়ে হাঁটার রাস্তা এখন পানির নীচে। ৩-৪ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বাজার ও কর্মে যাওয়ার একমাত্র যানবাহন এখন নৌকা। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার ভয়াবহতার খবরে এখানকার বাসিন্ধারাও আতঙ্কে আছেন। অতিসম্প্রতি সরাইল সদর ও আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতে সরকারি খাল ও নালা অবৈধভাবে দখল করে ভরাটের প্রতিযোগিতা চলছে। অনেকে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে গত এক/দেড় বছরে সরাইল সদরেই ভরাট হয়েছে ২০-৩০ টি পুকুর। সদরের বাহিরে পুকুর ভরাট হয়েছে অর্ধশতাধিক। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গুরূত্বপূর্ণ স্থান ও এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে গুরূত্বপূর্ণ রাস্তা/ সড়ক। সরাইল সদরের রাহমাতুল্লিল আল-আমীন মাদরাসার আঙ্গিনা ও নীচতলার শ্রেণি কক্ষ এখন পানির নীচে। অথচ এটি মাধ্যমিক পরীক্ষার সাব-সেন্টার। বড্ডাপাড়া গ্রামের অনেকের বাড়ির ওঠান পানির নীচে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দূর্ভোগের ছবি দিয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানাচ্ছেন সেখানকার অনেকেই। সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, সরাইলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমি ও ইউএনও স্যার বিভিন্ন এলাকা ঘুরছি। চেয়ারম্যানদেরকেও বলা আছে। অব্যাহত ভাবে বৃষ্টি পড়ছে। আমরা পানি নিস্কাশনের বিষয়েও খোঁজ খবর নিচ্ছি।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত খাল পুকুর ভরাটে বন্ধ পানি নিস্কাশন

Update Time : 06:58:38 pm, Saturday, 18 June 2022

গত ৪-৫ দিনের বিরামহীন ভারীবর্ষণ। উজান থেকে নেমে আসছে পানি। ফলে সরাইল এলাকায় মেঘনা ও তিতাস নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সরাইলের নিস্নাঞ্চল। উপজেলার চার ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের বাসিন্ধাদের ভরসা এখন নৌকা। সম্প্রতি সরাইলে উল্লেখযোগ্য হারে সরকারি খাল অবৈধভাবে দখলের পর ভরাট ও ব্যক্তি মালিকানা অগণিত পুকুর ভরাটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। এখন অনেক জায়গায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা, উঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা। রোগী শিশু শিক্ষার্থী ও মহিলারা বাড়ি থেকে বের হতে হিমশিম খাচ্ছেন। সরজমিনে স্থানীয়দের কথা বলে জানা যায়, গত কয়েক দিনের অবিরাম ভারীবর্ষণ ও উজানের পানির কারণে সরাইলের চারিদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪-৫ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষ হয়ে পড়েছেন ঘর বন্দি। এ ছাড়া অরূয়াইল, পাকশিমুল, চুন্টা, পানিশ্বর, শাহজাদাপুর, নোয়াগাঁও ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ নীচু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউনিয়ন গুলোর অনেক গ্রামের পায়ে হাঁটার রাস্তা এখন পানির নীচে। ৩-৪ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বাজার ও কর্মে যাওয়ার একমাত্র যানবাহন এখন নৌকা। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার ভয়াবহতার খবরে এখানকার বাসিন্ধারাও আতঙ্কে আছেন। অতিসম্প্রতি সরাইল সদর ও আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতে সরকারি খাল ও নালা অবৈধভাবে দখল করে ভরাটের প্রতিযোগিতা চলছে। অনেকে গড়ে তুলেছেন স্থায়ী অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি। আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে গত এক/দেড় বছরে সরাইল সদরেই ভরাট হয়েছে ২০-৩০ টি পুকুর। সদরের বাহিরে পুকুর ভরাট হয়েছে অর্ধশতাধিক। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে গুরূত্বপূর্ণ স্থান ও এলাকার পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে গুরূত্বপূর্ণ রাস্তা/ সড়ক। সরাইল সদরের রাহমাতুল্লিল আল-আমীন মাদরাসার আঙ্গিনা ও নীচতলার শ্রেণি কক্ষ এখন পানির নীচে। অথচ এটি মাধ্যমিক পরীক্ষার সাব-সেন্টার। বড্ডাপাড়া গ্রামের অনেকের বাড়ির ওঠান পানির নীচে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দূর্ভোগের ছবি দিয়ে পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান জানাচ্ছেন সেখানকার অনেকেই। সরাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজ কুমার শীল বলেন, সরাইলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমি ও ইউএনও স্যার বিভিন্ন এলাকা ঘুরছি। চেয়ারম্যানদেরকেও বলা আছে। অব্যাহত ভাবে বৃষ্টি পড়ছে। আমরা পানি নিস্কাশনের বিষয়েও খোঁজ খবর নিচ্ছি।

মাহবুব খান বাবুল