Dhaka 9:01 am, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

সরাইলের আরেফিনকে সৌদীতে হত্যার অভিযোগ‘ছেলের লাশ দেখতে মায়ের আকুতি’

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:16:55 pm, Saturday, 30 July 2022
  • 156 Time View

চার বছর আগে পরিবারের সুখের জন্য সৌদী আরবে ফাঁড়ি জমিয়েছিলেন সরাইলের শাহজাদাপুর গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে আরেফিন খান (৩২)। সম্প্রতি দেশে আসার সকল আয়োজনও সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গত ২ জুন বৃহস্পতিবার খুন হয় আরেফিন। তার আপন মামা মোরছালিন চৌধুরীর সাথে সর্বশেষ কথা হয় ১লা জুলাই বুধবার। খুনের ১ মাস পর গত ১১ জুলাই পরিবার জানতে পারেন আরেফিন আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে মৃত্যুর খবরটি কফিল বা সহপাঠি কেউই জানাননি। ফরূক কেন প্রথমে জেলখানায় ও পরে বললেন শুক্রবারে মারা গেছে? একই কক্ষে থেকে ও ছাদেক কেন মৃত্যুর খবরটি বাড়িতে জানায়নি? এমন সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আরেফিনের পরিবার ও স্বজনদের মনে। তরতাজা ছেলে খুনের খবরে বাকরূদ্ধ হয়ে বিছানায় পড়ে গেছেন আরেফিনের মা বাবা। শান্তনা দেওয়ার সাধ্য যে কারো নেই। ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে পরিবারের সকল স্বপ্ন। সমগ্র গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। মায়ের আকুতি একটাই শেষ বারের মত আমার ছেলের লাশটি দেখতে চাই। চেষ্টা চলছে। লাশ আনতে জমি বিক্রি করছেন পিতা। নিহত আরেফিনের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চার ভাইয়ের মধ্যে আরেফিন সবার বড়। সে-ই ছিল পরিবারের মূল ভরসা। পরিবারের সকলের সুখের কথা ভেবেই চার বছর আগে ফ্রি ভিসায় গিয়েছিল সৌদী আরবে। মধ্যস’তা করেছিলেন ওই গ্রামের ফরূক মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তার কফিল ছিল। নিয়মিত কাজ করত। ইনকামও ছিল ভাল। সেখানে ভালই কাটছিল তার দিনকাল। প্রতি মাসেই বাড়িতে টাকা পাঠাতো। কিছুটা স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছিল তাদের সংসারে। পরিবারের সকল সদস্যই আরেফিনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখত। দেখতে দেখতে চলে গেছে ৪ বছর। আরেফিনের হাতে জমা ছিল ২০-২৫ লাখ টাকা। এই টাকাটাই যে কাল হল তার। তার হাতে টাকা দেখে সেখানে বাংলাদেশের একটি দুস্কৃতিকারী দালাল সিন্ডিকেট তার পিছু লাগে। লোভ দেখায় ইটালি নেয়ার। সেই ফাঁদে পা দেয় আরেফিন। ইউরোপ কান্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে খাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। বর্ডার পাড় করে ইটালি নেয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। ব্যার্থ হয়ে প্রচন্ড গরমে উত্তপ্ত মরূভূমিতে আরেফিনকে ফেলে আসে। সেখানে সীমাহীন দূর্ভোগ ও কষ্টে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গুরূতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আরেফিন। মৃত্যুর তিনদিন পর আরেফিনের লাশ উদ্ধার করে রাফা সেন্ট্রাল হাসাপাতালের হিমাগারে রাখেন সেই দেশের পুলিশ। সেখানকার একটি মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে-“মৃত্যুর কারণ অজানা। তবে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্টে মৃত্যু হয়েছে।” মৃত্যুর খবরটি সৌদী দূতাবাস, কপিল বা তার কোন সহপাঠি আরেফিনের পরিবারকে জানায়নি। তার মামা মোরছালিন জানান, মুঠোফোনে তার সাথে নিয়মিতই কথা বলতাম। বেশ কিছু দিন আফরিনের ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি। তার মাকে বিষয়টি জানালাম। তিনিও বন্ধ পেলেন। মধ্যস’তাকারী বর্তমানে সোদী প্রবাসী ফরূককে ফোন দিলেন। ফরূক জানিয়েছে, আরেফিন বর্ডারে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা সকলেই টেনশনে পড়ে যায়। মা সহ পরিবারে কান্নার রূল। অপেক্ষায় থাকি। এক সময় তো জামিন পাবেই। নিয়মিত দালালের সাথে যোগাযোগ রাখি। ফরূকসহ সকলেই বারবার জানায় জেলখানায় আছে। ১০ জুলাই রাতে এডভোকেট সোহেল খাদেমকে প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় তার এক স্বজন। পরের দিন ১১ জুলাই আমরা জানতে পারি। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার ও স্বজনদের মাথায়। আরেফিনকে যারা সৌদীতে নিয়েছে তাদের সিন্ডিকেটের চক্রই ইউরোপ কান্ট্রিতে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুটে নিয়ে মরূভূমিতে ফেলে এসেছে। সেখানে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করে এক সময় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। আরেফিনের একাধিক স্বজন ও অন্য একটি সূত্র জানায়, শাহজাদাপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে ছাদেক। ছাদেক আর আরেফিন ক্লাশমেট। সৌদী আরবে তারা দুইজন থাকত একই কক্ষে। আরেফিনকে মরূভূমিতে নিয়ে গিয়েছিল ছাদেকের (৩৫) গাড়িতে করে। খাবার ও পানি শেষ। যন্ত্রণায় নিরূপায়। তখন আরেফিন ছাদেকের মুঠোফোনে ৭০-৮০ বার কল দিয়েছে। অনেক গুলো ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। ম্যাসেজে আরেফিনের বাঁচার আকুতি ছিল। বলেছিল,‘ আমি খুবই কষ্টে আছি। পানি শেষ। তৃষ্ণায় বুক ফেঁটে যাচ্ছে। দূর্বল হয়ে গেছি। আমি মৃত্যুর দিকে এ গুচ্ছি। ছাদেক তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাও। আমাকে তুমি বাচাঁও। ঘুমিয়ে থাকায় ছাদেক আরেফিনের আকুতির ভয়েস এসএমএস গুলো বুঝতে ও শুনতে পারেনি। ঘুম থেকে জেগে ছাদেক রওনা দেয় মরূভূমির দিকে। সেখানে যাওয়ার পরই পুলিশ গাড়িসহ ছাদেককে গ্রেপ্তার করে। ছাদেকের কপিল ছাড়িয়ে এনে দেশে পাঠিয়েছেন। ৩/৪ দিন আগে ছাদেক বাংলাদেশে আসলেও এখনও সাক্ষাত করেনি আরেফিনের মা বাবা বা কোন স্বজনের সাথে। নিহত আরেফিনের মা মোছাম্মৎ বিউটি বেগম ও বাবা আলমগীর খান বলেন, আমাদের সব শেষ। এমন সর্বনাশ কে করল? ছোট ছেলেদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। একই গ্রামের বাসিন্দা হয়েও ফরূক ও ছাদেক কেন আরেফিনের মৃত্যুর সংবাদটি আমাদেরকে দিল না? আমাদের ছেলেকে টাকা পয়সা লুটে নিয়ে কৌশলে মেরে ফেলেছে। বিচার চাই। ছেলের লাশটি দ্রূত দেশে আনতে সরকারের সহায়তা চাই। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। তবে লাশ আনতে কাগজপত্রে যে সহযোগিতার প্রয়োজন। সেটা আমরা করে থাকি।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

সরাইলের আরেফিনকে সৌদীতে হত্যার অভিযোগ‘ছেলের লাশ দেখতে মায়ের আকুতি’

Update Time : 10:16:55 pm, Saturday, 30 July 2022

চার বছর আগে পরিবারের সুখের জন্য সৌদী আরবে ফাঁড়ি জমিয়েছিলেন সরাইলের শাহজাদাপুর গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে আরেফিন খান (৩২)। সম্প্রতি দেশে আসার সকল আয়োজনও সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গত ২ জুন বৃহস্পতিবার খুন হয় আরেফিন। তার আপন মামা মোরছালিন চৌধুরীর সাথে সর্বশেষ কথা হয় ১লা জুলাই বুধবার। খুনের ১ মাস পর গত ১১ জুলাই পরিবার জানতে পারেন আরেফিন আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে মৃত্যুর খবরটি কফিল বা সহপাঠি কেউই জানাননি। ফরূক কেন প্রথমে জেলখানায় ও পরে বললেন শুক্রবারে মারা গেছে? একই কক্ষে থেকে ও ছাদেক কেন মৃত্যুর খবরটি বাড়িতে জানায়নি? এমন সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আরেফিনের পরিবার ও স্বজনদের মনে। তরতাজা ছেলে খুনের খবরে বাকরূদ্ধ হয়ে বিছানায় পড়ে গেছেন আরেফিনের মা বাবা। শান্তনা দেওয়ার সাধ্য যে কারো নেই। ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে পরিবারের সকল স্বপ্ন। সমগ্র গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। মায়ের আকুতি একটাই শেষ বারের মত আমার ছেলের লাশটি দেখতে চাই। চেষ্টা চলছে। লাশ আনতে জমি বিক্রি করছেন পিতা। নিহত আরেফিনের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চার ভাইয়ের মধ্যে আরেফিন সবার বড়। সে-ই ছিল পরিবারের মূল ভরসা। পরিবারের সকলের সুখের কথা ভেবেই চার বছর আগে ফ্রি ভিসায় গিয়েছিল সৌদী আরবে। মধ্যস’তা করেছিলেন ওই গ্রামের ফরূক মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তার কফিল ছিল। নিয়মিত কাজ করত। ইনকামও ছিল ভাল। সেখানে ভালই কাটছিল তার দিনকাল। প্রতি মাসেই বাড়িতে টাকা পাঠাতো। কিছুটা স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছিল তাদের সংসারে। পরিবারের সকল সদস্যই আরেফিনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখত। দেখতে দেখতে চলে গেছে ৪ বছর। আরেফিনের হাতে জমা ছিল ২০-২৫ লাখ টাকা। এই টাকাটাই যে কাল হল তার। তার হাতে টাকা দেখে সেখানে বাংলাদেশের একটি দুস্কৃতিকারী দালাল সিন্ডিকেট তার পিছু লাগে। লোভ দেখায় ইটালি নেয়ার। সেই ফাঁদে পা দেয় আরেফিন। ইউরোপ কান্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে খাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। বর্ডার পাড় করে ইটালি নেয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। ব্যার্থ হয়ে প্রচন্ড গরমে উত্তপ্ত মরূভূমিতে আরেফিনকে ফেলে আসে। সেখানে সীমাহীন দূর্ভোগ ও কষ্টে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গুরূতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আরেফিন। মৃত্যুর তিনদিন পর আরেফিনের লাশ উদ্ধার করে রাফা সেন্ট্রাল হাসাপাতালের হিমাগারে রাখেন সেই দেশের পুলিশ। সেখানকার একটি মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে-“মৃত্যুর কারণ অজানা। তবে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্টে মৃত্যু হয়েছে।” মৃত্যুর খবরটি সৌদী দূতাবাস, কপিল বা তার কোন সহপাঠি আরেফিনের পরিবারকে জানায়নি। তার মামা মোরছালিন জানান, মুঠোফোনে তার সাথে নিয়মিতই কথা বলতাম। বেশ কিছু দিন আফরিনের ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি। তার মাকে বিষয়টি জানালাম। তিনিও বন্ধ পেলেন। মধ্যস’তাকারী বর্তমানে সোদী প্রবাসী ফরূককে ফোন দিলেন। ফরূক জানিয়েছে, আরেফিন বর্ডারে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা সকলেই টেনশনে পড়ে যায়। মা সহ পরিবারে কান্নার রূল। অপেক্ষায় থাকি। এক সময় তো জামিন পাবেই। নিয়মিত দালালের সাথে যোগাযোগ রাখি। ফরূকসহ সকলেই বারবার জানায় জেলখানায় আছে। ১০ জুলাই রাতে এডভোকেট সোহেল খাদেমকে প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় তার এক স্বজন। পরের দিন ১১ জুলাই আমরা জানতে পারি। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার ও স্বজনদের মাথায়। আরেফিনকে যারা সৌদীতে নিয়েছে তাদের সিন্ডিকেটের চক্রই ইউরোপ কান্ট্রিতে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুটে নিয়ে মরূভূমিতে ফেলে এসেছে। সেখানে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করে এক সময় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। আরেফিনের একাধিক স্বজন ও অন্য একটি সূত্র জানায়, শাহজাদাপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে ছাদেক। ছাদেক আর আরেফিন ক্লাশমেট। সৌদী আরবে তারা দুইজন থাকত একই কক্ষে। আরেফিনকে মরূভূমিতে নিয়ে গিয়েছিল ছাদেকের (৩৫) গাড়িতে করে। খাবার ও পানি শেষ। যন্ত্রণায় নিরূপায়। তখন আরেফিন ছাদেকের মুঠোফোনে ৭০-৮০ বার কল দিয়েছে। অনেক গুলো ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। ম্যাসেজে আরেফিনের বাঁচার আকুতি ছিল। বলেছিল,‘ আমি খুবই কষ্টে আছি। পানি শেষ। তৃষ্ণায় বুক ফেঁটে যাচ্ছে। দূর্বল হয়ে গেছি। আমি মৃত্যুর দিকে এ গুচ্ছি। ছাদেক তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাও। আমাকে তুমি বাচাঁও। ঘুমিয়ে থাকায় ছাদেক আরেফিনের আকুতির ভয়েস এসএমএস গুলো বুঝতে ও শুনতে পারেনি। ঘুম থেকে জেগে ছাদেক রওনা দেয় মরূভূমির দিকে। সেখানে যাওয়ার পরই পুলিশ গাড়িসহ ছাদেককে গ্রেপ্তার করে। ছাদেকের কপিল ছাড়িয়ে এনে দেশে পাঠিয়েছেন। ৩/৪ দিন আগে ছাদেক বাংলাদেশে আসলেও এখনও সাক্ষাত করেনি আরেফিনের মা বাবা বা কোন স্বজনের সাথে। নিহত আরেফিনের মা মোছাম্মৎ বিউটি বেগম ও বাবা আলমগীর খান বলেন, আমাদের সব শেষ। এমন সর্বনাশ কে করল? ছোট ছেলেদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। একই গ্রামের বাসিন্দা হয়েও ফরূক ও ছাদেক কেন আরেফিনের মৃত্যুর সংবাদটি আমাদেরকে দিল না? আমাদের ছেলেকে টাকা পয়সা লুটে নিয়ে কৌশলে মেরে ফেলেছে। বিচার চাই। ছেলের লাশটি দ্রূত দেশে আনতে সরকারের সহায়তা চাই। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। তবে লাশ আনতে কাগজপত্রে যে সহযোগিতার প্রয়োজন। সেটা আমরা করে থাকি।

মাহবুব খান বাবুল