ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

সরাইলের আরেফিনকে সৌদীতে হত্যার অভিযোগ‘ছেলের লাশ দেখতে মায়ের আকুতি’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ ১৯১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চার বছর আগে পরিবারের সুখের জন্য সৌদী আরবে ফাঁড়ি জমিয়েছিলেন সরাইলের শাহজাদাপুর গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে আরেফিন খান (৩২)। সম্প্রতি দেশে আসার সকল আয়োজনও সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গত ২ জুন বৃহস্পতিবার খুন হয় আরেফিন। তার আপন মামা মোরছালিন চৌধুরীর সাথে সর্বশেষ কথা হয় ১লা জুলাই বুধবার। খুনের ১ মাস পর গত ১১ জুলাই পরিবার জানতে পারেন আরেফিন আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে মৃত্যুর খবরটি কফিল বা সহপাঠি কেউই জানাননি। ফরূক কেন প্রথমে জেলখানায় ও পরে বললেন শুক্রবারে মারা গেছে? একই কক্ষে থেকে ও ছাদেক কেন মৃত্যুর খবরটি বাড়িতে জানায়নি? এমন সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আরেফিনের পরিবার ও স্বজনদের মনে। তরতাজা ছেলে খুনের খবরে বাকরূদ্ধ হয়ে বিছানায় পড়ে গেছেন আরেফিনের মা বাবা। শান্তনা দেওয়ার সাধ্য যে কারো নেই। ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে পরিবারের সকল স্বপ্ন। সমগ্র গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। মায়ের আকুতি একটাই শেষ বারের মত আমার ছেলের লাশটি দেখতে চাই। চেষ্টা চলছে। লাশ আনতে জমি বিক্রি করছেন পিতা। নিহত আরেফিনের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চার ভাইয়ের মধ্যে আরেফিন সবার বড়। সে-ই ছিল পরিবারের মূল ভরসা। পরিবারের সকলের সুখের কথা ভেবেই চার বছর আগে ফ্রি ভিসায় গিয়েছিল সৌদী আরবে। মধ্যস’তা করেছিলেন ওই গ্রামের ফরূক মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তার কফিল ছিল। নিয়মিত কাজ করত। ইনকামও ছিল ভাল। সেখানে ভালই কাটছিল তার দিনকাল। প্রতি মাসেই বাড়িতে টাকা পাঠাতো। কিছুটা স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছিল তাদের সংসারে। পরিবারের সকল সদস্যই আরেফিনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখত। দেখতে দেখতে চলে গেছে ৪ বছর। আরেফিনের হাতে জমা ছিল ২০-২৫ লাখ টাকা। এই টাকাটাই যে কাল হল তার। তার হাতে টাকা দেখে সেখানে বাংলাদেশের একটি দুস্কৃতিকারী দালাল সিন্ডিকেট তার পিছু লাগে। লোভ দেখায় ইটালি নেয়ার। সেই ফাঁদে পা দেয় আরেফিন। ইউরোপ কান্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে খাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। বর্ডার পাড় করে ইটালি নেয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। ব্যার্থ হয়ে প্রচন্ড গরমে উত্তপ্ত মরূভূমিতে আরেফিনকে ফেলে আসে। সেখানে সীমাহীন দূর্ভোগ ও কষ্টে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গুরূতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আরেফিন। মৃত্যুর তিনদিন পর আরেফিনের লাশ উদ্ধার করে রাফা সেন্ট্রাল হাসাপাতালের হিমাগারে রাখেন সেই দেশের পুলিশ। সেখানকার একটি মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে-“মৃত্যুর কারণ অজানা। তবে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্টে মৃত্যু হয়েছে।” মৃত্যুর খবরটি সৌদী দূতাবাস, কপিল বা তার কোন সহপাঠি আরেফিনের পরিবারকে জানায়নি। তার মামা মোরছালিন জানান, মুঠোফোনে তার সাথে নিয়মিতই কথা বলতাম। বেশ কিছু দিন আফরিনের ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি। তার মাকে বিষয়টি জানালাম। তিনিও বন্ধ পেলেন। মধ্যস’তাকারী বর্তমানে সোদী প্রবাসী ফরূককে ফোন দিলেন। ফরূক জানিয়েছে, আরেফিন বর্ডারে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা সকলেই টেনশনে পড়ে যায়। মা সহ পরিবারে কান্নার রূল। অপেক্ষায় থাকি। এক সময় তো জামিন পাবেই। নিয়মিত দালালের সাথে যোগাযোগ রাখি। ফরূকসহ সকলেই বারবার জানায় জেলখানায় আছে। ১০ জুলাই রাতে এডভোকেট সোহেল খাদেমকে প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় তার এক স্বজন। পরের দিন ১১ জুলাই আমরা জানতে পারি। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার ও স্বজনদের মাথায়। আরেফিনকে যারা সৌদীতে নিয়েছে তাদের সিন্ডিকেটের চক্রই ইউরোপ কান্ট্রিতে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুটে নিয়ে মরূভূমিতে ফেলে এসেছে। সেখানে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করে এক সময় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। আরেফিনের একাধিক স্বজন ও অন্য একটি সূত্র জানায়, শাহজাদাপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে ছাদেক। ছাদেক আর আরেফিন ক্লাশমেট। সৌদী আরবে তারা দুইজন থাকত একই কক্ষে। আরেফিনকে মরূভূমিতে নিয়ে গিয়েছিল ছাদেকের (৩৫) গাড়িতে করে। খাবার ও পানি শেষ। যন্ত্রণায় নিরূপায়। তখন আরেফিন ছাদেকের মুঠোফোনে ৭০-৮০ বার কল দিয়েছে। অনেক গুলো ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। ম্যাসেজে আরেফিনের বাঁচার আকুতি ছিল। বলেছিল,‘ আমি খুবই কষ্টে আছি। পানি শেষ। তৃষ্ণায় বুক ফেঁটে যাচ্ছে। দূর্বল হয়ে গেছি। আমি মৃত্যুর দিকে এ গুচ্ছি। ছাদেক তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাও। আমাকে তুমি বাচাঁও। ঘুমিয়ে থাকায় ছাদেক আরেফিনের আকুতির ভয়েস এসএমএস গুলো বুঝতে ও শুনতে পারেনি। ঘুম থেকে জেগে ছাদেক রওনা দেয় মরূভূমির দিকে। সেখানে যাওয়ার পরই পুলিশ গাড়িসহ ছাদেককে গ্রেপ্তার করে। ছাদেকের কপিল ছাড়িয়ে এনে দেশে পাঠিয়েছেন। ৩/৪ দিন আগে ছাদেক বাংলাদেশে আসলেও এখনও সাক্ষাত করেনি আরেফিনের মা বাবা বা কোন স্বজনের সাথে। নিহত আরেফিনের মা মোছাম্মৎ বিউটি বেগম ও বাবা আলমগীর খান বলেন, আমাদের সব শেষ। এমন সর্বনাশ কে করল? ছোট ছেলেদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। একই গ্রামের বাসিন্দা হয়েও ফরূক ও ছাদেক কেন আরেফিনের মৃত্যুর সংবাদটি আমাদেরকে দিল না? আমাদের ছেলেকে টাকা পয়সা লুটে নিয়ে কৌশলে মেরে ফেলেছে। বিচার চাই। ছেলের লাশটি দ্রূত দেশে আনতে সরকারের সহায়তা চাই। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। তবে লাশ আনতে কাগজপত্রে যে সহযোগিতার প্রয়োজন। সেটা আমরা করে থাকি।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলের আরেফিনকে সৌদীতে হত্যার অভিযোগ‘ছেলের লাশ দেখতে মায়ের আকুতি’

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

চার বছর আগে পরিবারের সুখের জন্য সৌদী আরবে ফাঁড়ি জমিয়েছিলেন সরাইলের শাহজাদাপুর গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে আরেফিন খান (৩২)। সম্প্রতি দেশে আসার সকল আয়োজনও সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গত ২ জুন বৃহস্পতিবার খুন হয় আরেফিন। তার আপন মামা মোরছালিন চৌধুরীর সাথে সর্বশেষ কথা হয় ১লা জুলাই বুধবার। খুনের ১ মাস পর গত ১১ জুলাই পরিবার জানতে পারেন আরেফিন আর বেঁচে নেই। এর মধ্যে মৃত্যুর খবরটি কফিল বা সহপাঠি কেউই জানাননি। ফরূক কেন প্রথমে জেলখানায় ও পরে বললেন শুক্রবারে মারা গেছে? একই কক্ষে থেকে ও ছাদেক কেন মৃত্যুর খবরটি বাড়িতে জানায়নি? এমন সব প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আরেফিনের পরিবার ও স্বজনদের মনে। তরতাজা ছেলে খুনের খবরে বাকরূদ্ধ হয়ে বিছানায় পড়ে গেছেন আরেফিনের মা বাবা। শান্তনা দেওয়ার সাধ্য যে কারো নেই। ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে পরিবারের সকল স্বপ্ন। সমগ্র গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। মায়ের আকুতি একটাই শেষ বারের মত আমার ছেলের লাশটি দেখতে চাই। চেষ্টা চলছে। লাশ আনতে জমি বিক্রি করছেন পিতা। নিহত আরেফিনের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, চার ভাইয়ের মধ্যে আরেফিন সবার বড়। সে-ই ছিল পরিবারের মূল ভরসা। পরিবারের সকলের সুখের কথা ভেবেই চার বছর আগে ফ্রি ভিসায় গিয়েছিল সৌদী আরবে। মধ্যস’তা করেছিলেন ওই গ্রামের ফরূক মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তার কফিল ছিল। নিয়মিত কাজ করত। ইনকামও ছিল ভাল। সেখানে ভালই কাটছিল তার দিনকাল। প্রতি মাসেই বাড়িতে টাকা পাঠাতো। কিছুটা স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছিল তাদের সংসারে। পরিবারের সকল সদস্যই আরেফিনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখত। দেখতে দেখতে চলে গেছে ৪ বছর। আরেফিনের হাতে জমা ছিল ২০-২৫ লাখ টাকা। এই টাকাটাই যে কাল হল তার। তার হাতে টাকা দেখে সেখানে বাংলাদেশের একটি দুস্কৃতিকারী দালাল সিন্ডিকেট তার পিছু লাগে। লোভ দেখায় ইটালি নেয়ার। সেই ফাঁদে পা দেয় আরেফিন। ইউরোপ কান্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে খাতিয়ে নেয় অনেক টাকা। বর্ডার পাড় করে ইটালি নেয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। ব্যার্থ হয়ে প্রচন্ড গরমে উত্তপ্ত মরূভূমিতে আরেফিনকে ফেলে আসে। সেখানে সীমাহীন দূর্ভোগ ও কষ্টে শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গুরূতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে। এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আরেফিন। মৃত্যুর তিনদিন পর আরেফিনের লাশ উদ্ধার করে রাফা সেন্ট্রাল হাসাপাতালের হিমাগারে রাখেন সেই দেশের পুলিশ। সেখানকার একটি মেডিকেল রিপোর্টে বলা হয়েছে-“মৃত্যুর কারণ অজানা। তবে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্টে মৃত্যু হয়েছে।” মৃত্যুর খবরটি সৌদী দূতাবাস, কপিল বা তার কোন সহপাঠি আরেফিনের পরিবারকে জানায়নি। তার মামা মোরছালিন জানান, মুঠোফোনে তার সাথে নিয়মিতই কথা বলতাম। বেশ কিছু দিন আফরিনের ফোনটি বন্ধ পাচ্ছি। তার মাকে বিষয়টি জানালাম। তিনিও বন্ধ পেলেন। মধ্যস’তাকারী বর্তমানে সোদী প্রবাসী ফরূককে ফোন দিলেন। ফরূক জানিয়েছে, আরেফিন বর্ডারে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা সকলেই টেনশনে পড়ে যায়। মা সহ পরিবারে কান্নার রূল। অপেক্ষায় থাকি। এক সময় তো জামিন পাবেই। নিয়মিত দালালের সাথে যোগাযোগ রাখি। ফরূকসহ সকলেই বারবার জানায় জেলখানায় আছে। ১০ জুলাই রাতে এডভোকেট সোহেল খাদেমকে প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় তার এক স্বজন। পরের দিন ১১ জুলাই আমরা জানতে পারি। আকাশ ভেঙ্গে পড়ে গোটা পরিবার ও স্বজনদের মাথায়। আরেফিনকে যারা সৌদীতে নিয়েছে তাদের সিন্ডিকেটের চক্রই ইউরোপ কান্ট্রিতে নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুটে নিয়ে মরূভূমিতে ফেলে এসেছে। সেখানে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণায় ছটফট করে এক সময় মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে। আরেফিনের একাধিক স্বজন ও অন্য একটি সূত্র জানায়, শাহজাদাপুর গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে ছাদেক। ছাদেক আর আরেফিন ক্লাশমেট। সৌদী আরবে তারা দুইজন থাকত একই কক্ষে। আরেফিনকে মরূভূমিতে নিয়ে গিয়েছিল ছাদেকের (৩৫) গাড়িতে করে। খাবার ও পানি শেষ। যন্ত্রণায় নিরূপায়। তখন আরেফিন ছাদেকের মুঠোফোনে ৭০-৮০ বার কল দিয়েছে। অনেক গুলো ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছে। ম্যাসেজে আরেফিনের বাঁচার আকুতি ছিল। বলেছিল,‘ আমি খুবই কষ্টে আছি। পানি শেষ। তৃষ্ণায় বুক ফেঁটে যাচ্ছে। দূর্বল হয়ে গেছি। আমি মৃত্যুর দিকে এ গুচ্ছি। ছাদেক তুমি এসে আমাকে নিয়ে যাও। আমাকে তুমি বাচাঁও। ঘুমিয়ে থাকায় ছাদেক আরেফিনের আকুতির ভয়েস এসএমএস গুলো বুঝতে ও শুনতে পারেনি। ঘুম থেকে জেগে ছাদেক রওনা দেয় মরূভূমির দিকে। সেখানে যাওয়ার পরই পুলিশ গাড়িসহ ছাদেককে গ্রেপ্তার করে। ছাদেকের কপিল ছাড়িয়ে এনে দেশে পাঠিয়েছেন। ৩/৪ দিন আগে ছাদেক বাংলাদেশে আসলেও এখনও সাক্ষাত করেনি আরেফিনের মা বাবা বা কোন স্বজনের সাথে। নিহত আরেফিনের মা মোছাম্মৎ বিউটি বেগম ও বাবা আলমগীর খান বলেন, আমাদের সব শেষ। এমন সর্বনাশ কে করল? ছোট ছেলেদের পড়া লেখা বন্ধ হয়ে যাবে। একই গ্রামের বাসিন্দা হয়েও ফরূক ও ছাদেক কেন আরেফিনের মৃত্যুর সংবাদটি আমাদেরকে দিল না? আমাদের ছেলেকে টাকা পয়সা লুটে নিয়ে কৌশলে মেরে ফেলেছে। বিচার চাই। ছেলের লাশটি দ্রূত দেশে আনতে সরকারের সহায়তা চাই। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। তবে লাশ আনতে কাগজপত্রে যে সহযোগিতার প্রয়োজন। সেটা আমরা করে থাকি।

মাহবুব খান বাবুল