সড়ক দূর্ঘটনায় সৌদী আরবে বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু গ্রামজুড়ে শোকের মাতম

- আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ওমরা শেষ করে কর্মস্থল কাতারে ফেরার পথে সৌদী আরবে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মো. কবির মিয়া (৩৬)। নিহত কবির বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের লাম্বাভিটা এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। শনিবার সকালে সৌদী আরবের বর্ডার এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। তরতাজা যুবক কবিরের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে গোটা পাকশিমুল গ্রামজুরে চলছে শোকেরমাতম। পারিবারিক সূত্র জানায়, সরাইলের পাকশিমুল গ্রামে বেড়ে ওঠা কবির পরিবারের সুখের জন্যই বাবা মা ভাই বোন স্ত্রী সন্তানকে রেখে পাড়ি দিয়েছিলেন কাতারে। ৭ ভাই ৩ বোনের মধ্যে কবির দ্বিতীয়। কাতারে তিনি ব্যবসা করতেন। স্বাচ্ছন্দ ফিরে এসেছিল পরিবারে। সকলে মিলে তারা সুখে শান্তিতেই ছিলেন। গত ৪-৫ বছর আগে কবির বিয়ে করেন। তাঁর রয়েছে ৩ বছর বয়সের আকাশ নামের একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান। অতিসম্প্রতি কবির কাতার থেকে ওমরা করার জন্য সৌদী আরব যান। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওমরা শেষ কবির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকলকে জানিয়ে দেন। আজ সকালে সৌদী আরব থেকে মাইক্রোতে করে ৫ বন্ধুসহ কবির কর্মস্থল কাতারের উদ্যেশ্যে রওনা দেন। সকাল বাংলাদেশ সময় আনুমানিক সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘঘটনায় তাদের বহনকারী মাইক্রো বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কবির। বাকি ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। এক মুহুর্তের মধ্যে কবিরের পরিবারের সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। কবিরের আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদে পরিবার, স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা থমকে গেছে। শোকে স্তদ্ধ হয়ে গেছে গোটা গ্রাম। সন্তানের অকাল মৃত্যুতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন কবিরে পিতা মাতা। বাবরূদ্ধ হয়ে জ্ঞান হারাচ্ছেন বিয়ের মাত্র মাত্র ৫ বছর চিরদিনের জন্য বিধবার শাড়ি পড়া কবিরের স্ত্রী উর্মি (২৭)। একমাত্র আদরের শিশু সন্তান আকাশ এখনো বুঝে ওঠতে পারছে না পৃথিবীর আকাশটা তার মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে। কবিরের ছোট ভাই রিফাত জিয়া ও তানবির জানায়, কবির অত্যন্ত ভাল ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে। তার আকস্মিক অকাল মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো সৌদীতে কবির মিয়ার মৃত্যুর ম্যাসেজ পায়নি। একই কথা বলেছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন। তবে তিনি বলেছেন ওই পরিবার লাশ দাফনের পর একটি অনুদান পাবে। ওই সময়ে আমি সহযোগিতা করব।