সংবাদ সম্মেলনে জাল ভোট ও স্থুল কারচুপির অভিযোগ মৃধার

- আপডেট সময় : ১০:০১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে কলারছড়ার এজেন্ডদের ভয় ভীতি দেখিয়ে জাল ভোটের মহোৎসব ও স্থুল কারচুপির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করার অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মহাজোটের সাবেক এমপি জাপা’র রওশন পন্থী নেতা এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। আজ সোমবার সকালে জাপা’র কালীকচ্ছ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেছেন। সরাইল উপজেলা জাপা’র (রওশন) সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা জাপা’র (রওশন) সভাপতি আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ সিকদার, সরাইলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহফুজ মিয়াসহ উপজেলা ও ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা কর্মী। মৃধা সরাইল আশুগঞ্জের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছেন। বল প্রয়োগ ও ভোট চুরির কাছে আমি হেরে গেছি। জেলা উপজেলার সকল প্রশাসন আমাকে আশ্বস’ করেছিলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। বাস্তবে হয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো। সরকারী দল সকল কিছুকে ম্যানেজ করে ভোট লুট করেছেন। দায়িত্বরতরা ছিলেন নিরব দর্শকের ভূমিকায়। নির্বাচন অফিস হালনাগাদ ভোটার তালিকা সরকারী দলকে দিয়েছেন এক রকম। আমাকে দিয়েছেন আরেক রকম। তালিকায় ভোটারদের তথ্য ভুল দেখানো হয়েছে। ফলে আমার ৫০ হাজারেরও অধিক ভোটার ফিরে গেছেন। আশুগঞ্জের ১৭ টি কেন্দ্রে ও সরাইলের স্বল্প নোয়াগাঁও, কুট্রাপাড়া পশ্চিম, বাড়িউড়া, শাহবাজপুর, নিয়ামতপুর কেন্দ্রে সরকার দলীয় লোকজন আমার এজেন্ডদের ভয় ভীতি দেখিয়ে বের করে দিয়েছেন। তারা ব্যালট হাতে নিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন। মাহফুজ মিয়া বলেন, দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের ভোটে সরাসরি পুলিশকে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। আশুগঞ্জের ৬-৭টি কেন্দ্রে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত ভোটার শুন্য। সাড়ে ৩টায় দেখানো হয় আড়াই-তিন হাজার ভোট কাষ্ট। এই ভোট কী জ্বিন ভূতে দিয়েছেন? আমি অংশ গ্রহন না করলে তো নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বীতাহীন একপেশে হয়ে যেত। এমনই যদি হয় ভবিষ্যতে এই সরকারের অধীনে যেকোন নির্বাচনে ভেবে চিন্তে অংশ গ্রহন করতে হবে। আশুগঞ্জ জাপা’র (রওশন) সম্পাদক মেরাজ সিকদার বলেন, নৌকার সমর্থকরা আশুগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে কলারছড়ার এজেন্ডদের হুমকি ধমকি দিয়ে বের করে দেয়। ভোটের পরে দেখে নেয়ার হুমকিও দেন। তল্লা, যাত্রাপুর, চরচারতলা, লালপুর, শরীফপুর, নাওঘাট কেন্দ্রে ব্যালট হাতে নিয়ে তারা ছাপিয়ে ফেলে। অনেক ভোটারকে প্রকাশ্যে সীল মারতে বাধ্য করে। প্রসঙ্গত: গত ৫ নভেম্বরের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ২৮ হাজার ৭৫৭ ভোট বেশী পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।