ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষর সীল জালিয়াতি মামলার দুই আসামী সরাইল থেকে গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ১০:৩৪:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২ ২১০ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আল-আমীনের স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলার দুই আসামী সাগর (৩৪) জসিম (১৫) কে গ্রেপ্তার করেছে জেলা অপরাধ তদন্ত শাখা’র (সিআইডি) সদস্যরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ইন্সপেক্টর মো. কুতুবুল আলমের নেতৃত্বে সরাইলের কালীকচ্ছ বাজার থেকে প্রথম গ্রেপ্তার করেন সাগরকে। আর সরাইল গ্রেপ্তার করেন জসিমকে । সরাইল সদরের সোনালী ব্যাংকের নিচের মার্কেটের জিয়াউল হক রানার (২৭) কম্পিউটার টাইপিং-এর দোকানে তল্লাশি চালিয়ে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত গুরূত্বপূর্ণ কাগজপত্র উদ্ধার করেন সিআইডি’র সদস্যরা। অবশ্য এর আগেই দোকান থেকে সটকে পড়েছেন রানা। সিআইডি জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্টের এডভোকেট ইশতিয়াক আহমেদ বাদী হয়ে গত ২৮ মে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বলা হয় একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আল-আমীনের স্বাক্ষর, সীল ও গোল সীল জাল করে চুরি করা মটরবাইকের কাগজপত্র তৈরীর ব্যবসা করে আসছিল। জালিয়াত চক্রের সাথে জড়িত সরাইলের কালীকচ্ছ এলাকার মো. জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে সাগর। সরাইল সদরের নিজ সরাইল গ্রামের মো. নজরূল হকের ছেলে জিয়াউল হক রানা ও তার দোকানে কর্মরত মোশাররফ মিয়ার ছেলে জসিম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর মো. কুতুবুল আলম। সরাইল থানাকে বিষয়টি পত্রদ্বারা অবগত করে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কুতুবুল আলমের নেতৃত্বে সিআইডি’র সদস্যরা কালীকচ্ছ বাজারে অভিযান চালায়। অভিযানকালে নিজ দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে সাগরকে। সরাইল সদর থেকে গ্রেপ্তার করেন রানার দোকানের কর্মচারী জসিমকে। সরাইল সোনালী ব্যাংকের নিচে রানার কম্পিউটার টাইপিং করার দোকান ছিল তালাবদ্ধ। এর আগেই সটকে পড়েছিল রানা। পরে সিআইডি’র সদস্যরা বাজার কমিটির উপসি’তিতে রানার দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে ওই দোকান থেকে ২০-২৫ টি বিভিন্ন নামের জাতীয় পরিচয়পত্র, সিডি প্লেয়ার ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষরযুক্ত ২টি ষ্ট্যাম্প উদ্ধার করেন। গতকাল গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. কুতুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এরা ম্যাজিষ্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে কাগজপত্র তৈরী করে চোরাই মটরবাইক বিক্রির ব্যবসার সাথে জড়িত। একজন উকিল তাদের বিরূদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।
মাহবুব খান বাবুল