‘মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বসেছিল মেলা। বর্ণিল সাজে সেজেছিল উপজেলা চত্বর। ষ্টল গুলোতে বাহারি ডিসপ্লে। গল্প আলোচনা। প্রত্যেক দফতর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডের চিত্র প্রদর্শন। সরকার ও দেশের উন্নয়নের চিত্র। সন্ধ্যার পর লাল নীল বাতির ঝলকানিতে সবকিছুই ছিল রঙ্গিন। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মেলা কাছে টানত শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরূর-তরূনীদের। অজানাকে জানা ও অচেনাকে চেনার এক মহোৎসব। ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথের শিক্ষার্থীদের দেশাত্ববোধক গান ও আবৃত্তিতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মুখরিত হয়ে যেত মেলারস’ল। আসতেন জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাহিত্যিক,সাংবাদিক ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বও।
চোখের ফলকে যেন চলে গেল সাত দিন। গত ১৭ মার্চ ৩১ টি ষ্টল নিয়ে যাত্রা হয় মেলার। আজ ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলা সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। ‘স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ এমন বিষয়ের আলোচনার মাধ্যমেই সমাপ্তি টানা হয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে নানা ধরণের উন্নয়নের চিত্র। সমাপনী আলোচনা করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, মো. আবু হানিফ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাছরিন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, উপজেলা প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. নিলুফা ইয়াছমীন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজীজ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজমা বেগমসহ সরকারি সকল দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী।
মাহবুব খান বাবুল