গ্রামের কয়েকজন শিশু। নেশা তাদের মাছ ধরা। জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা শেষ করে চলে গেছেন মালিক। হাঁটু সমান কাঁদা। বয়স্করাই কাঁদায় হাবুডুবু খান। সেখানে নির্ভয়ে ওই কাঁদায় নেমে পড়ে ছোট শিশুরা। কাঁদার গভীরে হাত প্রবেশ করায়। নাড়াচাড়া করে। টাকি, বাইম, গোতুমসহ হরেক রকমের মাছ নড়ে ওঠে। শিশুরা মাছ গুলি ধরে খুব আনন্দ উপভোগ করে। তিন চার ঘন্টা ওই শিশুরা কাঁদায় থাকে। মাঘ মাসের শীতও হার মানে ওই শিশুদের কাছে। দেশী প্রজাতির এই মাছ গুলি খুবই মূল্যবান। শিশুদের মধ্যে অনেকে সড়কেই পথচারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। আবার কেউ বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রতিবছরের এ সময়টিতে ধর্মতীর্থ এলাকার কিছু শিশু এভাবেই মাছ ধরে থাকে। ছবিটি আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার আকাশী হাওরের একটি জলাশয় থেকে ধারণ করা।
মাহবুব খান বাবুল