Dhaka 1:25 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

মসজিদের ভালবাসায় ১ কাঠাঁল ক্রয় করলেন ২৬ হাজার টাকায়

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:21:13 pm, Saturday, 30 July 2022
  • 853 Time View

একটি কাঠাঁল বিক্রি হল ২৬ হাজার টাকায়। কাঠাঁলটি মসজিদের। মূলত মসজিদের প্রতি ভাল বাসার টানেই এত চড়া মূল্যে কাঠাঁলটি ক্রয় করলেন কাঞ্চন মিয়া নামের এক প্রবাসী। গত শুক্রবার বাদ জুমআ উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সর্বোচ্চ ১শত টাকা মূল্যের কাঠাঁলটি ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর গোটা সরাইলে আলোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ হতবাক হচ্ছেন। অনেকে বলছেন বিষয়টি অবিশ্বাস্য। স্থানীয়রা জানায়, পরমানন্দপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের গাছের কাঠাঁরটি বিক্রয়ের চিন্তা করেন পরিচালনা কমিটি। তাই কাঠাঁলটি খোলা ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিটির লোকজন ও ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামের উপস্থিতে মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে ডাক শুরূ হয়। শুরূতেই জনৈক মুসল্লি ১ হাজার টাকা বলেন। শুরূ হয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চলে মূল্য হাকানোর প্রতিযোগিতা। শুরূ থেকে ডাক ছাড়েননি কাঞ্চন মিয়া। সর্বশেষ তিনি ২৬ হাজার পর্যন্ত ডাকার পর কেউ প্রতিযোগিতায় আসেননি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে কাঞ্চন মিয়া কাঠাঁলটি পেয়েছেন। কাঞ্চন মিয়ার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা গ্রহন করে কাঠাঁলটি তার হাতে তুলে দেন। ইমাম মাওলানা আব্দুস সালাম বলেন, আল্লাহর ঘরের কাঠাঁলটি এমন চড়া মূল্যে বিক্রি হবে ভাবিনি। খুবই ভাল লাগছে। কারণ এই টাকাটা দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজ করা যাবে। যিনি ক্রয় করেছেন উনার জন্যও দোয়া করি। কাঞ্চন মিয়া বলেন, শুরূ থেকেই নিয়ত করেছিলাম যত দামই হউক ক্রয় করার চেষ্টা করব। কারণ আল্লাহর ঘরের এই কাঠাঁলটি খেলে শান্তি পাব। পরিবারের সকলে মিলে তৃপ্তি সহকারে কাঠাঁলটি খাব। টাকা কোন বিষয় নয়। মনের শান্তির উপর কিছু নেই। তবে একটি কাঠাঁল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তবে মসজিদের কাঠাঁল শুনে ধরে নিয়েছেন সওয়াবের আশায় অথবা মসজিদের সহায়তা হবে ভেবে ক্রেতা এই কাজটি করেছেন। এটা সত্যই প্রশংসনীয় কাজ।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

মসজিদের ভালবাসায় ১ কাঠাঁল ক্রয় করলেন ২৬ হাজার টাকায়

Update Time : 10:21:13 pm, Saturday, 30 July 2022

একটি কাঠাঁল বিক্রি হল ২৬ হাজার টাকায়। কাঠাঁলটি মসজিদের। মূলত মসজিদের প্রতি ভাল বাসার টানেই এত চড়া মূল্যে কাঠাঁলটি ক্রয় করলেন কাঞ্চন মিয়া নামের এক প্রবাসী। গত শুক্রবার বাদ জুমআ উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সর্বোচ্চ ১শত টাকা মূল্যের কাঠাঁলটি ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর গোটা সরাইলে আলোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ হতবাক হচ্ছেন। অনেকে বলছেন বিষয়টি অবিশ্বাস্য। স্থানীয়রা জানায়, পরমানন্দপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের গাছের কাঠাঁরটি বিক্রয়ের চিন্তা করেন পরিচালনা কমিটি। তাই কাঠাঁলটি খোলা ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিটির লোকজন ও ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামের উপস্থিতে মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে ডাক শুরূ হয়। শুরূতেই জনৈক মুসল্লি ১ হাজার টাকা বলেন। শুরূ হয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চলে মূল্য হাকানোর প্রতিযোগিতা। শুরূ থেকে ডাক ছাড়েননি কাঞ্চন মিয়া। সর্বশেষ তিনি ২৬ হাজার পর্যন্ত ডাকার পর কেউ প্রতিযোগিতায় আসেননি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে কাঞ্চন মিয়া কাঠাঁলটি পেয়েছেন। কাঞ্চন মিয়ার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা গ্রহন করে কাঠাঁলটি তার হাতে তুলে দেন। ইমাম মাওলানা আব্দুস সালাম বলেন, আল্লাহর ঘরের কাঠাঁলটি এমন চড়া মূল্যে বিক্রি হবে ভাবিনি। খুবই ভাল লাগছে। কারণ এই টাকাটা দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজ করা যাবে। যিনি ক্রয় করেছেন উনার জন্যও দোয়া করি। কাঞ্চন মিয়া বলেন, শুরূ থেকেই নিয়ত করেছিলাম যত দামই হউক ক্রয় করার চেষ্টা করব। কারণ আল্লাহর ঘরের এই কাঠাঁলটি খেলে শান্তি পাব। পরিবারের সকলে মিলে তৃপ্তি সহকারে কাঠাঁলটি খাব। টাকা কোন বিষয় নয়। মনের শান্তির উপর কিছু নেই। তবে একটি কাঠাঁল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তবে মসজিদের কাঠাঁল শুনে ধরে নিয়েছেন সওয়াবের আশায় অথবা মসজিদের সহায়তা হবে ভেবে ক্রেতা এই কাজটি করেছেন। এটা সত্যই প্রশংসনীয় কাজ।

মাহবুব খান বাবুল