ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমিন এসোসিয়েশনের জরুরি সভায় সার্ভেয়ার এমরানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আশুগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন সদর হাসপাতালে রোগীদের কম্বল দিলেন ওসি মোজাফ্ফর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোচালক নিহত আখাউড়ায় মাজারের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

মসজিদের ভালবাসায় ১ কাঠাঁল ক্রয় করলেন ২৬ হাজার টাকায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২ ৮৫৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একটি কাঠাঁল বিক্রি হল ২৬ হাজার টাকায়। কাঠাঁলটি মসজিদের। মূলত মসজিদের প্রতি ভাল বাসার টানেই এত চড়া মূল্যে কাঠাঁলটি ক্রয় করলেন কাঞ্চন মিয়া নামের এক প্রবাসী। গত শুক্রবার বাদ জুমআ উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সর্বোচ্চ ১শত টাকা মূল্যের কাঠাঁলটি ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর গোটা সরাইলে আলোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ হতবাক হচ্ছেন। অনেকে বলছেন বিষয়টি অবিশ্বাস্য। স্থানীয়রা জানায়, পরমানন্দপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের গাছের কাঠাঁরটি বিক্রয়ের চিন্তা করেন পরিচালনা কমিটি। তাই কাঠাঁলটি খোলা ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিটির লোকজন ও ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামের উপস্থিতে মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে ডাক শুরূ হয়। শুরূতেই জনৈক মুসল্লি ১ হাজার টাকা বলেন। শুরূ হয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চলে মূল্য হাকানোর প্রতিযোগিতা। শুরূ থেকে ডাক ছাড়েননি কাঞ্চন মিয়া। সর্বশেষ তিনি ২৬ হাজার পর্যন্ত ডাকার পর কেউ প্রতিযোগিতায় আসেননি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে কাঞ্চন মিয়া কাঠাঁলটি পেয়েছেন। কাঞ্চন মিয়ার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা গ্রহন করে কাঠাঁলটি তার হাতে তুলে দেন। ইমাম মাওলানা আব্দুস সালাম বলেন, আল্লাহর ঘরের কাঠাঁলটি এমন চড়া মূল্যে বিক্রি হবে ভাবিনি। খুবই ভাল লাগছে। কারণ এই টাকাটা দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজ করা যাবে। যিনি ক্রয় করেছেন উনার জন্যও দোয়া করি। কাঞ্চন মিয়া বলেন, শুরূ থেকেই নিয়ত করেছিলাম যত দামই হউক ক্রয় করার চেষ্টা করব। কারণ আল্লাহর ঘরের এই কাঠাঁলটি খেলে শান্তি পাব। পরিবারের সকলে মিলে তৃপ্তি সহকারে কাঠাঁলটি খাব। টাকা কোন বিষয় নয়। মনের শান্তির উপর কিছু নেই। তবে একটি কাঠাঁল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তবে মসজিদের কাঠাঁল শুনে ধরে নিয়েছেন সওয়াবের আশায় অথবা মসজিদের সহায়তা হবে ভেবে ক্রেতা এই কাজটি করেছেন। এটা সত্যই প্রশংসনীয় কাজ।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মসজিদের ভালবাসায় ১ কাঠাঁল ক্রয় করলেন ২৬ হাজার টাকায়

আপডেট সময় : ১০:২১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

একটি কাঠাঁল বিক্রি হল ২৬ হাজার টাকায়। কাঠাঁলটি মসজিদের। মূলত মসজিদের প্রতি ভাল বাসার টানেই এত চড়া মূল্যে কাঠাঁলটি ক্রয় করলেন কাঞ্চন মিয়া নামের এক প্রবাসী। গত শুক্রবার বাদ জুমআ উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সর্বোচ্চ ১শত টাকা মূল্যের কাঠাঁলটি ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর গোটা সরাইলে আলোচনার ঝড় বইছে। কেউ কেউ হতবাক হচ্ছেন। অনেকে বলছেন বিষয়টি অবিশ্বাস্য। স্থানীয়রা জানায়, পরমানন্দপুর পূর্ব পাড়া জামে মসজিদের গাছের কাঠাঁরটি বিক্রয়ের চিন্তা করেন পরিচালনা কমিটি। তাই কাঠাঁলটি খোলা ডাকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিটির লোকজন ও ইমাম মাওলানা আব্দুস সালামের উপস্থিতে মুসল্লিদের অংশ গ্রহনে ডাক শুরূ হয়। শুরূতেই জনৈক মুসল্লি ১ হাজার টাকা বলেন। শুরূ হয় মূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চলে মূল্য হাকানোর প্রতিযোগিতা। শুরূ থেকে ডাক ছাড়েননি কাঞ্চন মিয়া। সর্বশেষ তিনি ২৬ হাজার পর্যন্ত ডাকার পর কেউ প্রতিযোগিতায় আসেননি। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে কাঞ্চন মিয়া কাঠাঁলটি পেয়েছেন। কাঞ্চন মিয়ার কাছ থেকে ২৬ হাজার টাকা গ্রহন করে কাঠাঁলটি তার হাতে তুলে দেন। ইমাম মাওলানা আব্দুস সালাম বলেন, আল্লাহর ঘরের কাঠাঁলটি এমন চড়া মূল্যে বিক্রি হবে ভাবিনি। খুবই ভাল লাগছে। কারণ এই টাকাটা দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজ করা যাবে। যিনি ক্রয় করেছেন উনার জন্যও দোয়া করি। কাঞ্চন মিয়া বলেন, শুরূ থেকেই নিয়ত করেছিলাম যত দামই হউক ক্রয় করার চেষ্টা করব। কারণ আল্লাহর ঘরের এই কাঠাঁলটি খেলে শান্তি পাব। পরিবারের সকলে মিলে তৃপ্তি সহকারে কাঠাঁলটি খাব। টাকা কোন বিষয় নয়। মনের শান্তির উপর কিছু নেই। তবে একটি কাঠাঁল ২৬ হাজার টাকায় বিক্রির বিষয়টি অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তবে মসজিদের কাঠাঁল শুনে ধরে নিয়েছেন সওয়াবের আশায় অথবা মসজিদের সহায়তা হবে ভেবে ক্রেতা এই কাজটি করেছেন। এটা সত্যই প্রশংসনীয় কাজ।

মাহবুব খান বাবুল