মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়েরের জেরে এবার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে মামলা করেছেন সেই যুবলীগ নেতা সোহেল রানা। রোববার (৩০ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য আলাউদ্দিন আলালকেও আসামি করা হয়েছে। তবে আসামি পক্ষের দাবি, মসজিদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বাদীপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মারধরের অভিযোগের মামলা করেছেন সোহেল। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসজিদের ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ও সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানার বিরুদ্ধে গত ২৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল। বিচারক আফরিন আহমেদ হ্যাপী মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়েরের তিনদিনের মাথায় মামলার বাদী ইকবাল ও চিলোকূট গ্রামের বাসিন্দা ছাত্রলীগ নেতা শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করলেন যুবলীগ নেতা সোহেল। মামলার এহাজারে বলা হয়, পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহেলকে তার বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এ সময় আসামিরা সোহেলের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মেবাইলফোন এবং ঘরের ভেতর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিটিয়ে নেয়। চিলোকূট মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসিজদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, মসজিদের টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বলা হলেও সোহেল কর্ণপাত করেনি। সে মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ করে এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।
মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জি