মন্দির ও শ্মশান থেকে দখল উচ্ছেদ না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবাদ সভা

- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুহিলপুরে হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশানের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুপ্রিম কোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজার চত্বরে হিন্দু মন্দিরের শ্মশান কমিটির উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দু মন্দির ও শ্মশান কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রাণ সম্পাদক সাচ্চু মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল আলম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সজল দেব, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুজন দত্ত, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র চৌধুরী, সুহিলপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্য নিশি কান্ত রিশি, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বকুল হাজারী, পল্লী চিকিৎসক নয়ন মনি দেব, বাকাইল গ্রামের হিন্দু সমাজের সভাপতি অমৃত লাল দাস, হিন্দু মহাদেব মন্দির ও শ্মশান কমিটির উপদেষ্টা সুকান্ত দাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সুহিলপুর মৌজার ১২৬৫ দাগে ৩১ শতক ভূমিতে সনাতন ধর্মের মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত দাহ এর কাজ সম্পন্ন করে আসছিল। কিন্তু অবৈধ জবর দখলদারদের জোরপূর্বক দখলের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দাহ কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এই ভূমিতে বিগত এস.এ জরিপমলে জরিপ কর্মচারীগনের গাফিলতির কারণে নালিশা ভূমি খাস খতিয়ান হিসেবে রেকর্ডভূক্ত হয়। ফলে এলাকার কিছু দখলকারী ভূমি দস্যুরা মন্দিরসহ শ্মশান ভূমিতে অবৈধভাবে দোকাপাট নির্মাণ করে। দীর্ঘ ৩৩ বছর মামলা-মোকদ্দমা শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট শ্মশ্মান এর পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু রায় ঘোষণার ৬ মাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এদিকে একটি কুচক্রি মহল জায়গাটি লীজ নেওয়ার পায়তারা করছে। বক্তারা এ ঘটনায় তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। দ্রুত আদালতের রায় বাস্তবায়িত না হলে এবং শ্মশ্মানের ভূমি নিয়ে কোন রকম পায়তারা হলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ ভূমিটিকে খাস জমি দাবী করে বলেন, উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেয়া আছে। যখন প্রয়োজন হবে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। বি.এস জটিলতায় মন্দির ও শ্মশ্মানের ভূমি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএসএ কোন রকম জটিলতা হয়ে থাকলে উপযুক্ত তথ্যাদি দিয়ে আদালতে আশ্রয় নিলে আদালত যে রায় দেন তা মেনে নেয়া হবে।