ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন ৪ আওয়ামীলীগ নেতাসহ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৩ জন

- আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে (সরাইল-আশুগঞ্জ) আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ৪ আওয়ামীলীগ নেতা। জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, ও পিপুলস্ পার্টির ১ জন করে প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি তিন দফতরের প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। উপজেলা নির্বাচন অফিস ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, মহাজোট থেকে দুইবার নির্বাচিত জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় প্রস্তুতি কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ২০১৮ সালের মত এবারও জাপা’র দলীয় মনোনয়ন পাননি। কারণ নিজের অধিকার আদায়ের জন্য মৃধা দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরূদ্ধে মামলা করেছেন। উচ্চ আদালতের আদেশে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা আছে। তাই রওশন এরশাদ চাইলেও জিএম কাদের গংরা মৃধাকে জাপা’র মনোনয়ন দেননি বলে জানিয়েছেন জিয়াউল হক মৃধা। গত বুধবার সন্ধ্যায় ও রাতে নিজ ইউনিয়ন নোয়াগাঁও এর বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। কালীকচ্ছ ও নোয়াগাঁও দুই ইউনিয়নবাসী সমর্থন দিয়েছেন মৃধাকে। তিনি কথা বলেছেন সরাইল আশুগঞ্জের দলীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে। সমর্থন পেয়েছেন। তাই আজ দুপুরে উপজেলা জাপা নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। জাপা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। আবদুল হামিদ সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের প্রয়াত আদম সুফীর ছেলে। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এই আসনে জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. রেজাউল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল জাপা। মাত্র ৮ দিনের ব্যবধানে আবারও প্রার্থী পরিবর্তন করেছে দলটি। আসনটি উম্মূক্ত ঘোষণা দেওয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন মঈন, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু ও সরাইল উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন’। তবে বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি আ’লীগ নেতা এ্যাডভোকেট কামরূজ্জামান আনসারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আ’লীগ ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছি। এই আসনের সকল সামজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষার কাজের সাথে জড়িয়ে আছি। দলীয় মনোনয়ন (নৌকা) পাওয়ার জন্য মাঠে আছি ৮-১০ বছর ধরে। বাংলাদেশ আ’লীগ এখানে নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে উম্মুক্ত ঘোষণা দিয়েছেন। তাই নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যাসায়ি মো. আবু আসিফ আহমেদ, এক সময়ের বিএনপি’র নিবেদিত কর্মী মো. আব্দুর রহিম, পিপলস্ পার্টির মো. রাজ্জাক হোসেন, জাকের পার্টির জহিরূল ইসলাম জুয়েল, স্বতন্ত্র শাহ মফিজ ও কালীকচ্ছের মো. মোহন মিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সকল প্রার্থীই নির্বাচনে জয়লাভের বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে এমপি নির্বাচিত হতে পারলে সরাইল আশুগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়নের বাণীও শুনিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে লাঙ্গলসহ ৩ জন দলীয় প্রতীকের প্রার্থী। অন্য ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আগামী ৮ জানুয়ারি রোববার জেলা নির্বাচন অফিসে যাচাই-বাছাই। প্রত্যাহার ১৫ জানুয়ারি রোববার। ১৬ জানুয়ারি সোমবার প্রতীক বরাদ্ধ। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রূয়ারি বুধবার।