ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ ইসলাম, অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেফতার টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইউপিজি’র অগ্রণী ভূমিকা ২০২৫-এ গোল্ড প্রেসিডেন্ট’ সম্মাননা পেলেন রোটারিয়ান ইঞ্জিনিয়ার কামাল উদ্দীন কারাগারে টাকা ছাড়া মেলেনা বন্দিদের সাক্ষাত পেশাগত অধিকার আদায়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত কমিটির বিজয়নগরে নিজ বাসা থেকে নিখোঁজ তানভীর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার শ্যামলকে ফুলেল শুভেচ্ছা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসক সিন্ডিকেট-অবাধ্য চিকিৎসকদের নিয়ে বেকায়দায় তত্ত্বাবধায়ক।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ ৬০৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই কমছে না। পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাঝেমাঝে কিছুটা কমলেও পরে তা আবার বেড়ে যায়। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ এতে জড়িত আছেন হাসপাতালের ভেতরের কর্মচারীরা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানায়, দালালরা মূলত রোগী বা স্বজনদের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কথা বলে প্রভাবিত করে। অব্যবস্থাপনার অজুহাতে নিয়ে যায় ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রাখা হয় অতিরিক্ত টাকা। এছাড়াও তারা ধারণা করেছে, দালাল চক্রের সাথে যোগসাজশ রয়েছে হাসপাতালেরই কিছু কর্মচারীরা। সুন্দর ও সুশীল পোশাকের অধিকারি পুরুষ ও মহিলা দালালরা। হাসপাতালে এসেই বেছে বেছে তারা টার্গেট করছে অসহায় রোগীদেরকে। ইমার্জেন্সি থেকে ওয়ার্ড এর ভিতরেই চলে তাদের আধিপত্য। ট্রলিতে করে রোগীকে তারাই নিয়ে যায়। সেবা দেওয়ার মিথ্যে কৌশল ব্যবহার করে চলছে ছিনতাই। কয়েকজন দালালের সাথে কথা বললে জানা যায়, তারা বলেন নাম না বলা কিছু ডাক্তারের নিয়ন্ত্রণে চলে বেশির ভাগ দালাল। আমরা সবাই তাদের প্রাইভেট চেম্বারেই রুগী নিয়ে যাই। এর বিনিময়ে আমরা ভিজিট থেকে ও রুগীর পরীক্ষা থেকেও আমরা টাকা পাই। এভাবেই আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম চলে। আরও বলেন কিছু ছদ্দবেশে সদর হাসপাতালে ঘোরাফেরা করে মূলত তারাই অসহায় রুগীদেরকে টার্গেট করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় মাঝেমধ্যে এসব ঘটনা আমরা শুনতে পাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সকাল থেকেই দালালের দৌরাত্ম্য। আবার দেখা যায় চিকিৎসকের চেম্বারে সামনে এসিস্টেন্ট দরজার বাহিরে দাড়িয়ে আছে কিন্তু ভিতরে চিকিৎসক নেই। আবার একজন চিকিৎসককে দেখা যায় প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখছে। এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দালাল বিষয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন দালালের বিষয়ে আমাদের কিছু কর্মচারীর সেন্ডিকেটে নিয়ন্ত্রণ চলছে আমি শুনেছি। একজন চিকিৎসক ডিউটি অবস্থায় সে প্রাইভেট চেম্বারে রুগী দেখছে জিজ্ঞাসা করলে? উনি বলেন আমি এ ব্যপারে অবগত আছি কিন্তু তাকে বারবার বলছি, ফল হচ্ছে না। আমার কথা সে মানছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসক সিন্ডিকেট-অবাধ্য চিকিৎসকদের নিয়ে বেকায়দায় তত্ত্বাবধায়ক।

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই কমছে না। পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাঝেমাঝে কিছুটা কমলেও পরে তা আবার বেড়ে যায়। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ এতে জড়িত আছেন হাসপাতালের ভেতরের কর্মচারীরা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে জানায়, দালালরা মূলত রোগী বা স্বজনদের সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কথা বলে প্রভাবিত করে। অব্যবস্থাপনার অজুহাতে নিয়ে যায় ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে রাখা হয় অতিরিক্ত টাকা। এছাড়াও তারা ধারণা করেছে, দালাল চক্রের সাথে যোগসাজশ রয়েছে হাসপাতালেরই কিছু কর্মচারীরা। সুন্দর ও সুশীল পোশাকের অধিকারি পুরুষ ও মহিলা দালালরা। হাসপাতালে এসেই বেছে বেছে তারা টার্গেট করছে অসহায় রোগীদেরকে। ইমার্জেন্সি থেকে ওয়ার্ড এর ভিতরেই চলে তাদের আধিপত্য। ট্রলিতে করে রোগীকে তারাই নিয়ে যায়। সেবা দেওয়ার মিথ্যে কৌশল ব্যবহার করে চলছে ছিনতাই। কয়েকজন দালালের সাথে কথা বললে জানা যায়, তারা বলেন নাম না বলা কিছু ডাক্তারের নিয়ন্ত্রণে চলে বেশির ভাগ দালাল। আমরা সবাই তাদের প্রাইভেট চেম্বারেই রুগী নিয়ে যাই। এর বিনিময়ে আমরা ভিজিট থেকে ও রুগীর পরীক্ষা থেকেও আমরা টাকা পাই। এভাবেই আমাদের প্রতিদিনের কার্যক্রম চলে। আরও বলেন কিছু ছদ্দবেশে সদর হাসপাতালে ঘোরাফেরা করে মূলত তারাই অসহায় রুগীদেরকে টার্গেট করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। প্রায় মাঝেমধ্যে এসব ঘটনা আমরা শুনতে পাই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সকাল থেকেই দালালের দৌরাত্ম্য। আবার দেখা যায় চিকিৎসকের চেম্বারে সামনে এসিস্টেন্ট দরজার বাহিরে দাড়িয়ে আছে কিন্তু ভিতরে চিকিৎসক নেই। আবার একজন চিকিৎসককে দেখা যায় প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখছে। এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, দালাল বিষয়ে উনাকে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন দালালের বিষয়ে আমাদের কিছু কর্মচারীর সেন্ডিকেটে নিয়ন্ত্রণ চলছে আমি শুনেছি। একজন চিকিৎসক ডিউটি অবস্থায় সে প্রাইভেট চেম্বারে রুগী দেখছে জিজ্ঞাসা করলে? উনি বলেন আমি এ ব্যপারে অবগত আছি কিন্তু তাকে বারবার বলছি, ফল হচ্ছে না। আমার কথা সে মানছে না।