ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে নিয়ে সরকারী কর্মকর্তার বেফাস মন্তব্যে ক্ষোভ
- আপডেট সময় : ০৯:৫০:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২ ২২০ বার পড়া হয়েছে
জেলার পদস্থ এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে নিয়ে বেফাস মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে। শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার ফারুকী ট্রাষ্টের জায়গার পাশ দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচল ও পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করার আবেদনের প্রেক্ষিতে তার সঙ্গে স্বাক্ষাত করতে গেলে ওই কর্মকর্তা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীর বউ আর সরকারী জায়গা দেখলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের এতো চুলকায় কেন।’ শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় ফারুকী ট্রাষ্টের জায়গার সাথে পাশ্ববর্তী বাড়ি সমূহের সংযোগ সড়ক স্থাপন এবং পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করার জন্যে ওই কর্মকর্তা বরারব গত ৫ই জুন একটি আবেদন করেন সেখানকার ১১৫৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নাছির আহম্মদ খান। এতে পৌরসভার মেয়র এবং সংশ্লিষ্ট ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরও সুপারিশ করেন। আবেদনে বলা হয়,প্রায় ৫০ বছর ধরে ওই জমির ওপর দিয়ে স্থানীয় লোকজন চলাচল করছে এবং পানি নিস্কাষন হচ্ছে। তাছাড়া শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও স্কুলে যাতায়তের জন্যে উল্লেখিত রাস্তা ব্যবহার করছে। রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগের প্রেক্ষিতে দেয়া আবেদনে আরো বলা হয়,এলাকার বিপুল সংখ্যক জনসাধারণের চলাচল,পানি নিষ্কাষন এবং স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে স্কুলে যাওয়ার স্বার্থে ফারুকী ট্রাষ্টের জমির সাথে সংযোগ সড়ক ও পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা গ্রহন এলাকাবাসীর প্রানের দাবী। বিষয়টি দেখার জন্যে প্রভাবশালী একজন সংসদ সদস্য ও সরকারের একজন সচিবও ওই কর্মকর্তাকে বলেন। এরপর গত ১৩ই জুন দুপুরে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে যান নাছির আহম্মদ খান। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস। জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নাসির আহম্মদ খান বলেন-জন্মের পর থেকে ওই জায়গা দিয়ে আমরা চলাচল করছি এবং পানি নিষ্কাষন হচ্ছে। কিন্তু চলাচলের সেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে শুধু আমাদের নয়,বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হবে। বিষয়ে আমরা ৩ জন দেখা করতে যায়। তখন তিনি বলেন-আপনার দরখাস্ত রিফিউজ করা হলো। আপনাদের বললাম হবেনা,হবেনা। এক পর্যায়ে বলেন,প্রবাসীর বউ আর সরকারী জায়গা দেখলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের এতো চুলকায় কেন। তার এই বেফাস কথা শুনে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন- তিনি একজন সরকারী পদস্থ কর্মকর্তা। তার যে আচরণ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা এটা প্রত্যাশা করিনা। তার ব্যবহার খুব রুক্ষ। আমাদের সাথে একজন ভদ্র মহিলা ও নারী নেত্রী ছিলেন। তার সামনে এধরনের মন্তব্য করায় আমরা আরো বিষ্মিত হয়েছি।
এনই আকন্ঞ্জি