মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী বাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের প্রতীক বরাদ্ধের তারিখ ছিল গত সোমবার ১৬ জানুয়ারি। যথারীতি রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত টোকেনও দিয়েছেন প্রার্থীদের। নিজেদের ছবি ও বরাদ্ধ পাওয়া প্রতীক দিয়ে পোষ্টার তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোমবার বিকেলেই ছড়িয়ে দেন প্রার্থী সমর্থকরা। দিবাগত রাতে জনসংযোগকালে ভোটারদের কাছে প্রতীক বলে ভোট চান প্রার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার পর প্রার্থীদের মুঠোফোনে আসে আরেক নতুন বার্তা। কর্তৃপক্ষ জানান প্রতীক পরিবর্তন হয়েছে বিএনপি’র দলত্যাগী নেতা সাত্তারের ও মহাজোটের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার। মৃধা বলেন, কর্তৃপক্ষ প্রতীক বরাদ্ধে ভুলের জন্য দু:খ প্রকাশ করে জানিয়েছেন আমার প্রতীক ‘সিংহ’ নয়, ‘আপেল’। প্রতীক বরাদ্ধের পরও গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর প্রচারণা ছিল না সরাইলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও একাধিক প্রার্থী সূত্র জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে উনার সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান। স্বতন্ত্র প্রাথী ৩ জনের কেউ একাধিক প্রতীক না চাওয়ায় লটারির প্রয়োজন হয়নি। উকিল আবদুস সাত্তার ‘ডাব’, এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ‘সিংহ’ ও আবু আসিফ আহমেদ পান ‘মোটরগাড়ী’ প্রতীক। তাদেরকে প্রতীক বরাদ্ধের কাগজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেল থেকে প্রার্থীর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রত্যেকের প্রতীকের ছবি সম্বলিত পোষ্টার আপলোড দিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়ের। লাইক কমেন্স আর শেয়ারের বন্যা বইতে থাকে। মহুর্তের মধ্যে প্রতীক ছড়িয়ে পড়ে দেশ ও বিদেশে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার পর আসে প্রতীক পরিবর্তনের বার্তা। মৃধার ‘সিংহ’ হয়ে যায় ‘আপেল’ আর সাত্তারের ‘ডাব’ হয়ে যায় ‘কলারছুড়া’। কারণ হিসেবে জানানো হয় সিংহ ও ডাব অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রতীক। থমকে যায় প্রার্থী ও সমর্থকরা। বরাদ্ধ দেওয়ার মাত্র ২০ ঘন্টা পর প্রতীক পরিবর্তন কেন? জিয়াউল হক মৃধা বলেন, সকাল ১১ টার পর ফোন করে জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেন, প্রতীকে ভুল হয়ে গেছে। সিংহ নাকি কোন রাজনৈতিক দলের প্রতীক। অথচ আমি এই সিংহ প্রতীকেই গত ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সংসদ নির্বাচন করেছিলাম। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।