Dhaka ০৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
News Title :
সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ সাহিত্য একাডেমির বৈশাখী উৎসবের চতুর্থ দিনে মুজিবনগর দিবস পালন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত দেওড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘এক্স স্কাউট রি-ইউনিয়ন’ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২৪ সরাইলে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা সরাইলে ২৩ রোগী পেল ১৮৪০০০ টাকা বাবার সেই চিঠি শুধুই মনে —–আল আমীন শাহীন জমে ওঠেছে সরাইলের ঈদ বাজার‘আলিয়া’ নিয়ে টানাটানি সরাইলে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ কারবারী গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়ি়য়া জেলা কাজী সমিতির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আইনি নোটিশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • ২১৪ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা বেশিরভাগ ইটভাটা বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি, ও বাজারের পাশে। অনেক ইটভাটায় বেকু রেখে আশপাশের ফসলি জমি থেকে কেটে আনছেন মাটি। পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা।

জেলার ৯৯টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আজ বুধবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ. কিউ. এম. সোহেল রানা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশদাতাকে তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় যথাযথ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সোহেল রানা। নোটিশে আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ইটভাটা স্থাপনের সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করার কথাও বলা হয়েছে। তা ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা ইটভাটার প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা। গত ২০১৯ সালে, পরিবেশ অধিদপ্তর ৭টি বিভাগীয় শহরে বায়ুর গুণমানের ওপর একটি ৫ বছরের সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ৫০ শতাংশ দূষণ ইটের ভাটায় ঘটছে, যার ফলে বাসিন্দাদের জন্য সব ধরণের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা এবং সরকারি নির্দেশনা প্রয়োগের অভাবসহ অনেক কারণ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য দায়ী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

সারাদেশে হিট এলার্ট; চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আইনি নোটিশ

Update Time : ১১:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা বেশিরভাগ ইটভাটা বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি, ও বাজারের পাশে। অনেক ইটভাটায় বেকু রেখে আশপাশের ফসলি জমি থেকে কেটে আনছেন মাটি। পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা।

জেলার ৯৯টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আজ বুধবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ. কিউ. এম. সোহেল রানা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশদাতাকে তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় যথাযথ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সোহেল রানা। নোটিশে আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ইটভাটা স্থাপনের সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করার কথাও বলা হয়েছে। তা ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা ইটভাটার প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা। গত ২০১৯ সালে, পরিবেশ অধিদপ্তর ৭টি বিভাগীয় শহরে বায়ুর গুণমানের ওপর একটি ৫ বছরের সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ৫০ শতাংশ দূষণ ইটের ভাটায় ঘটছে, যার ফলে বাসিন্দাদের জন্য সব ধরণের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা এবং সরকারি নির্দেশনা প্রয়োগের অভাবসহ অনেক কারণ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য দায়ী।