ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমিন এসোসিয়েশনের জরুরি সভায় সার্ভেয়ার এমরানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত আশুগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন সদর হাসপাতালে রোগীদের কম্বল দিলেন ওসি মোজাফ্ফর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক আর্ট ক্যাম্পের উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোচালক নিহত আখাউড়ায় মাজারের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আইনি নোটিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২ ২৪১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা বেশিরভাগ ইটভাটা বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি, ও বাজারের পাশে। অনেক ইটভাটায় বেকু রেখে আশপাশের ফসলি জমি থেকে কেটে আনছেন মাটি। পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা।

জেলার ৯৯টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আজ বুধবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ. কিউ. এম. সোহেল রানা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশদাতাকে তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় যথাযথ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সোহেল রানা। নোটিশে আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ইটভাটা স্থাপনের সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করার কথাও বলা হয়েছে। তা ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা ইটভাটার প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা। গত ২০১৯ সালে, পরিবেশ অধিদপ্তর ৭টি বিভাগীয় শহরে বায়ুর গুণমানের ওপর একটি ৫ বছরের সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ৫০ শতাংশ দূষণ ইটের ভাটায় ঘটছে, যার ফলে বাসিন্দাদের জন্য সব ধরণের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা এবং সরকারি নির্দেশনা প্রয়োগের অভাবসহ অনেক কারণ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য দায়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আইনি নোটিশ

আপডেট সময় : ১১:০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা বেশিরভাগ ইটভাটা বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কৃষিজমি, ও বাজারের পাশে। অনেক ইটভাটায় বেকু রেখে আশপাশের ফসলি জমি থেকে কেটে আনছেন মাটি। পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা।

জেলার ৯৯টি অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর আজ বুধবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ. কিউ. এম. সোহেল রানা এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশদাতাকে তা জানাতে বলা হয়েছে। অন্যথায় যথাযথ প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সোহেল রানা। নোটিশে আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ইটভাটা স্থাপনের সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত করার কথাও বলা হয়েছে। তা ছাড়া জেলার ৯টি উপজেলায় থাকা ইটভাটার প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবেশ দূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে ইটের ভাটা। গত ২০১৯ সালে, পরিবেশ অধিদপ্তর ৭টি বিভাগীয় শহরে বায়ুর গুণমানের ওপর একটি ৫ বছরের সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, ৫০ শতাংশ দূষণ ইটের ভাটায় ঘটছে, যার ফলে বাসিন্দাদের জন্য সব ধরণের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা এবং সরকারি নির্দেশনা প্রয়োগের অভাবসহ অনেক কারণ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য দায়ী।