Dhaka 2:42 pm, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী ছাড়াই আসামির জামিন

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:42:51 pm, Thursday, 9 February 2023
  • 233 Time View

আইনজীবী ছাড়াই আসামির জামিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারী থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছেন আইনজীবীরা। তবে ৭ ফ্রেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ দফায় বাড়ানো কর্মসূচীর শেষ দিনেও তাদের অপসারণ না করায় আবারো সব আদালত বর্জনের ঘোষনা দেয় আইনজীবীরা। আগামী ১৬ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা। এদিকে, আইনজীবীদের আদালত বর্জনের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আলোচিত নাজির মোঃ মোমিনুল ইসলামকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। আর চাঁদপুর আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করে বুধবার তাদের বদলি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ আইনজীবীরা আদালত বর্জন অব্যাহত রাখায় দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবী ছাড়া বিচার প্রার্থীদের শুনানিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত থেকে ২১ জন আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫ জন শিশু রয়েছে।

বিচারক আইনগত দিক বিবেচনায় জামিন দেয়ার কথা বললেও আইজীবী বলছেন এটি আইনসম্মত নয়।

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তানভীর ভূইয়া জানান, নিজের মামলা পার্টি ইচ্ছা করলে নিজে মুভ করতে পারেন। কিন্তু বেইলবন্ড ছাড়া হাকিম রিলিজের অর্ডার দিতে পারেনা। বেইলবন্ড ছাড়া হাকিম কিভাবে রিলিজ অর্ডার দেয়। এটা আইন সম্মত নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য না শুনে বিচারক জামিন দিতে পারে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পেশকার এবং পিওনরা আইনজীবীদের পাশ কাটিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব জামিন করিয়ে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হলে তখন বেইলবন্ড দাখিলের শর্তপূরণ করতে হয়। যখন পক্ষ নিজেই আসে তখন তার পক্ষে এসব শর্ত প্রযোজ্য নয়। সাদা কাগজের উপর সরকারি স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি লাগিয়ে জমা দিলে বিচারকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে জামিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এখানে লেনদেনের কোন প্রশ্নই আসে না।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস’ায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারী থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৭ কর্মদিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করে আইনজীবীরা।

এছাড়াও বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ ও অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছে উচ্চ আদালত। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের সাথে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে বৈঠকের পর দুটি আদালত বাদে বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী ছাড়াই আসামির জামিন

Update Time : 07:42:51 pm, Thursday, 9 February 2023

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় আইনজীবীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারী থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছেন আইনজীবীরা। তবে ৭ ফ্রেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ দফায় বাড়ানো কর্মসূচীর শেষ দিনেও তাদের অপসারণ না করায় আবারো সব আদালত বর্জনের ঘোষনা দেয় আইনজীবীরা। আগামী ১৬ ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের ঘোষণা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা। এদিকে, আইনজীবীদের আদালত বর্জনের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আলোচিত নাজির মোঃ মোমিনুল ইসলামকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। আর চাঁদপুর আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বদলি করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করে বুধবার তাদের বদলি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ আইনজীবীরা আদালত বর্জন অব্যাহত রাখায় দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবী ছাড়া বিচার প্রার্থীদের শুনানিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত থেকে ২১ জন আসামি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৫ জন শিশু রয়েছে।

বিচারক আইনগত দিক বিবেচনায় জামিন দেয়ার কথা বললেও আইজীবী বলছেন এটি আইনসম্মত নয়।

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তানভীর ভূইয়া জানান, নিজের মামলা পার্টি ইচ্ছা করলে নিজে মুভ করতে পারেন। কিন্তু বেইলবন্ড ছাড়া হাকিম রিলিজের অর্ডার দিতে পারেনা। বেইলবন্ড ছাড়া হাকিম কিভাবে রিলিজ অর্ডার দেয়। এটা আইন সম্মত নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য না শুনে বিচারক জামিন দিতে পারে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পেশকার এবং পিওনরা আইনজীবীদের পাশ কাটিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব জামিন করিয়ে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হলে তখন বেইলবন্ড দাখিলের শর্তপূরণ করতে হয়। যখন পক্ষ নিজেই আসে তখন তার পক্ষে এসব শর্ত প্রযোজ্য নয়। সাদা কাগজের উপর সরকারি স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি লাগিয়ে জমা দিলে বিচারকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে জামিন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এখানে লেনদেনের কোন প্রশ্নই আসে না।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস’ায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারী থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৭ কর্মদিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করে আইনজীবীরা।

এছাড়াও বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ ও অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছে উচ্চ আদালত। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের সাথে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে বৈঠকের পর দুটি আদালত বাদে বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।