মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
সরাইলে বসতবাড়ির জায়গার বিরোধের জের ধরে আপন চাচাত ভাইদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে আপন বৃদ্ধ চাচা সৈয়দ মিয়া (৫৮) ও তার ছেলেদের বিরূদ্ধে মুরগী চুরির মামলা করেছেন ভাতিজা এনায়েত উল্লাহ (৩৮)। মামলার নথিতে যুক্ত রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ একটি ট্রেডলাইসেন্সের ফটোকপি। মুছকি হাঁসছেন স্থানীয় লোকজন। মামলাটিকে মিথ্যা বানোয়াট বলছেন আশপাশের একাধিক নারী পুরূষ ও যুবক। আর পুলিশ বলছেন, সত্য মিথ্যা এখনই কিছু বলা যাবে না। তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়েছি। মামলা ও সরজমিনে স্থানীয় একাধিক নারী পুরূষ সূত্র জানায়, চুন্টা গ্রামের আপন দুই ভাই সৈয়দ মিয়া (৫৮) ও মতর মিয়া (৬০)। বাড়ির ৮ শতক জায়গা ক্রয়-বিক্রয়ের ঘটনায় তাদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সালিস সভায় তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ২৩ অক্টোবর সৈয়দ মিয়া বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী মো. জিলু মিয়া (৩৫) ও তার ছোট ভাই উজ্জ্বলকে (২৫) গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠান এস আই জসিম। বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে দাসপাড়ায় মুরগীর ফার্মে সিঁদেল চুরির অভিযোগে সৈয়দ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৩১ অক্টোবর আদালতে কাউন্টার মামলা করেন মারধরের মামলার ৩ নম্বর আসামী এনায়েত উল্লাহ (৩৮)। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এস আই মো. জসিম উদ্দিন। সরজমিনে দাসপাড়া ওই মুরগীর ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি টিনের ঘরে জেনারেটরের মেশিন, মুরগীর খাবারসহ কিছু মালামাল ঘুছিয়ে রেখেছেন। মূল ফার্ম দুটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হচ্ছে না দেখলেই বুঝা যায়। ফার্ম সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা টুনু মিয়া (২৮), মহিমা বেগম (২৮) ও জামাল মিয়া (২৫) বলেন, এই ফার্মের সকল মুরগী বিক্রি করে আরো ১/ দেড় মাস আগেই বন্ধ করেছেন এনায়েত। বাড়ির জায়গা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। তাই চাচাকে ঘায়েল করতে ফার্ম চুরি করেছে বলে মামলা দিয়েছেন। এখানে কোন চুরির ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি একেবারে মিথ্যা ও বানোয়াট। দাসপাড়ার ভীম দাস (৭০), কোমল চন্দ্র দাস (৪০), আকাশ (১৯) বলেন, এখানে চুরি হয়েছে এমনটি আমাদের জানা নেই। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক দু’জন মধ্য বয়সি ব্যক্তি বলেন, বৃদ্ধ সৈয়দ মিয়া দেড় কিলোমিটার দূরে চুরি করতে গিয়েছিল। তাদেরকে পিটিয়ে জখম করল। মামলা দেওয়ায় উল্টো তাদের দুইজনকে ধরে নিল। এ গুলো তো আর এমনিতেই হয়নি। আইনের প্রতিও মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাচ্ছে। আসলে সত্য ন্যায় সততা ওঠে গেছে। টাকা ও লাঠির শক্তিরই জয়জয়কার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কোর্টে মামলা করেছেন। আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি। তদন্তে কি পাওয়া গেছে? তা এখন বলা যাবে না।