Dhaka 9:47 am, Saturday, 27 July 2024
News Title :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ভারতের আবৃত্তি সংস্থা শ্রুতির শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা নবীনগরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির ১৮ সদস্যকে সংবর্ধণা প্রদান মেসার্স সরকার কনস্ট্রাকশনে একজনকে নিয়োগ দেয়া হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত সরাইলে ৭০ লক্ষাধিক টাকা কর আদায় ৩ কর্মকর্তাকে অভিনন্দন স্মারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ল্যাপটপ প্রদান গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগানো বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার কথা জানালেন নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত

বিদ্যুতের ভেলকিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:12:59 pm, Saturday, 3 June 2023
  • 125 Time View

বিদ্যুতের ভেলকিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

দেশজুড়ে বইছে তীব্র দাবদাহ। এ অবস্থায় গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, তখন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং। এবার পল্লী বিদ্যুতের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোডশেডিং। গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকদের বিদ্যুতহীন থাকতে হচ্ছে ১০-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডর বিক্রয় ও বিতরণ শাখা-১ এর আওতাভুক্ত এলাকায় দিনের বেলা বিদ্যুতের চাহিদা ২০ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। আর সন্ধ্যার পর চাহিদা ২৫ মেগাওয়াটের মতো। বরাদ্দ কম পাওয়ায় বর্তমানে দিনের বেলা প্রায় ৯ মেগাওয়াট এবং রাতের বেলায় ঘাটতি থাকছে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে প্রতি এক ঘণ্টা পর পর এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

এছাড়া জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের দিনের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১০০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট। আর সন্ধ্যার পর থেকে চাহিদা বাড়তে থাকে। যা প্রায় দেড়শ মেগাওয়াটে দঁড়ায়। এ সময়ে ঘটাতি থাকে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট মতো। ফলে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে পল্লী বিদ্যুতের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, চম্পকরগর বাজারে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট আছে তার। ব্যাংকিং সময়সূচিতে লোডশেডিং বেড়েছে। এতে গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত অন্তত ৭-৮ বার লোডশেডিং হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা রহমান জোনাকী জানান, কয়েকদিন ধরে গরম বেড়েছে। গরমের সাথে সাথে লোডশেডিং বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ভোররাতেও লোডশেডিং হয় এখন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩-৪ বার লোডশেডিং হয়। এতে করে বাসা-বাড়ির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হয়। গরমের কারণে ছোট শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। শহরের কোর্ট রোড এলকার স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউজের পরিচালক সুমন সাহা জানান, লোডশেডিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। ক্রেতারা দোকানে এসে গরমের কারণে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেন না। অনেক ক্রেতা কাপড় না নিয়েই দোকান থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ শাখা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। গরম কমে গেলে বিদ্যুতের চাহিদাও কমবে। তখন লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হোসেন বলেন, গরম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে সবসময় চাহিদার পুরো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা এখন গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দিচ্ছি। তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোডশেডিং কম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

বিদ্যুতের ভেলকিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন

Update Time : 08:12:59 pm, Saturday, 3 June 2023

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

দেশজুড়ে বইছে তীব্র দাবদাহ। এ অবস্থায় গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, তখন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং। এবার পল্লী বিদ্যুতের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লোডশেডিং। গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের ঘাটতি থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকদের বিদ্যুতহীন থাকতে হচ্ছে ১০-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। লোডশেডিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডর বিক্রয় ও বিতরণ শাখা-১ এর আওতাভুক্ত এলাকায় দিনের বেলা বিদ্যুতের চাহিদা ২০ থেকে ২৪ মেগাওয়াট। আর সন্ধ্যার পর চাহিদা ২৫ মেগাওয়াটের মতো। বরাদ্দ কম পাওয়ায় বর্তমানে দিনের বেলা প্রায় ৯ মেগাওয়াট এবং রাতের বেলায় ঘাটতি থাকছে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফলে প্রতি এক ঘণ্টা পর পর এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

এছাড়া জেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের দিনের বেলায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১০০ থেকে ১১০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পাচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট। আর সন্ধ্যার পর থেকে চাহিদা বাড়তে থাকে। যা প্রায় দেড়শ মেগাওয়াটে দঁড়ায়। এ সময়ে ঘটাতি থাকে ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট মতো। ফলে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে পল্লী বিদ্যুতের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, চম্পকরগর বাজারে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট আছে তার। ব্যাংকিং সময়সূচিতে লোডশেডিং বেড়েছে। এতে গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত অন্তত ৭-৮ বার লোডশেডিং হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা রহমান জোনাকী জানান, কয়েকদিন ধরে গরম বেড়েছে। গরমের সাথে সাথে লোডশেডিং বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। ভোররাতেও লোডশেডিং হয় এখন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩-৪ বার লোডশেডিং হয়। এতে করে বাসা-বাড়ির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হয়। গরমের কারণে ছোট শিশুরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। শহরের কোর্ট রোড এলকার স্বপ্নলোকে ফ্যাশন হাউজের পরিচালক সুমন সাহা জানান, লোডশেডিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যবসায়। ক্রেতারা দোকানে এসে গরমের কারণে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেন না। অনেক ক্রেতা কাপড় না নিয়েই দোকান থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ শাখা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। গরম কমে গেলে বিদ্যুতের চাহিদাও কমবে। তখন লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হোসেন বলেন, গরম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে সবসময় চাহিদার পুরো বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা এখন গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দিচ্ছি। তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লোডশেডিং কম।