প্রথমে ছুটিয়ে প্রেম। ঝরণা আক্তার (১৯) ও হৃদয় মিয়া (২৫) একে অপরকে কাছে পেতে ব্যাকুল। পিতার ইচ্ছার বিরূদ্ধেই ঝরণাকে বিয়ে করে হৃদয়। আর বিয়ের ৬ মাস পরই আজ শনিবার সকালে উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধু ঝরণার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ, নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব গলানিয়া গ্রামের আছন আলীর মেয়ে ঝরণা। একই গ্রামের জামির হোসেনের ছেলে হৃদয়। একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করে ৬ মাস আগে। তাদের এই বিয়েতে সম্মতি ছিল না হৃদয়ের পিতা জামির হোসেনের। তাই মেনে নেননি তিনি। বিয়ের পর থেকে ঝরণা স্বামীকে বাবার বাড়িতেই থাকত। স্বামী হৃদয় ছিল কর্মহীন। খুবই কষ্টে চলছিল তাদের সংসার। গত ১৫/১৬ দিন আগে ঝরণা পাশের বাড়ির রোজিনা নামের এক মহিলা থেকে ৫ শত ধার করেন। স্বামীকে ৫ শত টাকা দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরৎ দেয়ার কথা বলেন। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হৃদয় ওই টাকা ফেরৎ দিচ্ছেন না। ওদিকে রোজিনা পাওনা টাকার জন্য ঝরণাকে চাপ দিচ্ছেন। টাকার বিষয় নিয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ঝরণা ও হৃদয়ের মধ্যে মনোমালণ্য হয়। আজ ভোরে ঘুম ভেঙ্গে হৃদয় দেখতে পান তার স্ত্রী ঝরণা ওড়না পেছিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। দেখে মনে হচ্ছিল টিনশেড ঘরের মেঝেতে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে ফাঁসিতে ঝুলছিল। হৃদয় বিষয়টি শ্বশুর বাড়ির সবাইকে জানান। পরে পুলিশ গৃহবধু ঝরণার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শিহাবুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
মাহবুব খান বাবুল