ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রেন সার্ভিস নিয়ে বিভিন্ন সভা- সমাবেশ ও মানববন্ধন করার পর জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গত ১১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত স্মারকলিপি আমলে নিয়ে গত ৫ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখার এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসীর রেল ভ্রমণে দুর্দশা লাগোবে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করণ, আন্তঃনগর বিজয় ও কালনী এক্সপ্রেসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি ও বিদ্যমান ট্রেনসমূহের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন করেছেন।
উপরক্ত বিষয় নিয়ে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর এক জরুরি সভা আজ সন্ধ্যায়, শহরের কুমারশীল মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনা করা হয় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উক্ত অনুমোদনের খুশি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী এই দাবিটির বাস্তবায়নের জন্য দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন’ বিগত দুই মাস অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত এই দাবির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সভায় জেলা নাগরিক ফোরাম নেতৃবৃন্দ বিস্ময় প্রকাশ করেন। তারা অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তাগণের প্রতি জোর দাবি জানান।
জেলা নাগরিক ফোরাম-এর সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত-এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, এইচএম জামাল, নীহার রঞ্জন সরকার, ফয়সাল আহমেদ ওয়াকার, মোসাররফ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ। সভার শুরুতেই সম্প্রতি ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোক ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। সভায় জেলা নাগরিক ফোরামের পরবর্তী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়