আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হক ও কায়েমপুর ইউনিয়নবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা
ষষ্ঠ ধাপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ৭ ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন কায়েমপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হক এমপি’র স্নেভাজন ইকতিয়ার আলম রনি। এই ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কসবার ৭ ইউনিয়নের আর কোনো চেয়ারম্যানপ্রার্থী এত ভোট পাননি। ইকতিয়ার আলম রনি ১০ হাজার ৮শ’ ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছেন ৫ হাজার ২শ’ ১০ ভোট। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এড. আনিসুল হক এমপি’র আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ইকতিয়ার আলম রনি কাইমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল মজিদের নাতি ও সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সেলিমের সুযোগ্য সন্তান। এছাড়াও ইকতিয়ার আলম রনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ষষ্ঠ ধাপের কসবা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নির্বাচনি ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা গেছে- কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নে ৫৬০৫ ভোট পেয়ে মোশাররফ হোসেন, বাদৈর ইউনিয়নে ৪৭৭৪ ভোট পেয়ে শিপন আহমেদ ভূঁইয়া, গোপীনাথপুরে ৬০৬৮ ভোট পেয়ে মিজানুর রহমান, বিনাউটিতে ৬৬৮২ ভোট পেয়ে বেদন খান, কায়েমপুরে ১০৮২৫ ভোট পেয়ে ইকতিয়ার আলম রনি, বায়েকে ৬৩৯৭ ভোট পেয়ে বিল্লাল হোসেন এবং কসবা পশ্চিমে ৩৮৯৭ ভোট পেয়ে মো. মানিক মিয়া নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কায়েমপুর ইউনিয়নে নিজেদের ঐতিহ্য বজায় রেখে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন মরহুম আব্দুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সেলিম। সাধারণ জনগণের মাঝে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাসহ ইউনিয়নের উন্নয়ন ও কল্যাণে তাঁরা নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন। তাঁদের ঐতিহ্যের স্বাক্ষরে ইউনিয়নবাসীও ইকতিয়ার আলম রনির ডাকে স্বতঃষ্ফূর্ত সাড়া দিয়েছেন। রনির পক্ষে সাধারণ ভোটাররা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। ভোটের দিন ইউনিয়নবাসী একনিষ্ঠভাবে আস্থা রেখেছেন ইকতিয়ার আলম রনি’র উপর। যা অন্য কোনো ইউনিয়নে চোখে পড়েনি। অন্যান্য ইউনিয়নে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও এই ইউনিয়নের অন্যান্য চেয়ারম্যানপ্রার্থীদের ছিটকে ফেলে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছেন রনি।
ভোটার ও সাধারণ নাগরিকদের আশা- দাদা ও পিতার ঐতিহ্যের পরম্পরায় ইকতিয়ার আলম রনি ইউনিয়নের কল্যাণ ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। বিজয় অর্জনের পর ইকতিয়ার আলম রনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে আইনমন্ত্রী এড. আনিসুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান- আমাদের অভিভাবক আইনমন্ত্রী মহোদয়ের দোয়া নিয়ে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ইউনিয়নবাসীও আমার উপর আস্থা রেখেছিলেন। তাই এই নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। তিনি বলেন- এটা আমার বিজয় নয়, এই বিজয় যারা ইউনিয়নের উন্নয়ন ও কল্যাণ চান তাদের। আমার দাদা ও পিতার প্রতি জনগণের ভালোবাসা আজ আমাকে বিজয়ী করেছে। তিনি এই বিজয়ে ইউনিয়নের সর্বস্তরের ভোটারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এনই আকন্ঞ্জি