নাসিরনগরে সরকারী রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে ছয় গ্রামের মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০২:৫৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুলঃ নাসিরনগর থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে রতনপুর গ্রামে দেড়শত বছরের পুরাতন সরকারী রেকর্ডের রাস্তায় দেওয়াল দিয়ে দখল করে কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী অহিদ মিয়ার বিরূদ্ধে। স্থানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে রাস্তাকে বাড়ির সাথে মিলিয়ে দখলে নিয়েছেন ইউসুফ আলীর ছেলে অহিদ মিয়া (৭০) গংরা। রাস্তা ফিরে পেতে ফুঁসে ওঠেছে রতুনপুর, পশ্চিমপাড়া, ফতুইর, আনন্দপাড়া, পালহাটি ও পূর্বপাড়া এলাকার নারী পুরূষ। প্রতিবাদে গতকাল শনিবার দেওয়াল সংলগ্ন স্থানে দাঁড়িয়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী মো. জহিরূল ইসলাম (৬৫), মো. শফিকুল ইসলাম (৫০), মো. বাচ্চু মিয়া (৫১), দ্বীন মোহাম্মদ (৫২), মো. মরম আলী (৫৫), আমিনুল ইসলাম (২৮) ও পারভেজ (১৯) সহ অনেকেই বলেন, অহিদ মিয়া ও সাদেক মিয়া আপন ভাই। তারা ধনাঢ্য ও বিত্তশালী। অনেক সম্পত্তির মালিক।
তারপরও অবৈধ পন্থায় তাদেরকে ভূমিহীন সাজিয়ে পতিত জায়গা বন্দোবস্ত দিয়েছেন ভূমি অফিস। স্থানীয়রা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট জায়গাটির মোকদ্দমা নং-৪০/১৭-১৮ খ্রি. প্রস্তাবটি বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও রহস্যজনক কারণে সমাধান পাননি। নাসিরনগর এলাকায় বন্দোবস্ত দেওয়ার উপর এমপি’র নিষেধ থাকা সত্বের মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে সাদেক মিয়া রতনপুর মৌজার ১ নং খতিয়ানের ৭১২ নং দাগের ১০ শতক জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করে রেখেছেন ১৫ শতক। নাম সাদেক মিয়ার আর ভোগদখল করছেন অহিদ মিয়া। শর্ত ভঙ্গ করে ওই জায়গায় যা ইচ্ছা তাই করেছেন। দখল করছেন পাশের বেমালিয়া নদী। পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচলের দেড়শত বছরের পুরাতন রেকর্ডের রাস্তাটি অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা। আমরা দাঙ্গা হাঙ্গামা চাই না। শান্তি চাই। অহিদ মিয়া গংরা গ্রামের মানুষের রাস্তা বন্ধ করতে পারেন না। যদি টাকার গরমে রেকর্ডের রাস্তা খুলে না দেন তবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে দায়দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। অহিদ মিয়া স্থানীয়দের বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে রাস্তার উপর দেওয়াল নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, বাড়ির ভেতর দিয়ে তো রাস্তা দিয়েছি। আমার বাড়ির পর তো আর রাস্তা নেই। এ বিষয়ে চাতলপাড় ইউনিয়নের তৎকালীন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. লোকমান মিয়ার মুঠোফোনে (০১৭১৪-৩২৫১৯৯) একাধিকবার ফোন দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশ না করার একাধিক ভূমি কর্মকর্তা বলেন, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট জায়গা বন্দোবস্ত না দেওয়ার কথাই বলা আছে। বর্তমান উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, রাস্তা বন্দের বিষয়টি জেনেছি। উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আজ রোববার সরজমিনে বিষয়টি দেখতে যাচ্ছি।