ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহবাজপুরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার মহাউৎসব চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আলামিনকে সিটিএল’এর অনুদান শুভসংঘের আয়োজন সবজি দেখে শিক্ষার্থীরা লিখলো খাতায় বাঁচার আকুতি বিরল রোগে আক্রান্ত আলামিনের’ বিজয়নগরে ভোরের দর্পণ পত্রিকার বর্ষপূর্তি উদযাপন সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫৮ বোতল বিদেশী মদসহ ১ জন গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ২ মাসে ৩১ ট্রান্সফরমার চুরি

নবীনগর আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকারের অত্যাতাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ ২৫৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি হোসেন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।ইউপি চেয়ারম্যান এর ছত্রছায়ায় যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে হোসেন কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না কেউ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত বাইশমৌজা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হোসেন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ ভুমি দখল,স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসের যায়গা দখল করে বিক্রি, বাইশমৌজা গরুর হাটে ব্যাপক দুর্নীতি, সহ এমন কেন অপকর্ম নেই যা হোসেন করে না। এলাকাবাসী জানায় হোসেন সরকার গত প্রায় ২০ বছর পূর্বে বাইশমৌজা বাজারের মুদী ব্যাবসায়ী কাজল মিয়ার দোকানে ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তখনকার সময় স্থানীয় ছিদ্দিক মেম্বার,সামসু মেম্বার ও হুরন আলী সরদার সহ স্থানীয়রা শালিস দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হলেও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে হোসেন সরকার ঢাকার মিরপুরের বেনারসী পল্লীতে হাজী জিল্লুর রহমান এর সুতার কারখানায় প্রথমে পেটে ভাতে ও পরবর্তীতে মাসিক এক হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। কারখানা মালিক হাজী জিল্লুর রহমান তাকে দায়িত্ব দিয়ে ৪ মাসের জন্য তাবলীগ জামাতে গেলে এই সুযোগে মালিকের প্রচুর পরিমানে টাকা আত্মসাৎ করে নিজেই সূতার কারখানার মালিক হয়ে যান চতুর এই হোসেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই কারখানার মালিক হাজী জিল্লুর রহমান দেন দরবার করলে তাকে টাকা ফেরত দিয়ে ঢাকা ছেড়ে আবারো এলাকায় চলে আসতে হয়।২০১১ সালে সাংবাদিক জহির রায়হান এর নির্বাচনে কর্মী হয়ে সে এলাকার রাজনীতি শুরু করে এবং ২০১২ সালে ততকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরগসঁও গ্রামের হাবিবুর হরমান সরকারের ভাতিজি জামাই হিসাবে একখানা যৌতুক স্বরূপ একতরফা সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। কিন্তু ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাকে কেউ সভাপতি হিসাবে গুরুত্ব দিতো না ও স্থানীয় কর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। ২০১৮ সালে পূনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হ্মমতায় যাওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে উঠে হোসেন। একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটাতে থাকে হোসেন সরকার। স্থানীয় এমপিসহ উচ্চ পদস্থ দলীয় নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সকল অপকর্ম করে বেড়ান। হোসেনের ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না বিদায় সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে নির্বিঘ্নে।গৌরবগরের জোড়া খুনের মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি হোসেন এর বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলা, চাঁদাবাজি মামলা, দ্রুত বিচার আইন মামলা সহ বেশ কিছু মামলা চলমান অবস্থায় সর্বশেষ গত ৭ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দ্রুত বিচারে মামলা করেন বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সরকার মামলা নং- ১০৮। হযরত আলীর অভিযোগ মেঘনা নদী থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি করে বালু উত্তোলন করার সময় হোসেন সরকার সহ তার দলবল কে হাতেনাতে ধরে ফেলে যুবলীগ নেতা হজরত আলী সহ এলাকাবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ও তাকে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেবার হুমকি দেয়। সম্প্রতি চাচির সাথে পরকীয়ায় ধরা হেয়ে ভাইরাল হওয়া এই লম্পট হোসেন সরকারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারই চাচা কুদ্দুছ মিয়া। নিজ স্ত্রীর সাথে হোসেন সরকারের অপকর্মে বাঁধা দিয়ে কুদ্দুস মিয়া প্রান বাঁচাতে এখন ঘুরছে পুলিশ ও সাংবাদিকদের দ্বারে দ্বারে। কুদ্দুছ মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন আমার ভাতিজা হোসেন সরকারের সাথে আমার স্ত্রী সেলেনার কুকর্ম বাঁধা দেওয়ায় তারা দুই জন মিলে আনোয়ার চেয়ারম্যান এর সহায়তায় আমাকে খুন করে লাশ ঘুম করার পরিকল্পনা করছে।তাদের ভয়ে আমি নিজ বাড়িতে যেতে পারছি না। আমি প্রাণভয়ে পুলিশ সুপার ও নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসির) নিকট অভিযোগ করায় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ও হোসেন আমার উপর চরম ক্ষিপ্ত হওয়ায় আমি এখন এলাকা ছাড়া। এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হোসেন ও তার পরকীয়া প্রেমিকা সেলেনার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেছি মামলা নং সি আর- ২৭৯ নবীনগর, তাং-০৯/০৫/২০২৩ ইং আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাই। আমি পুলিস সুপার মহোদয় এর কাছে ভরসা পেলেও স্থানীয় পুলিশ আমাকে কতটা সহায়তায় করবে তা নিয়ে সন্দিহান। কারন হোসেন এর মাদক ব্যাবসা, বালু চুরি, গরু চুরি সহ অবৈধ সব কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের সাথে রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা যে কারনে স্থানীয় পুলিশ আমাকে গুরুত্ব না দেওয়ার আশংকায় আমি পুলিশ সুপার মহোদয় এর নিকট অভিযোগ করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নবীনগর আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন সরকারের অত্যাতাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ১১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ

বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি হোসেন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।ইউপি চেয়ারম্যান এর ছত্রছায়ায় যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে হোসেন কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না কেউ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের অন্তর্গত বাইশমৌজা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হোসেন সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ ভুমি দখল,স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা অফিসের যায়গা দখল করে বিক্রি, বাইশমৌজা গরুর হাটে ব্যাপক দুর্নীতি, সহ এমন কেন অপকর্ম নেই যা হোসেন করে না। এলাকাবাসী জানায় হোসেন সরকার গত প্রায় ২০ বছর পূর্বে বাইশমৌজা বাজারের মুদী ব্যাবসায়ী কাজল মিয়ার দোকানে ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তখনকার সময় স্থানীয় ছিদ্দিক মেম্বার,সামসু মেম্বার ও হুরন আলী সরদার সহ স্থানীয়রা শালিস দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হলেও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে হোসেন সরকার ঢাকার মিরপুরের বেনারসী পল্লীতে হাজী জিল্লুর রহমান এর সুতার কারখানায় প্রথমে পেটে ভাতে ও পরবর্তীতে মাসিক এক হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। কারখানা মালিক হাজী জিল্লুর রহমান তাকে দায়িত্ব দিয়ে ৪ মাসের জন্য তাবলীগ জামাতে গেলে এই সুযোগে মালিকের প্রচুর পরিমানে টাকা আত্মসাৎ করে নিজেই সূতার কারখানার মালিক হয়ে যান চতুর এই হোসেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই কারখানার মালিক হাজী জিল্লুর রহমান দেন দরবার করলে তাকে টাকা ফেরত দিয়ে ঢাকা ছেড়ে আবারো এলাকায় চলে আসতে হয়।২০১১ সালে সাংবাদিক জহির রায়হান এর নির্বাচনে কর্মী হয়ে সে এলাকার রাজনীতি শুরু করে এবং ২০১২ সালে ততকালীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরগসঁও গ্রামের হাবিবুর হরমান সরকারের ভাতিজি জামাই হিসাবে একখানা যৌতুক স্বরূপ একতরফা সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। কিন্তু ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাকে কেউ সভাপতি হিসাবে গুরুত্ব দিতো না ও স্থানীয় কর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। ২০১৮ সালে পূনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হ্মমতায় যাওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে উঠে হোসেন। একের পর এক অপকর্মে জড়িয়ে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটাতে থাকে হোসেন সরকার। স্থানীয় এমপিসহ উচ্চ পদস্থ দলীয় নেতাকর্মীদের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সকল অপকর্ম করে বেড়ান। হোসেনের ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না বিদায় সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে নির্বিঘ্নে।গৌরবগরের জোড়া খুনের মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি হোসেন এর বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলা, চাঁদাবাজি মামলা, দ্রুত বিচার আইন মামলা সহ বেশ কিছু মামলা চলমান অবস্থায় সর্বশেষ গত ৭ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দ্রুত বিচারে মামলা করেন বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী সরকার মামলা নং- ১০৮। হযরত আলীর অভিযোগ মেঘনা নদী থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি করে বালু উত্তোলন করার সময় হোসেন সরকার সহ তার দলবল কে হাতেনাতে ধরে ফেলে যুবলীগ নেতা হজরত আলী সহ এলাকাবাসী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ও তাকে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেবার হুমকি দেয়। সম্প্রতি চাচির সাথে পরকীয়ায় ধরা হেয়ে ভাইরাল হওয়া এই লম্পট হোসেন সরকারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারই চাচা কুদ্দুছ মিয়া। নিজ স্ত্রীর সাথে হোসেন সরকারের অপকর্মে বাঁধা দিয়ে কুদ্দুস মিয়া প্রান বাঁচাতে এখন ঘুরছে পুলিশ ও সাংবাদিকদের দ্বারে দ্বারে। কুদ্দুছ মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন আমার ভাতিজা হোসেন সরকারের সাথে আমার স্ত্রী সেলেনার কুকর্ম বাঁধা দেওয়ায় তারা দুই জন মিলে আনোয়ার চেয়ারম্যান এর সহায়তায় আমাকে খুন করে লাশ ঘুম করার পরিকল্পনা করছে।তাদের ভয়ে আমি নিজ বাড়িতে যেতে পারছি না। আমি প্রাণভয়ে পুলিশ সুপার ও নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসির) নিকট অভিযোগ করায় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ও হোসেন আমার উপর চরম ক্ষিপ্ত হওয়ায় আমি এখন এলাকা ছাড়া। এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে হোসেন ও তার পরকীয়া প্রেমিকা সেলেনার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেছি মামলা নং সি আর- ২৭৯ নবীনগর, তাং-০৯/০৫/২০২৩ ইং আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাই। আমি পুলিস সুপার মহোদয় এর কাছে ভরসা পেলেও স্থানীয় পুলিশ আমাকে কতটা সহায়তায় করবে তা নিয়ে সন্দিহান। কারন হোসেন এর মাদক ব্যাবসা, বালু চুরি, গরু চুরি সহ অবৈধ সব কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের সাথে রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা যে কারনে স্থানীয় পুলিশ আমাকে গুরুত্ব না দেওয়ার আশংকায় আমি পুলিশ সুপার মহোদয় এর নিকট অভিযোগ করেছি।