বাজারের দোকান দখল ও কোরবানির মাংশ বন্টন নিয়ে মনোমালণ্যের জেরে প্রবাসী দুলাল মিয়ার বিরূদ্ধে মানুষ চলাচলের একটি পুরাতন গ্রামীণ রাস্তা টিন ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। ফলে অবরূদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৩০টি পরিবারের দেড় শতাধিক লোক। শিক্ষার্থী ও হাসপাতালগামী রোগীরা চরম দূর্ভোগে আছেন। উপজেলার পল্লী এলাকা খ্যাত পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের (পূর্বপাড়া) মাদুর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরজমিনে গেলে গ্রামবাসী জানায়, ১ নম্বর ওয়ার্ড জয়ধরকান্দি বাজারে আবুল হোসেনের ছেলে সৌদী প্রবাসী দুলাল মিয়া কর্তৃক আইয়ুব খানের একটি দোকান ঘর জোর পূর্বক দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। এতে করে মাদুর বাড়ি এলাকার পাঁচ বাড়ির লোকজন দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কোরবানির ঈদে পাঁচ বাড়ির মাংশ একত্র করেই সমাজে বিতরণ করে আসছিলেন। এবার বিরোধের কারণে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ ও সর্দার ধনু মিয়ার নেতৃত্বে তিন বাড়ির লোকজন মিলে মাংশ একত্র করে বিতরণ করেন। দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে অপর দুই বাড়ির লোকজনে মাংশ মিলিয়ে তাদের লোকদের মধ্যে মাংশ বন্টন করেন। সকল মাংশ একত্র করা হলো না করায় ক্ষুদ্ধ হন দুলাল মিয়া। তিনি ঈদের পরের দিন অর্থাৎ গত সোমবার সকল ৭ টার দিকে গ্রামবাসীর চলাচলের অনেক পুরাতন রাস্তা টিন ও বাঁশের দ্বারা বেরিকেট দিয়ে বন্ধ করে দেন। ধনু মিয়ার সাথে থাকা তিন বাড়ির লোকজন ও শিক্ষার্থীরা অবরূদ্ধ হয়ে পড়েন। বাজার হাসপাতালসহ কোথাও যেতে পারছেন না তারা। চরম দূর্ভোগে আছেন ওই বাড়ির শিক্ষার্থী ও রোগীরা। কিছু লোক আনাচ কানাচ ও অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে খুবই কষ্ট করে যাতায়ত করছেন। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ বলেন, সমগ্র গ্রামের সাহেব সর্দার মিলে বাজারের ভিট বন্টন করেছেন। দুলালের গোত্রের লোকজন ও আমাদের লোকজন সমান ভাবে পেয়েছে। তারপরও দুলাল বিদেশ থেকে এসে জোরপূর্বক বাজারে অন্যের ভিট দখল করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাস্তা বন্ধ করেছে। দুলাল মিয়া বলেন, তারা নিয়েছে ৮টি আমাদেরকে দিয়েছে মাত্র ২টি। আমি গ্রামের বা রেকর্ডের কোন রাস্তা বন্ধ করিনি। আমাদের পারিবারিক জায়গা বন্ধ করেছি। আর বাজারে জোর পূর্বক দখল করিনি। সরকারি জায়গায় ঘর করেছি। ১৭ ভিটের মালিক বললে আমি এখন ভিট ছেড়ে দিব। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমি দেখিনি। শুনেছি দুলাল, নান্নু মিয়া ও মাহাবুবরা গত সোমবার সকালে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন। আমার জন্মের আগের এই রাস্তা এভাবে বন্ধ করে দেয়া ঠিক হয়নি। আমি নিজে এলাকার গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেছি। তারা দুইবার সময় নিয়ে বলছেন আরো বুঝার আছে। আবার বাজারের দোকান ভিটি পাওয়ার শর্তও দিচ্ছেন।
মাহবুব খান বাবুল