মাহবুব খান বাবুল: সরাইল থেকে:
নিয়ম অনুযায়ী পল্লী বন্ধু এরশাদের মৃত্যুর পর পার্টির চেয়ারম্যান হবেন উনার স্ত্রী রওশন এরশাদ। কিন্তু জীবিত থাকাকালে কৌশলে জিএম কাদের এরশাদের স্বাক্ষর করিয়ে রেখেছেন। এই স্বাক্ষর নিয়ে গাজিপুর থানায় জিডিও হয়েছে। আর ওই স্বাক্ষর ব্যবহার করে পাতানো কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়েছেন। আমি চেয়েছি ধারাবাহিক নেতৃত্ব। রাতের অন্ধকারে ষড়যন্ত্র করে দূর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে জিএম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে নয় বছরের সফল সাবেক রাষ্ট্র নায়ক এরশাদের পরিবারকে অপমান করা হয়েছে। জিএম কাদের প্রয়াত এরশাদ সাহেবের সন্তান নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। নিয়ম ও কাগজ অনুযায়ী জাতীয় পার্টির সদস্য হবেন ৩১০ জন। বিশেষ সুবিধায় তিনি যাকে খুশি তাকেই সদস্য করছেন। বিধিবিধানের গলায় রশি পড়িয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য এখন পোনে সাতশত। আমি সবসময় এসব অগণতান্ত্রিক ধারার বিরূদ্ধে লড়াই করেছি। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইলে জাতীয় পার্টির এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতা কর্মীদের উদ্যেশ্যে উপরোল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন মহাজোট থেকে দুইবার নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনি বলেন, আমার এলাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে একটি বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। কেউ বলছে মৃধাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অনেকে বলছেন জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির পদ হারাইছে। জাতীয় পার্টির মূল ধারার নেতা হচ্ছে এরশাদ। এরশাদের মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান হবেন রওশন এরশাদ। এর বাহিরে চিন্তা করা বিশ্বাস ঘাতকতা নয় কি? ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির সম্মেলন করতে ৮ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির ৭ জন যুগ্ম আহবায়কের মধ্যে আমি একজন। আমি পদ হারালাম কিভাবে? পল্লীমাতা রওশন এরশাদ আমাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। এরপর জিএম কাদের তাঁর বিশ্বস’ লোক দিয়ে আমাকে বলেছেন, ‘মৃধা তুমি বল রওশন এরশাদের সাথে তুমি নাই।’ আমি বলেছি এরশাদ পরিবারের বাইরে আমি যেতে পারব না। আমি ন্যায়ের সাথে ছিলাম ও আছি। পার্টিতে যারা বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন তাদের উদ্যেশ্যে দলটির সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরূদ্ধে কালীকচ্ছের সম্মেলন থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত নিয়ম ও শান্তির পার্টি, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চার পার্টি ও মানুষের জন্য পার্টি করতে না পারি ততদিন পর্যন্ত সংগ্রাম চলবেই। কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত ওই সম্মেলনে সভাপত্বি করেন মো. ইমান আলী। উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক দুলাল সূত্রধরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপজেলা জাপার সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক সালেক, যুগ্ম সম্পাদক হাফেজ আলী নেওয়াজ, সরাইল জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি নাজমা বেগম, আশুগঞ্জ উপজেলা জাপা’র যুগ্ম আহবায়ক আজাদুর রহমান স্বপন, সদস্য জামাল মিয়া। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জাপা’র নেতা কর্মীরা উপসি’ত ছিলেন।