করোনা মহামারীর কারণে সরকারি বিধিনিষেধে গত দুই বছর অনেকটা নীরবেই চলে গেছে বর্ষবরণ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবার ১লা বৈশাখে জেগে ওঠেছে সরাইল। অন্যরকম সাজ ও আয়োজনে বর্ষবরণ পালন করেছেন উপজেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেছে স্থানীয় সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বৈশাখী বাহারি কাপড় পড়ে মঙ্গল শোভা যাত্রায় অংশ গ্রহন করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। রং ঢং মেশানো জামা কাপড় পড়ে ভিন্ন ধরণের শৈল্পিকতা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছে সরাইল মহিলা কলেজ ও পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা নতুন বছর ‘১৪২৯’কে বরণ করে নিতে নানা আয়োজনে সকাল ৯টা থেকেই মুখরিত ছিল সরাইল উপজেলা চত্বর। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুলের নেতৃত্বে সকালে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ত্রিতালের পক্ষ থেকে বটপাতায় শুভ নববর্ষ লিখে বুকে পড়িয়ে দেয়া হয় সকলকে। পরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে খোলা আকাশের নীচে অনুষ্ঠিত হয় চিরায়ত বাংলার গানের অনুষ্ঠান। ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অংশ গ্রহনে গানের অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করে আকর্ষণ বৃদ্ধি করেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও ত্রিতালের শিল্পীদের অংশ গ্রহনে বৈশাখী, লোক সংগীত, আঞ্চলিক, জারিগান, নজরূল সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীতে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাসরিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, মৎস্য কর্মকর্তা মাইমুনা জাহান, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, আ’লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, শিক্ষক নেতা মো. আনোয়ার হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, কৃষকলীগের সভাপতি ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ প্রমূখ। সবশেষে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের দায়িত্বশীল লোকজন সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মাহবুব খান বাবুল