ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আশুগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে আশরাফ মাহদি মতবিনিময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা-বাবাকে মারধর, ছেলে-নাতি গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস পালিত দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের প্রতিবাদে ক্যাবের মানব বন্ধন হিন্দুত্ববাদীরা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়েছে, তারা মিথ্যা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করতে চায়-মাহমুদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমানে ভারতীয় ইয়াবা ও গাঁজা আটক সরাইলে পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়িঘরে হামলা- ভাংচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া তিন পরিবার বিজিবির অভিযানে তিন দিনে প্রায় এক কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জন গ্রেফতার

দানা মিয়ার ত্রাসের রাজত্ব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

dana

আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জালালপুর গ্রামে দানা মিয়া নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার আমতলী বাজারের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের বাড়ি-ঘরের উপর দফায় দফায় হামলা করে চলেছেন দানা মিয়া। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি আমতলী বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাজারের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের উপর দলবল নিয়ে হামলাও করেছেন দানা।এই হামলার ভিডিও বাজারের বিভিন্ন দোকানে সিসি টিভিতে ধরাও পরে।দানা মিয়ার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো দানা মিয়াকে প্রকাশ্যে সমর্থন করার অভিযোগ আছে পুলিশের বিরুদ্ধে। লোকমুখে শোনা যায়, দানা মিয়া ওই এলাকার একজন প্রকাশ্য সুধখোর, সুধের টাকা মানুষকে দিলে সেই টাকা পরিশোধ করার পরও খালি ব্যাংক চেক দিয়ে লোকের বিরুদ্ধে মামলা করে উল্টো বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ আছে। সরেজমিনে ঘুরে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, গত রোববার ৮ জানুয়ারি আমতলি বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাজারের সাধারন সম্পাদক ও জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আফজাল হোসেনের উপর দলবল নিয়ে অর্তকিত হামলা করেন দানা মিয়া।এঘটনার পর একই দিন বিকেলে দানা মিয়ার দল হামলা করে আফজাল হোসেনের বাড়িতে। এসময় আফজাল হোসেন ও তার বংশের তিনটি বাড়িতে দা দিয়ে কুপিয়ে লুটপাট চালানো হয়।তাদের হামলায় আহত হোন তিন ব্যক্তি।তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।অভিযোগ আছে, দানা মিয়ার এই হামলার সময় বিজয়নগর থানা পুলিশ সামনে দাড়িয়ে থেকেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলো। শুধু তাই নয়, দানা মিয়ার এক লোক পুলিশের হাতের লাঠি নিয়ে আঘাত করে আফজাল হোসেনের এক চাচাকে। আঘাতে মাথা ফেটে যাওয়ার পরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। জগড়া বিবাদ করবেনা মর্মে বিজয়নগর থানার ওসি দুই পক্ষ থেকে মুচলেকা রাখলেও তা মানছেনা দানা মিয়া।মুচলেকার পরও দানা মিয়ার দলবল আফজাল হোসেনের বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন দেয়, এসময় গালিগালাজ ও ডাকাডাকি করে উস্কানি দেয়। এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী বলেন, দানা মিয়া দলবল নিয়ে আফজালকে বাজারে পারপিট করার পর ওইদিনই সন্ধ্যায় আফজালের বাড়িঘরেও হামলা করেছে। এব্যপারে থানায় অভিযোগ নিচ্ছেনা পুলিশ। তাই আমি পরামর্শ দিয়েছি আদালতে গিয়ে মামলা করতে। এবিষয়ে জানতে বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, দুই পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা রেখেছি যেন জগড়া বিবাদে তারা না জড়ায়।এরপর তারা যদি জগড়ায় লিপ্ত হয় সেটা দেখা হবে।আর পুলিশের বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ উঠেছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দানা মিয়ার ত্রাসের রাজত্ব

আপডেট সময় : ০৮:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জালালপুর গ্রামে দানা মিয়া নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার আমতলী বাজারের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের বাড়ি-ঘরের উপর দফায় দফায় হামলা করে চলেছেন দানা মিয়া। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি আমতলী বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাজারের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের উপর দলবল নিয়ে হামলাও করেছেন দানা।এই হামলার ভিডিও বাজারের বিভিন্ন দোকানে সিসি টিভিতে ধরাও পরে।দানা মিয়ার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো দানা মিয়াকে প্রকাশ্যে সমর্থন করার অভিযোগ আছে পুলিশের বিরুদ্ধে। লোকমুখে শোনা যায়, দানা মিয়া ওই এলাকার একজন প্রকাশ্য সুধখোর, সুধের টাকা মানুষকে দিলে সেই টাকা পরিশোধ করার পরও খালি ব্যাংক চেক দিয়ে লোকের বিরুদ্ধে মামলা করে উল্টো বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ আছে। সরেজমিনে ঘুরে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, গত রোববার ৮ জানুয়ারি আমতলি বাজারে প্রকাশ্যে দিবালোকে বাজারের সাধারন সম্পাদক ও জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আফজাল হোসেনের উপর দলবল নিয়ে অর্তকিত হামলা করেন দানা মিয়া।এঘটনার পর একই দিন বিকেলে দানা মিয়ার দল হামলা করে আফজাল হোসেনের বাড়িতে। এসময় আফজাল হোসেন ও তার বংশের তিনটি বাড়িতে দা দিয়ে কুপিয়ে লুটপাট চালানো হয়।তাদের হামলায় আহত হোন তিন ব্যক্তি।তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।অভিযোগ আছে, দানা মিয়ার এই হামলার সময় বিজয়নগর থানা পুলিশ সামনে দাড়িয়ে থেকেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলো। শুধু তাই নয়, দানা মিয়ার এক লোক পুলিশের হাতের লাঠি নিয়ে আঘাত করে আফজাল হোসেনের এক চাচাকে। আঘাতে মাথা ফেটে যাওয়ার পরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। জগড়া বিবাদ করবেনা মর্মে বিজয়নগর থানার ওসি দুই পক্ষ থেকে মুচলেকা রাখলেও তা মানছেনা দানা মিয়া।মুচলেকার পরও দানা মিয়ার দলবল আফজাল হোসেনের বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল দিয়ে শোডাউন দেয়, এসময় গালিগালাজ ও ডাকাডাকি করে উস্কানি দেয়। এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীউল হক চৌধুরী বলেন, দানা মিয়া দলবল নিয়ে আফজালকে বাজারে পারপিট করার পর ওইদিনই সন্ধ্যায় আফজালের বাড়িঘরেও হামলা করেছে। এব্যপারে থানায় অভিযোগ নিচ্ছেনা পুলিশ। তাই আমি পরামর্শ দিয়েছি আদালতে গিয়ে মামলা করতে। এবিষয়ে জানতে বিজয়নগর থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, দুই পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা রেখেছি যেন জগড়া বিবাদে তারা না জড়ায়।এরপর তারা যদি জগড়ায় লিপ্ত হয় সেটা দেখা হবে।আর পুলিশের বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ উঠেছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।