তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের বসন্তবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০৭:২৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
মুক্তবুদ্ধির মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে বসন্তবরণ উৎসবের মতো সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে–পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন
২০ বছরেরও অধিক সময়ের ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবারো বণাঢ্য ও ব্যাপক আয়োজনে বসন্তবরণ উৎসব করেছে তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার ১ ফাল্গুন ১৪ ফেব্রুয়ারি শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ বসন্তবরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি রোকেয়া দস্তগীরের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিশিল্পী সানজিয়া আফরিন,সুজন সরকারের সঞ্চালনায় উদ্বোধন করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো.শাখাওয়াত হোসেন। এসময় স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম সুজন। সংগঠনের শিল্পীদের সমবেতকন্ঠে “আহা আজি এ বসন্তে ও দাও দাও দাও গো এবার রাঙিয়ে দিয়ে যাও”শীষক সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে বসন্তবরণ উৎসব শুরু হয়। উৎসবের কমসূচীর মধ্যে থাকবে উদ্বোধন,ফুলেল শুভেচ্ছায় উপস্থিত সকলকে বরণ,কবিতাপাঠ,একক ও দলীয় আবৃত্তি,সমবেত নৃত্য,গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি জয়দুল হোসেন, বঙ্গসংস্কৃতি পরিষদ সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার,রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবদ্ধন পাল,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু,জেলা কমিনিস্ট পাটি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম,গুণীজন সংবধনা পরিষদ সভাপতি আবদুল বাসেদ,ফাইভ স্টার ক্লাব সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন,সংগঠনের উপদেষ্টা এটিএম ফয়েজুল কবীর,উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ পাথ তলাপাত্র,বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক মাসুম মিয়া। উৎসবে বিশিষ্ট কবি-প্রাবন্ধিক আবদুর রহিম ও কবি মাহবুব ইসলামের গ্রনে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উৎসবে কবিকন্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আমির হোসেন,শৌমিক ছাত্তার,রুদ্র মো.ইদ্রিস,এমএ হানিফ,খালেদা মুন্নী,পঙ্কজ দেব,মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। একক আবৃত্তি করেন ফাহিম মুনতাসির,আবদুল মতিন শিপন,রেজা এ রাব্বী,তাসফিয়া ইসলাম প্রমি,ফাহিমা সুলতানা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জয়নাল আবেদীন,সোহেল রানা,সোহাগ রায়,অভিজিৎ সাহা,ফারদিয়া আশরাফি নাওমী,প্রিয়া রায়,অপা মিত্র ভৌমিক,নোহা। দলীয় নাচে অংশগ্রহণ করেন নৃত্য প্রশিক্ষক জিয়া আমিনের দল,আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র,মাদারস ক্লাব ও তিতাস সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের নৃত্যদল। বাঁশীর সুরেলা পরিবেশনায় সকলকে মুগ্ধ করেন বংশীবাদক নুরু মিয়া। অনুষ্ঠানে তিতাস আবৃতি সংগঠনের ছোটদল মজার ছড়া,মধ্যমদল সৃষ্টি সুখের উল্লাসে এবং বড়দল বসন্তগান কবিতা বৃন্দ আবৃত্তি করেন। নাচে-গানে-কবিতায় বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পযন্ত জমজমাট আয়োজন উপভোগ করেন শতশত সংস্কৃতিপ্রেমী।
উদ্বোধনী বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো.শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন,বসন্ত আমাদের প্রাণ-মনকে রাঙিয়ে দেয়। বসন্তকে বরণের উৎসব মানেই নতুন রঙের ছড়াছড়ি। তিনি আরো বলেন,আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সংস্কৃতি ছিলো বিরাট শক্তি। সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমেই গণমানুষ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। মুক্তবুদ্ধির মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে বসন্তবরণ উৎসবের মতো সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।