দেশবরেণ্য কবি-গবেষক-অনুবাদক-সঞ্চালক-আবৃত্তিশিল্পী-বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বজন কবি আসাদ চৌধুরীর মহাপ্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের উদ্যোগে কথা ও কবিতায় তাকে স্মরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টায় শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি ছিলেন কবির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। তিতাস আবৃত্তি সংগঠন পরিচালক মো.মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিশিল্পী রেজা এ রাব্বীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নন্দিতা গুহ,বঙ্গবন্ধু পরিষদ সদস্য সচিব এটিএম ফয়েজুল কবীর,কবি ও লেখক আবদুর রহিম,জেলা উদীচী সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাট্যগোষ্ঠী সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোহেল,তরী বাংলাদেশের সোহেল রানা ভূঞা ও সোনালী সকাল পরিচালক ফাহিম মুনতাসির। নিবেদিত কবিতাপাঠ করেন কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস,কবি তিতাস হুমায়ুন। একক আবৃত্তি করেন রেজা এ রাব্বী,ফারদিয়া আশরাফি নাওমী,প্রিয়া সাহা,বাদল দেবনাথ,রিয়া রায়,অবন্তিকা চক্রবর্তী,আনিসুর রহমান। নিবেদিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন সোহাগ রায়। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন সংগঠনের সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তীনিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি জয়দুল হোসেন বলেন,কবি আসাদ চৌধুরী ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি সবসময় সত্য অনুসন্ধান করতেন। তাকে স্মরণ ও সম্মান করতে হলে জীবনের সর্বত্র সত্যকে খুঁজতে হবে-প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কবি ও আবৃত্তিশিল্পীরা যদি বাংলা ভাষা ও উচ্চারণের সঠিক ব্যবহার করতে শিখেন তবেই কবি আসাদ চৌধুরীকে যথাযথ সম্মান জানানো হবে।